সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা অব্যাহত রয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে যে, গত এক দশকের মধ্যে চলতি বছরই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় বাহিনীর হাতে খুন হতে হলো। বাংলাদেশের পক্ষে এসব হত্যা বন্ধে কার্যকর কিছু করা যায়নি। তবে এর মধ্যেও বিজিবি দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২০ ডিসেম্বর ২০২০, গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় বিজিবির হিলি আইসিপি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইয়াসিন আলী বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের হিলি বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার এসি গজেন্দ্র শিংয়ের হাতে ৮ প্যাকেট মিষ্টি তুলে দিয়ে বিজিবি দিবসের শূভেচ্ছা জানান ও কুশলবিনিময় করেন। এ সময় সেখানে উভয় বাহিনীর সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সীমান্তে দুই বাহিনীর মাঝে সৌহার্দ্য, সম্প্রতি, ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে দুই দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ একে অপরকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে থাকে। এ ধরনের রেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরেই হিলি সীমান্তে দুই বাহিনীর মাঝে চলে আসছে। তারই অংশ হিসেবে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের পক্ষ থেকে বিএসএফের পতিরাম-১৯৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, স্টাফ অফিসারসহ ব্যাটালিয়ন অধীন হিলি বিএসএফ ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্পের জন্য মোট ৮ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিজিবি দিবস-২০২০ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর পিলখানায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরবে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিজিবির ডিজি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে।’ ১৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ শীর্ষ বৈঠকে এবং এর আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘এ বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে এবং বিজিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়। সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করার জন্য তাদের বলা হচ্ছে।’
সীমান্তের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও জনগণকে ‘বোঝানোর চেষ্টা’ করা হচ্ছে জানিয়ে সাফিনুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা-দীক্ষায় এবং অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করা যায়, তাহলেই সীমান্ত হত্যা কমে যাবে।’
এসডাব্লিউ/ডিআর-ডিএস/আরা/১২৫০
আপনার মতামত জানানঃ