Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঢাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত না চাওয়ার আগ পর্যন্ত যতদিন ভারতে থাকবেন অবশ্যই তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। বুধবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি বলেছেন, হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, নইলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে না। তিনি (হাসিনা) যে ধরণের নৃশংসতা করেছেন তা বিচারের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতে থেকে হাসিনার রাজনৈতিক মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এবং সেখান থেকে হাসিনার এমন আচরণকে ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।…

Read More

ঢাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার ঠিক দিন ১৫ আগের কথা। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করার ঠিক পরদিন দিল্লিতে প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র সম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিল ‘ডিসটার্বিং ইন ঢাকা’। ওই সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছিল, “কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তা আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী রাজনীতিরই উপসর্গ। ভারতের এখন সময় এসেছে হাসিনার পর কী, তা নিয়ে ভাবার!” (‘ইন্ডিয়া মাস্ট থিংক বিয়ন্ড হাসিনা’)। বিগত দেড় দশক ধরে ভারতের বাংলাদেশ নীতি আর শেখ হাসিনা যেভাবে প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল, তাতে দিল্লির একটি মূল ধারার শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ভারতকে ‘বিয়ন্ড হাসিনা’ ভাববার…

Read More

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকার জোগান দিতে পারছে না। কোনো কোনো ব্যাংক ২০ হাজার টাকার বেশি চেক নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে গ্রহণ করছে না। এটিএম বুথগুলোতেও চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না নগদ টাকা। ভালো ব্যাংকগুলোতে এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে বা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট থাকায় এ সমস্যা প্রকট হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়েছে। মূলত ব্যাপকভাবে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিজেদের কাছে রাখার কারণেই এখন ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট বেশি। দেশের ৬১টি ব্যাংকের মোট ব্যাংকের শাখা…

Read More

সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার ও ঋণখেলাপিরা গত দেড় দশক অনেকটা হাতে হাত রেখে চলেছে। একদিকে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দিয়েছে সাবেক এই সরকার, অন্যদিকে কাগজে–কলমে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে নেওয়া হয়েছে একের পর এক নীতি। সূত্র: প্রথম আলো। এর পরও সাড়ে ১৫ বছরে খেলাপি ঋণ নথিপত্রে যতটা বেড়েছে, তা আর্থিক খাতের ভয়ংকর এক চিত্র তুলে ধরছে। এই সময়ে শুধু ব্যাংক খাতেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এই ঋণের বড় অংশই আদায় অযোগ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার…

Read More

মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের মারব। প্রকাশ্য সমাবেশে দাঁড়িয়ে এমনই উত্তেজক ভাষণ দিলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র বিধায়ক নীতেশ রানে। এমন সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের। সামাজিকমাধ্যমে এমন ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে আহমদনগর পুলিশ। একরকম বাধ্য হয়েই এই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার আহমেদনগরে রামগিরি মহারাজের সমর্থনে এক সভায় নীতেশ রানে বলেন, ‘রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে কোনও কথা বললে মসজিদে ঢুকে খুঁজে খুঁজে মুসলিমদের মারব। এটা মাথায় রেখো’। এদিকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) গোটা ইস্যুতে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দলটির নেতা ইমতিয়াজ জলিল বলেন, ‘রামগিরি মাহারাজের মন্তব্য একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অঙ্গ।…

Read More

কসমোলজিস্ট মনে করতেন, এটা আসলে এ প্রশ্নটা আসলে উত্তর মেরু বিভ্রমের মতো। উত্তর মেরুতে গিয়ে আরো উত্তরে যাওয়ার চেষ্টা আসলে বৃথা। ১৯২০-এর দশকে যখন মহাবিশ্বের কাঠামো নিয়ে গবেষণা করা হয়, তখন এর পুরোটাই ছিল জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির ওপর দাঁড়িয়ে। অবশ্য কোয়ান্টাম বল্যবিদ্যায় সাহায্য করেছে। অর্থাৎ জৌাতিকণাপদার্থবিদ্যা দিয়ে মহাবিশ্ব, নক্ষত্রের জন্ম, মৃত্যু ইত্যাদি ব্যাখ্যা করা হতো। এখানে জেনারেল রিলেটিভিটির ছিল মূল ভূমিকা, সহায়ক ছিল কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। কিন্তু সাধারণ আপেক্ষিকতা বা কোয়ান্টাম বলবিদ্যাই যদি পদার্থবিজ্ঞানের শেষ কথা হতো, তাহলে বিগ ব্যাংকেই সময়ের শুরু হিসেবে ধরা যেত। কিন্তু অন্য প্রশ্নটা তুলে দেয় স্ট্রিং থিওরি বা কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক পর্যন্তও…

