স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ১৭ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
নির্দোষ আরমানের ৫ বছর ফিরিয়ে দেবে কে
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মাদক মামলায় বিনা দোষে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাবাসে থাকা রাজধানীর পল্লবীর বেনারসির কারিগর মো. আরমানকে তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আরমানের কারামুক্তি চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। রায়ে আরমানের আটকাদেশ অবৈধ ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
পুলিশের মহাপরিদর্শককে আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আরমানকে ক্ষতিপূরণের ওই অর্থ পরিশোধ করে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদেশ প্রতিপালনের এফিডেভিট (হলফনামা) দাখিল করতে বলেছে আদালত। একই সঙ্গে নির্দোষ আরমানের কারাবাসের ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তার দায় থাকলে তা নিরূপণ করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) উপমহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত সাপেক্ষে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালতের রায়ে চার পুলিশ কর্মকর্তাকে তাদের বর্তমান দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করাসহ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জব্দ করা অটোরিকশা চুরি, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড় খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে প্রত্যাহার করে সিলেটে আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গতকাল বিকেলে মহাসড়কে চলাচলে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা জব্দ করে। অটোরিকশাটির মালিক ও চালক বিজয়নগর উপজেলার বারঘুরিয়া গ্রামের নূর হোসেন (২৮)। পরে হাইওয়ে পুলিশ অটোরিকশাটি তাঁদের জব্দ করা যানবাহন রাখার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে (ডাম্পিং ইয়ার্ড) রেখে দেন। স্থানটি হাইওয়ে থানার অদূরে সরাইল উপজেলা সদরের দক্ষিণ কুট্টাপাড়া এলাকায় অবস্থিত। রাত ১০টার দিকে এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে নূর হোসেন কৌশলে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ডাম্পিং ইয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য রহিম বাদশা। রহিম বাদশা রাত ১০টার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানান, পাঁচ–ছয়জনের একদল ছিনতাইকারী তাঁকে মারধর করে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়েছেন। অটোরিকশারটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ঘটনার পর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাবঘুরিয়া গ্রাম থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। রাতেই পুলিশের জিম্মায় থাকা অটোরিকশা চুরির অভিযোগে পুলিশ নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর ইফতেখারের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় চোরাকারবারের অভিযোগে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
প্রথম আলো
বিভাগ: গণমাধ্যম
বগুড়ায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় ঘর নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার পুলিশ লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনিয়ে নেওয়া ভিডিও ক্যামেরা। তবে এ হামলায় জড়িত নিশিন্দারা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জনিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হামলার ঘটনায় বেসরকারি সময় টেলিভিশনের বগুড়ার প্রতিবেদক মাজেদুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বগুড়া সদর থানায় শ্রমিক লীগ নেতা জনি, ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। সাংবাদিক মাজেদুর রহমান ও তাঁর ক্যামেরাম্যান রবিউল ইসলাম শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশটিকা দীঘিরপাড় গুচ্ছগ্রামে দুর্যোগসহনীয় ঘরের নির্মাণকাজের ভিডিও ধারণ করতে গেলে লুৎফর রহমান ও জনির নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে সেখানে ফেলে রাখেন। কেড়ে নেওয়া হয় ভিডিও ক্যামেরা, মুঠোফোন ও অন্য সরঞ্জাম। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, হামলার শিকার সাংবাদিক মাজেদুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার একটি মামলা করেছেন। সন্ধ্যায় আসামি লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া ক্যামেরা উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মুঠোফোন এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এমপির মামলা
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান। গত বুধবার রাতে সাংসদ নিজে বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় এ মামলা করেন। মামলার আসামি দুই সাংবাদিক হলেন মো. শাহনেওয়াজ ও আরিফ শাহাদাত। অন্য আসামি রবিউল ইসলাম গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পুঠিয়া পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করে পরাজিত হন।
সাংসদের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর অনলাইন পত্রিকা সারাক্ষণ ডটকম, সাহেববাজার ডটকম ও রাজটাইম-এ সাংসদ মনসুর রহমানকে হেয় করতে পুঠিয়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলামের বরাত দিয়ে মিথ্যা তথ্যে ভরা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। ওই সংবাদে রবিউল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেছেন, নির্বাচনে সহযোগিতা করার নামে সাংসদ মনসুর রহমান তার কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। রবি টাকা দিতে না পারায় সাংসদ মনসুর তার নিকটাত্মীয় গোলাম আজম নয়নকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন। প্রকাশিত সংবাদে রবির বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, সাংসদ মনসুর রহমান বিএনপির মেয়র প্রার্থী মামুনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন। এমন মিথ্যা সংবাদ সরবরাহ করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করাসহ মানহানি করা হয়েছে।
দিনাজপুরে বাড়ির ‘তালা ভেঙে’ সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ভিডিও ভাইরাল
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: ডিজিট্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; ধরার জন্য তার ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন পুলিশ সদস্যরা। বুধবার রাত রাত ১১টার দিকে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার খোদাদাদপুর কলোনিতে সাংবাদিক ইফতেখার আহমেদ বাবুর বাসায় যায় পুলিশ। ভাইরাল হওয়া আট মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ইফতেখার আহমেদ বাবুর ঘরের তালা ভাঙতে দেখা যায়। ঘোড়াঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ তার বাড়ির তালা ভাঙে বলে ইফতেখারকে বলতে শোনা যায় ভিডিওতে। ইফতেখার ‘ডেল্টা টাইমস’ পত্রিকার ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রতিনিধি।
তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ভুয়া তথ্য প্রচারের’ কারণে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলাও রয়েছে। বাড়ির তালা ভেঙে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, “প্রথমে তাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল এবং পরে রাতে তার বাসায় গেলে সে বের না হয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া করে পুলিশকে বিব্রত করতে ভিডিও করতে থাকে।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে ইফতেখারকে বলতে শোনা যায়, ঘোড়াঘাট থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করার কারণে তাকে ওসিসহ কজন পুলিশ গ্রেপ্তার করতে খোদাদাদপুর কলোনির বাসায় আসে।
Free Arman, pay Tk 20 lakh for wrongful detention: HC
New Age
Category : State force
The clipping of a newspaper report published in Dainik Amadershomoy on April 18, 2019, titled ‘Another Jahalam in jail. The High Court on Thursday asked the jail authorities to free at once Md Arman, who has been languishing in Kashimpur Central Jail, Part 2 since January 30, 2016, following his wrongful arrest by the police. The bench of Justice Md Mozibur Rahman Miah and Justice Mohi Uddin Shamim passed the order after declaring the imprisonment of Arman illegal and unconstitutional. The jail senior superin tendent Abdul Jalil, however, told New Age that they could not free Arman unless the High Court order reached the jail.
The court also asked the inspector general of police to pay Arman Tk 20 lakh as compensation within 30 days for police’s negligence that led to the detention of the youth for nearly five years.
The court also asked the IGP to submit to it on February 14 a report on the payment of the compensation to the victim, who was residing at House No 13, Harts Road, Section 10 of Pallabi.
A police report told the HC earlier that the Pallabi police arrested innocent Arman instead of the fugitive convict Shahabuddin because of matching fathers’ names. Both reside at Bihari camp in Mirpur in the capital.
আপনার মতামত জানানঃ