করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে আজ থেকে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো একজোটে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে৷ জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ শনিবার থেকে শুরু করলেও আজ (রোববার) থেকে জোটভুক্ত ইউরোপের ২৭টি দেশ একসাথে গণ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় এসেছে৷
ইউনিয়নের জোটভুক্ত দেশগুলোর চাপে পড়ে গত সপ্তাহে দ্রুততার সাথে বায়োনটেক-ফাইজারের করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ শনিবার দিনের শুরুতেই সদস্যভুক্ত দেশগুলোর কাছে টিকার প্রথম চালান পৌঁছে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ টিকা পাওয়ার সাথে সাথেই গণ টিকাদান কর্মসূচি চালু করে দিয়েছে জার্মানি, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া৷ আজ (রোববার) থেকে শুরু করেছে অন্য দেশগুলো৷
জার্মান গণমাধ্যম ডিডব্লিউ জানাচ্ছে, ইউরোপের ২৭ দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে হাঙ্গেরি৷ শনিবার হাতে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টিকাদান শুরু করেছে তারা৷ এর কিছুক্ষণ পরই শুরু করে হাঙ্গেরির প্রতিবেশি দেশ স্লোভাকিয়া গণ টিকাদান কর্মসূচি৷ সেখানে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীরা শুরুতে টিকা নিয়েছেন৷ একইভাবে শনিবার সন্ধ্যা থেকে ইউরোপের জনবহুল দেশ জার্মানি গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যর মাধ্যমে৷
হালবারস্টাডট শহরের নার্সিং হোমে বসবাসরত ১০১ বছর বয়সী একজন নারীকে টিকা দানের মাধ্যম জার্মানিতে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার জার্মানির ১৬টি রাজ্যের প্রতিটিতে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ডোজ করে টিকা পাঠানো হয়েছে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরুতে নার্সিং হোমের বাসিন্দা, আশি বছরের উপরের বয়স্ক নাগরিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকার আওতায় আসবেন৷
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, ‘আমরা এত মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চাই যাতে জার্মানি ও ইউরোপে এই ভাইরাসের কোন অস্তিত্ব না থাকে৷’ টিকার মাধ্যমেই মহামারিটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি৷ এই বছরের বাকি সময়ের ভিতরেই জার্মানি ১৩ লাখ টিকা হাতে পাবে৷ জানুয়ারি নাগাদ প্রতি সপ্তাহে সাত লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে৷ আর মার্চের মধ্যে বায়োনটেক-ফাইজারের কাছ থেকে মোট এক কোটি ভ্যাকসিনের আশা করছেন স্পান৷ দেশটির পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীকে যার মাধ্যমে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে৷ তবে এক্ষেত্রে একা হাঁটা নয় বরং জার্মানি ইউরোপের সবাইকে সাথে নিয়ে এগুবে বলে জানান তিনি৷
আট কোটি ৩০ লাখ জনগোষ্ঠীর জার্মানিতে মোট ৪০০ টি টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের৷ খবর : রয়টার্স, ডিডব্লিউ
এসডব্লিউ/নসদ/২০৪৫
আপনার মতামত জানানঃ