সাগর দেখতে কার না ভাল লাগে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে জলের রাশি। সেখানে স্থলভাগের পরিমান এতটাই কম রয়েছে যে সেখান থেকে জলরাশিকে হেলাফলা করা উচিত নয়।
উত্তর আটলান্টিক সাগরকে সকলেই চেনেন। তবে এর মধ্যে আরও একটি সাগর রয়েছে যার নাম সার্গাসো। এর নাম অনেকেই জানেন না। এটি এমনভাবে উত্তর আটলান্টিক সাগরের সঙ্গে প্রবাহিত চলে চলেছে যে একে আলাদা বলে চেনা খুব কঠিন। কিন্তু সকলকে ফাঁকি দিয়ে সে বয়ে চলেছে নিজের মতো করেই। বিজ্ঞানীদের কাছে এটা এক অবাক করা বিস্ময়কর ঘটনা।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই সমুদ্র কোনও তীরে গিয়ে ঠেকেনি। তার প্রধান কারণ হল এই সাগর একেবারে আটলান্টিক সাগরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে। ফলে সেখান থেকে কোনও তীরকে সে স্পর্শ করেনি। তবে যদি জলের নিচে যাওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে এর গতি বেশ প্রবল। সেখানে বড় জাহাজকে টেনে নিয়ে যেতে পারে সে।
আরও একটি বিস্ময়কর হিসাব হল এখানে এমন একটি অংশ রয়েছে যেখানে সাগরের জল ঘুরে চলেছে। ঠিক যেন চাকার মতো। এখানে যদি কোনও ছোটোখাটো নৌকা চলে আসে তাহলে সেখান থেকে তাকে বাঁচানো কঠিন। তাই এটিকে ছোটো সাগর বলে যদি মনে করা হয় তাহলে সেটি ভুল বলে প্রমাণিত হবে।
তবে এই গতিতে পছন্দ করে তিমি মাছেরা। তারা এই গতিতে ভর করে অতি সহজেই এক প্রান্ত থেকে অন্যদিকে চলে যেতে পারে। এখানে এসে গতি বাড়িয়ে নেয় হাঙর, বড় কচ্ছপও। প্রায় ২০ হাজার মাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে এই সাগর। সেখানে অন্য সাগরের তুলনায় একে ছোটো বলা মোটেই ঠিক হবে না।
সার্গাসো সাগরকে তাই বেশিরভাগ নাবিকরা খানিকটা এড়িয়ে চলেন। তারা মনে করেন এর গতির কাছে কাবু হতে পারে বহু জাহাজ। তাই এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া সহজ নয়। অন্যদিকে স্থানীয় একটি প্রবাদ রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে ১৪৯২ সালে এই সাগরের পথেই ক্রিস্টোফার কলম্বাস নিজের যাত্রা করেছিলেন।
আপনার মতামত জানানঃ