Read More

অগাস্ট মাসের শুরুতে, যখন বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং সরকারি দমনপীড়নের জেরে বাড়তে থাকে লাশের সংখ্যা তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দ্রুত হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাথে কোনো রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন না এবং তিনি তার সিনিয়র মন্ত্রীদের কাউকে বলেননি যে, তিনি চলে যাচ্ছেন। ৫ই অগাস্ট কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি প্রতিবেশী ভারতে চলে যান। তখন থেকে সেখানেই আছেন হাসিনা। যে ছাত্র বিক্ষোভ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছিল তা ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত দেশব্যাপী গণবিপ্লবে রূপান্তরিত হয়েছিল, দেশের কয়েক হাজার মানুষ হাসিনার অপসারণ এবং গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিল। হাসিনার সরকার সহিংসতা ও গুলির মাধ্যমে বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। যার জেরে শত…

Read More

বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক দু’দিন আগে ভারতীয় চ্যানেল এনডিটিভি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন, তাহলে সেই অস্থিরতার আঁচ কিন্তু বাংলাদেশের বাইরেও মিয়ানমার, সেভেন সিস্টার্স, পশ্চিমবঙ্গ – সর্বত্রই অগ্ন্যুৎপাতের মতো ছড়িয়ে পড়বে।” শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের কয়েক দিনে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদপত্র বা চ্যানেলকেও দেওয়া একাধিক সাক্ষাৎকারেও তিনি মোটামুটি একই ধরনের সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন, আর প্রতিবারই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন এই ‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দবন্ধটি। লক্ষণীয় বিষয় হল, ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকে বোঝাতে এখন কিন্তু ‘নর্থ-ইস্ট’ বা ‘নর্থ-ইস্টার্ন স্টেটস’ কথাটাই বেশি ব্যবহৃত হয়। সেভেন সিস্টার্স কথাটা এককালে জনপ্রিয়…

Read More

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের দিনও গণভবনে কোটি কোটি টাকা ছিল। কয়েকজন কর্মকর্তা এই টাকার দায়িত্বে ছিলেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৪ঠা আগস্ট রাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক নেতা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সময় টাকা বিলি-বণ্টন করা হয় । সর্বশেষ বৈঠকটি হয় তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পাঁচজন নেতা ও কর্মকর্তার সঙ্গে। এর মধ্যে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এছাড়া ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল। সেই বৈঠকে হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। বলেন, আর অপেক্ষা নয়। আর আপস নয়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে…

Read More

হাসিনাত্তোর বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে রিপোর্ট করেছে জার্মানির বনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দি মিরর এশিয়া। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের প্রথম প্রোজেক্ট ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য। এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হলো বামপন্থীদের মাধ্যমে ইউনূস সরকারের ওপর হেফাজত শিবির ও হিজবুত তাহরির ভর করেছে এমন বয়ান হাজির করানো। সেই সাথে ‘র’ এর সাথে দীর্ঘদিন যোগাযোগ রয়েছে হেফাজত ইসলামের এমন অংশদের বোঝানো যে, ‘ড. ইউনূস সুদখোর, তিনি মার্কিন এজেন্ট, কোনোভাবে ভালো মুসলিম নন। কিছুদিন গেলে এই সরকার সমকামীদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে পারে।’ এই গ্রুপকে জামায়াতের সাথে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ঐক্যে…

Read More