নতুন করে বেড়েছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরপাকড়। মামলায় সাজা দেয়ার ঘটনাও ঘটছে একের পর এক। গভীর রাতে বিরোধী নেতাদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে পুলিশ। দলীয় সূত্রের দাবি কারাগারে যারা আছেন তাদেরও মিলছে না মুক্তি। জামিন পেলেও জেলগেট থেকে ফের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আবার হাইকোর্টে জামিনে থাকা নেতারা নিম্ন আদালতে গেলেই জামিন নামঞ্জুর করে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। হঠাৎ করে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও সাজা দেয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেতারা।
বিএনপি’র একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, চলমান সরকার পতনের একদফার আন্দোলন দমাতে ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করতে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। বেছে বেছে বিএনপি’র সক্রিয় নেতাদের পুরনো মামলাগুলোর দ্রুত বিচারকাজ শেষ করে সাজা দেয়া হচ্ছে। নতুন করে রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাজা দেয়া হয়েছে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-প্রচার সম্পাদক শামিমুর রহমাম শামীমসহ ৩০ জন নেতাকে।
এ ছাড়া গত মাসে পুরনো মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, গত কয়েক বছরে ক্ষমতাসীন সরকার প্রায় ৭শ’ বিরোধী নেতাকর্মীকে গুম, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন, প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করেছে। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ জানিয়েছেন, গত ২৮শে জুলাই থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত আড়াই মাসে সারা দেশে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ৩৪৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩ হাজার ২৭০ জনকে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২৫০ জনকে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার- এটা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। সরকারের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর করে টিকে থাকতে চায়। তিনি আরও বলেন, সরকার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। কোনো মামলা প্রকাশ পাচ্ছে কোনোটি প্রকাশ পাচ্ছে না। এটা ফ্যাসিবাদের চরিত্র।
প্রতিদিনই চলছে গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার গভীর রাতে বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ১০ই অক্টোবর কাফরুল থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন জিল্লু, ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম হোসেন ও কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রায়হান সেন্টু, ৯ই অক্টোবর কাফরুল থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাব্বি, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি পল্টু সিকদার, শ্রমিক দল নেতা মো. হাসান ও ওয়ারী থানাধীন ৪১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আল-আমিন ও বাগেরহাট জেলায় মিছিল থেকে মোট ১৭ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ই অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসানকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
একইদিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের খিলগাঁও থানাধীন ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম রিপন, ডেমরা থানাধীন ৬৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারী থানা বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭ই অক্টোবর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের হাজারীবাগ থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব মো. ভাষানীকে তাদের বেড়িবাঁধস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। ৬ই অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস জীবন, রামপালের বিএনপি নেতা ফকির আজমল হোসেন ও পেড়িখালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা শেখ মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ই অক্টোবর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, গাংনী উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক আলভী হোসেন, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান, কৃষক দল নেতা এনামুল ও বিএনপি কর্মী বিজয়কে জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করে। ৫ই অক্টোবর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজমান মাহমুদুর রহমান মামুন, পল্টন থানাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন ও কালাম, উত্তরার ১১নং সেক্টরে অবস্থিত ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালের সামনে থেকে তুরাগ থানাধীন ৫২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে গতকাল নেত্রকোনা জেলা বিএনপি সদস্য আহাম্মদ আলীসহ ২০ জন ও মদন পৌর বিএনপি’র সভাপতি কামরুজ্জামান চন্দনসহ ১০ জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলার নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হবিগঞ্জ জেলার বিএনপি’র আহ্বায়ক জিকে গউছ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চার দফায় গতকাল পর্যন্ত ১৪১৫ দিন কারাভোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল একটি মামলায় জামিন পেলেও এখনো মুক্তি মেলেনি কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হওয়া সাবেক এই ছাত্রনেতা। এদিকে আন্দোলন দমাতে হবিগঞ্জ জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ সবগুলো অঙ্গ-সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ ১১ শীর্ষ নেতা জেলে পুরে রাখা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মামলা।
পুরনো মামলায় সাজা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দু’জনই সাজাপ্রাপ্ত। গত ৩০শে মে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছর ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট। ৯ই অক্টোবর ভাটারা থানার একটি মামলায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপি’র সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম এবং সহ-গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদসহ ১৫ জন নেতাকর্মীকে ৪ বছর করে সাজা দেয়া হয়।
৮ই অক্টোবর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. রেজোয়ানুল হক সবুজ, সহ-নাট্য বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ মোল্লা ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল আউয়ালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সাজা দেয়া হয়। গত ৭ই আগস্ট যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ২১ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। গত ১৭ই আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাসাস সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহসহ পাঁচজনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। গত ১৮ই আগস্ট রমনা থানার একটি মামলায় আবুল কালাম আজাদ নামের একজন বিএনপি’র কর্মীকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এর আগে বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে বিভিন্ন মামলায় ৭০ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।
মামলা ছাড়া নেতা নেই বিএনপিতে
বিএনপি’র শীর্ষ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ের পর্যন্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সবার বিরুদ্ধে রয়েছে কম-বেশি মামলা। ওয়ান-ইলেভেন থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৫০টি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৯৮টি, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে সাতটি, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে চারটি, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪৮টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ৩৬টি, নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ছয়টি, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ছয়টি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ৯টি, সেলিমা রহমানের বিরুদ্ধে চারটি ও সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে ২০৪টি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ১০৬টি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ৮০টি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ১৮০টি, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে ২৫৪টি, হাবিব-উন নবী সোহেলের বিরুদ্ধে ৪৫০টি, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের বিরুদ্ধে ৫০টি, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে ৩১৩টি, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের নামে ৩০৫টি, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসানের বিরুদ্ধে ৪২৩টি, যুবদলের সাবেক নেতা এসএম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ৩১৭টি, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের বিরুদ্ধে ৩২৭টি, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবির বিরুদ্ধে ১৮৪টি, ঢাকা মহানগর উত্তরের বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হকের বিরুদ্ধে ১৫টি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর বিরুদ্ধে ২২৬টি, ঢাকা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা ১২৭টি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলীর বিরুদ্ধে ২৫০টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর বিরুদ্ধে ১৭০টি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের বিরুদ্ধে ১৪৭টি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের বিরুদ্ধে ১৫০টি, আকরামুল হাসানের বিরুদ্ধে ১৪৬টি, হাবিবুর রশীদের বিরুদ্ধে ১০৩টি, বজলুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৯৫টি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে ১১০টি, গণশিক্ষা সহ-বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে ২১১টি, ছাত্রদলের সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলের বিরুদ্ধে ১০৬টি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে ২০৭টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।
কারাগারে আছেন যেসব নেতা
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জের আহ্বায়ক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা উত্তরের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান মোসাব্বির।
আপনার মতামত জানানঃ