স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১৮অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
কালের কন্ঠ
বিভাগ : রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ধর্ষণ মামলার বাদীকে অসহযোগিতা, পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজ
ধর্ষণ মামলার বাদীকে অসহযোগিতার অভিযোগে বগুড়ার ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসানুল হককে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার সকালে তাকে থানা থেকে ক্লোজ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ওই স্কুলছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) ১৬ জুলাই গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণ করে। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাসুদ ও ফজলুল হক ছাড়া আরো পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। মামলার বাদি বলেন, এ ঘটনায় ধুনট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অসহযোগিতা করেছে। তবে মামলা নিয়েছে অপহরণের ২৬ দিন পরে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম বলতে নিষেধ করেছেন। এ কথায় রাজি না হওয়ায় পরে থানায় গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হক আমাদের অসহযোগিতা করেছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালগালাজ করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই আহসানুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাদির আনিত অভিযোগ মিথ্যা। বাদি টাকা নিয়ে মামলা মীমাংসা করে এখন পুলিশের বিরুদ্ধে বদনাম করার পাল্টা অভিযোগ করছেন। এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ওই স্কুলছাত্রী কিংবা তার মা-বাবার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। দেড় লাখ টাকা নিয়ে চুপ করে বসে আছেন বাদি ও তার পরিবারের লোকজন। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, এটা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই। তবে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুগান্তর
বিভাগ : রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মাদকাসক্ত ৪ পুলিশ শনাক্ত
রাজশাহীতে কিট সংকটে ডোপ টেস্ট
রাজশাহী জেলা পুলিশের চার সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি ডোপ টেস্টে তারা মাদকাসক্ত বলে শনাক্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।
এদিকে ১ ডিসেম্বর ২০২০, রোববার জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও ৮ পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পুলিশের সূত্র বলছে, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় দেশের মধ্যে রাজশাহীর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশের মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকি অধিক। তবে কিট সংকটে রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) ডোপ টেস্ট শুরু হচ্ছে না বলে জানা গেছে। রাজশাহী জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মতে, অক্টোবরে রাজশাহী জেলা পুলিশে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। ইতোমধ্যে ৭ সন্দেহভাজনের ডোপ টেস্ট করার পর ৪ জনকে শনাক্ত করা হয়। এই চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও আটজনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফল জেলা পুলিশের হাতে আসবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার এসপি মাসুদ জানান, পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে পুলিশ সুপারের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো থানার ওসি বা ইউনিট প্রধান অধীনস্থ কোনো সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে ওসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, গণহারে সবার ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে না। শুধু যারা সন্দেহভাজন তাদেরই করা হচ্ছে। এদের মুখ, চোখ ও ঠোঁট দেখেও অনেক সময় মাদকাসক্ত বলে সন্দেহভাজনদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। ডোপ টেস্টের সময় তাদের এসব লক্ষণ দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী জেলা ও মহানগর পুলিশে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা ও পুলিশ কনস্টেবল রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ফেনসিডিল ও ইয়াবার মতো কঠিন মাদক গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। আবার কারও কারও বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব পুলিশ সদস্য কেউ কেউ ১০ থেকে ১৫ বছর ঘুরেফিরে রাজশাহী জেলা থেকে মহানগরে আবার মহানগর থেকে জেলা পুলিশে পোস্টিং নিয়ে রাজশাহীতেই থাকছেন। মূলত তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও মাদক গ্রহণের অভিযোগ বেশি। আবার ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার আশঙ্কায় অনেকেই তবদির করে বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে যাচ্ছেন।
যুগান্তর
বিভাগ : রাষ্ট্রীয় বাহিনী
গাঁজা বিক্রির সময় পুলিশ আটক
খুলনার তেরখাদা উপজেলার বলদধুনা গ্রামে গাঁজা বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল প্রসেনজিৎ মণ্ডল। বর্তমানে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে তেরখাদা থানায়।
