৮৫ মিলিয়ন বছর আগের ফসিল দেখে ভয় পেয়ে গেলেন গবেষকরা। এর আকার দেখে তারা অবাক হয়েছেন। এটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩৯ ফুট। মিটারের হিসেবে ১২। তবে সবথেক অবাক করা এর দেহটি হল লম্বা একটি গলা।
এই ফসিল যে প্রাণীর সে শক্তিশালী শিকারী ছিল সেকথা এককথায় মেনে নিয়েছেন গবেষকরা। গলা লম্বা হলেও দেহটি ছিল শক্তপোক্ত। পাশাপাশি মুখের ধারালো দাঁত দিয়ে এরা অতি সহজেই শিকার করতে পারত। এর সামনে ডাইনোরাও অসহায় বোধ করত।
মনে করা হচ্ছে দীর্ঘ গলার এই ডাইনোরা উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন জলাশয়ে বাস করত। সেখানেই তাদের সঙ্গে ডাইনোদের সংঘর্ষ হয়। এরপর যার জোর বেশি ছিল সে বেঁচে থেকেছে। বাকিরা হেরেছে। ১৯৮৮ সালে এই বিরাট প্রাণীর ফসিল মিলেছিল। কানাডার সংগ্রহশালায় এই ফসিল এখনও যত্ন করে রাখা আছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন কোথা থেকে এই ধরণের প্রাণীদের জন্ম হয়েছিল তা এখনও তাদের জানা নেই। আমেরিকার এক গবেষক মনে করেন এরা অনেকটা ডাইনোদের প্রজাতির হলেও তাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। এদের জন্ম নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য হাতে আসেনি।
তবে এদের লম্বা গলাই এদের কাল হয়ে গিয়েছিল। সেখানেই বিপক্ষরা এদেরকে হামলা করে শেষ করে দেয়। এদের লম্বা গলা যেমন এদের শক্তি ছিল ঠিক তেমনভাবেই সেটা এদের দুর্বলতা হয়ে গিয়েছিল। এরা নদী থেকে শুরু করে বড় পুকুরে থাকত। সেখান থেকেই এরা শিকার ধরে দিন কাটাত।
এদের হাড় এখনও যত্ন করে রেখে দিয়েছেন গবেষকরা। এই হাড় থেকে তারা আগামীদিনে আরও তথ্য পাবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। কীভাবে এরা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেল সেটাই একটা বড় রহস্য গবেষকদের কাছে।
আপনার মতামত জানানঃ