যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আমেরিকান ওষুধ প্রস্তুতকারক কম্পানি।
তারা ইতোমধ্যে করোনার বিভিন্ন রুপ নিয়ে গবেষণা করেছেন। করোনার যারা আক্রান্ত ট্রায়ালের জন্য তাদের বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকা দিয়ে এই গবেষণা করেন। সেখানে করোনার কয়েকটি রুপের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পাওয়া গেছে বলে জানান গবেষকরা।
গবেষক ডরমিজার বলেন, ভাইরাসের সদা পরিবর্তন হওয়া চতুর্দিকে এর বিস্তারের জন্য দায়ি এবং উদ্বেগের বিষয় ছিলো যে, ভাইরাসটি শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অসাড় করে তুলতে পারে। কিন্তু পরীক্ষায় করোনার কতোগুলো পরিবর্তিত রুপের বিরুদ্ধে সুফল পাওয়া গেছে।
যাদের ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়েছিল তাদের রক্ত নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এতে দেখা গেছে দ্রুত বিস্তার নেওয়া ভাইরাসের অন্যান্য রুপ নেওয়া থেকে দমিয়ে রাখতে পারে না। পরবর্তী পরিবর্তিত অন্যান্য রুপের জন্য তেমন কার্যকর নয়। তবে ভ্যাকসিনটি করোনার ১৫টি নতুন রুপের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এটা ছিল ১৬তম রুপের গবেষণা। তবে এটিও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
ডরমিজার মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া নতুন রুপটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও যেহেতু ভাইরাসের অন্যান্য রুপে ভ্যাকসিনটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে, সেক্ষেত্রেও আমরা সুফল পাবো।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন নিয়েও তারা একই পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছেন। এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালে তারা দেখতে চান যুক্তরাজ্য এবং আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনে কতটা কার্যকর। তবে এর তথ্য-উপাত্ত পেতে সপ্তাহখানে আরো সময় লাগবে বলে জানান।
এর আগে যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকা কাজ করবে বলে জানিয়েছিলেন বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহিন। এই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তবে আরো গবেষণার দরকার আছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে জার্মানীর ইয়ান স্প্যানও জানিয়েছিলেন, তারা এখন পর্যন্ত যা জানেন, সে অনুযায়ী বিদ্যমান টিকার ওপর করোনার নতুন ধরনের কোনো প্রভাব নেই। যার অর্থ, করোনার নতুন ধরনের ক্ষেত্রেও বিদ্যমান টিকা কার্যকর।
এসডাব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০০৫
আপনার মতামত জানানঃ