জানা যায়, ২ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বলদধুনা গ্রামে গাঁজা বিক্রি করছে- এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তেরখাদা থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় প্রসেনজিতের শরীর তল্লাশি করে ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তেরখাদা থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রসেনজিতকে আটক করা হয়। তার উদ্দেশ্য ছিল গাঁজা বিক্রি। প্রসেনজিৎ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ লাইনের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি তেরখাদা গ্রামের কাগদি গ্রামের প্রমথ রঞ্জনের ছেলে।
দেশ রুপান্তর
বিভাগ : রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তি
পুলিশের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা
পুলিশের অনুমতি ছাড়া মিছিল, সভা-সমাবেশসহ কোনো ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিএমপির জনসংযোগ শাখা। মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। এসব কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় যান ও জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যমান আইনে বৈধ কোনো দল বা গোষ্ঠীর সমাবেশের স্বাধীনতা থাকলেও সংবিধান অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুসারে ডিএমপি কমিশনারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এর ব্যতিক্রম হলে মিছিল বা সমাবেশকারীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। আবার কোনো কোনো দল বা গোষ্ঠী বেআইনি সমাবেশের আয়োজন করে জানমালের ক্ষতি সাধনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর সুযোগ পায়। কাজেই নাগরিকদের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো মিছিল, সভা-সমাবেশসহ কর্মসূচি গ্রহণ এবং শব্দযন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশ রুপান্তর
বিভাগ : রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তি
সাদা পোশাকে পিস্তল নিয়ে সালিশে পুলিশ কর্মকর্তা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কার্যালয়ে একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠকে সাদা পোশাকে কোমরে পিস্তল ঝুলিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ৩০ নভেম্বর সোমবার রাতে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সালিশে উপস্থিত অনেকেই পুলিশ কর্মকর্তার আচরণে আতংকিত হয়ে পড়েছিলেন। এ ছাড়া অস্ত্র নিয়ে সালিশের ওই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতির ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদের কার্যালয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া নিয়ে একটি পারিবারিক বিচারের আয়োজন করা হয়। সেখানে হঠাৎ করেই এসে উপস্থিত হন মিজানুর রহমান নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা। সাদা পোশাকের ওই পুলিশ কর্মকর্তার কোমরে ঝুলছিল পিস্তল। তখন সালিশে আসা অনেকেই আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডিতে পরিদর্শক পদে কর্মরত আছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘একজন
পুলিশ কর্মকর্তা সাদা পোশাকে সেখানে উপস্থিত ছিল। তার কোমরে পিস্তল ছিল এটা সত্যি। তবে এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
নারায়ণগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে ফোন করে পারিবারিক সালিশে প্রকাশ্যে কোমরে পিস্তল নিয়ে উপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
The Daily Star
Category: State forces
Legal action if rallies held sans permit
Says DMP
Dhaka Metropolitan Police has imposed a ban on organising assemblies, rallies, mass gatherings, and use of loudspeakers at these programmes in the capital without prior permission. A DMP press release yesterday said legal actions would be taken against any violation of the ban. The ban came at a time when different religious groups held public rallies opposing establishment of Bangabandhu’s sculpture in the country. “It is being noticed recently that various socio-political and religious organisations are announcing programmes like assemblies, rallies and public gatherings in Dhaka without permission from the authorities concerned. Movement of traffic is being disrupted due to various obstacles created on roads because of these programmes,” says the release. The DMP ordinance stipulates that an organisation must obtain prior permission from the DMP for staging such programmes and using sound devices so that the authorities can keep the people’s civic rights protected, maintain law and order and control the movement of traffic, it added. If a deviation occurs, the authorities cannot ensure security of the participants of processions or rallies. Besides, some quarters get the opportunity to cause damage to lives and properties and deteriorate law and order through organising rallies, read the DMP release. On November 13, a rally was held at Dhupkhola ground in Gandaria under the banner of “Touhidi Janata Oikya Parishad” to oppose the installation of a sculpture of Bangabandhu on the occasion of Mujib Borsho. On the same day, Hefajat-e-Islam Joint Secretary General Mamunul Haque publicly opposed setting up of Bangabandhu’s sculpture at the BMA Auditorium in the capital. Speaking at a recent programme in Chattogram, Hefajat chief Junaid Babunagari also threatened to pull down and destroy all the sculptures no matter which party puts those up.
আপনার মতামত জানানঃ