সাদী মুহাম্মাদ আলোক : বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও এখন আর কোথাও কোনো সতর্কতা পালনের নমুনা দেখা যায় না। যত্রতত্র স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে মানুষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই এখন চালু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এ বছরের শেষদিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে করোনার ভ্যাকসিন নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। তবে, ভ্যাকসিনের দৌড়ে বাংলাদেশে পিছিয়ে রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কেমন? ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি? আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) চীনের সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সর্বশেষ অগ্রগতি কতটা?— এসব বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খানের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার।
বাংলাদেশে এখনো করোনার প্রথম ওয়েভটাই চলছে বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সংক্রমণের হার ১০-১১ শতাংশের মধ্যে আছে। ঢাকায় আইসিডিডিআর,বি ও আইইডিসিআরের যে গবেষণা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৪৫-৪৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নয় শতাংশ। বস্তি এলাকায় এই সংখ্যা প্রায় ছয় শতাংশের মতো। সেখানে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়েছে ৭৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে। গবেষণাটিতে দেখা গেছে, অনেকেই আছেন যারা করোনাভাইরাস বহন করছেন, কিন্তু, তাদের মধ্যে কোনো লক্ষণ নেই। অনেকের ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। কিন্তু, তারা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়ে আবার নেগেটিভও হয়েছেন। এখন অনেকের ক্লিনিক্যাল ইনফেকশন হয়ে অ্যান্টিবডি ডেভেলপ করেছে। ক্লিনিক্যাল ইনফেকশনের হার প্রায় নয় শতাংশ। আর বস্তিতে প্রায় ছয় শতাংশ। এই যে গবেষণা হলো, কিন্তু, আমাদের গ্রামেগঞ্জে তো কোনো গবেষণা হয়নি। সেটা হলে সারাদেশের অবস্থাটা বোঝা যেত।’
আইসিডিডিআর,বি ও আইইডিসিআরের যে গবেষণা, তার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ঢাকার চিত্র তুলে ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলো। এরপর আইইডিসিআর থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, এই গবেষণার ফলাফল পুরো ঢাকার চিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না। এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যখন সারাদেশে কোনো গবেষণা হয়, তখন পুরো জনগণের ওপর তো সেটা হয় না। একটা স্যাম্পল সংখ্যা থাকে। তার ওপর ভিত্তি করে পুরো চিত্র পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে, তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যেটা বলেছেন, সেটা তারা বলতেই পারেন। তারা ঢাকার সীমিতসংখ্যক স্যাম্পলের ওপর গবেষণাটি করেছে। তারা চাইলে আরও বেশি স্যাম্পল নিতে পারত। সেক্ষেত্রে হয়তো ফলাফল একটু কম-বেশি আসত। কিন্তু, ঢাকার সীমিত সংখ্যক স্যাম্পলের ওপর যে গবেষণাটি করা হলো, সেটিও তো ঢাকার চিত্রই।’
পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে বলেছিলাম এবং আশা করেছিলাম পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে। আগস্টের শুরুর দিক থেকে পরীক্ষার সংখ্যাটা কমতে শুরু করেছে। এর পেছনে অনেক কারণই রয়েছে। যার মধ্যে ফি নির্ধারণ ও পরীক্ষা করাতে যেয়ে ভোগান্তি অন্যতম। এখানে আরেকটা বিষয় রয়েছে, এমনিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তো কমই, আবার ইউনিফর্ম স্যাম্পল সাইজও আমাদের কম। যেমন: একটা নির্দিষ্ট হার থাকা যে একটা উপজেলা থেকে এতগুলো নমুনা নেওয়া বা একটা হটস্পট থেকে এতগুলো নমুনা সংগ্রহ করা। এরকম একটা নিয়ম করে নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি আমাদের এখানে নেই। এটা করলে নিয়মিত একটা তথ্য পাওয়া যেত। যা আমরা করতে পারিনি এবং পারছি না।’
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি শীতকালে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায়, তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন প্রস্তুতি নিতে হবে মানে কী? এখানে দুটো বিষয়। একটা হলো— রোগী যাতে না বাড়ে, সেজন্য প্রস্তুতি। আরেকটা হলো— রোগী বেড়ে গেলে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রী এও বলেছিলেন, জেলা পর্যায়ে আমাদের আইসিইউর ব্যবস্থা করতে হবে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা প্রস্তুত। করোনার সংক্রমণের শুরু থেকে আমরা দেখেছি অনেক ঘাটতি। সেখানে চিকিৎসাব্যবস্থা ও সংক্রমণ রোধে আমাদের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে, আমরা এক হাজার হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা সংগ্রহ করার জন্য বলেছিলাম। সেটা সরকার এখন পর্যন্ত করতে পারেনি। এখন প্রধানমন্ত্রীর কথা হলো আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা আমরা প্রস্তুত। এই দুই কথার মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কি না, সেটা আমরা এখনো জানি না। যেমন: আমাদের জেলা পর্যায়ে কয়টা আইসিইউ আছে, সেটা আমরা জানি না। আবার উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ থাকতে হবে। এটার অবস্থা কী, তাও আমরা জানি না। এখন এগুলো না জানলে তো বোঝা যাচ্ছে না আমরা কতটুকু প্রস্তুত’, বলেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবির যৌথ গবেষণায় পাওয়া ফলাফল ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমাদের ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা উচিত বলেও মনে করেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। ‘কতজনের অ্যান্টিবডি আছে, সংক্রমণের হার কত, কতজনের ক্লিনিক্যাল ইনফেকশন হচ্ছে, এগুলোর ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতে এগোতে হবে’, বলেন তিনি।
‘আমাদের স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, সম্ভবত ফেব্রুয়ারির দিকে আমাদের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে। মনে হলো তিনি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কথাই বলেছেন। এখন সেটা উচ্চপর্যায় থেকে বলা একটা কথা। কিন্তু, এখানে তো আরও অনেক কথা আছে। ভ্যাকসিনগুলোর এলে সেগুলো সংরক্ষণ করার মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না, সেগুলো জেলা-উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না, যারা ভ্যাকসিন নেবে, তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না— এগুলোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কি না, এগুলো আমাদের প্রশ্ন। এখন বলা হচ্ছে যে, আমরা ফান্ড রেডি করে রেখেছি। কিন্তু, এই কথার মধ্যে কিছু প্রশ্ন আছে। এই ফান্ডটা কোথায় আছে? এটা কি স্বাস্থ্য নাকি অর্থ মন্ত্রণালয়ে? যদি অর্থ মন্ত্রণালয়ে থাকে, তাহলে প্রয়োজনের সময় তাদের কাছ থেকে চাওয়া হবে, এরপর সেখান থেকে আসবে, এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। যদি এই ফান্ড বাজেটে রাখা হয়, তাহলে তো আরও সময়সাপেক্ষ। সুতরাং ফান্ডটা কোথায় রাখা হয়েছে, একটা প্রশ্ন আসে। আরেকটা বিষয়, আমরা ফান্ড রেখেছি, এটা ব্যবহার করে আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারব। কিন্তু, এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কিছুই জানি না। আমরা ধরে নিচ্ছি, তারা উচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু, কতটুকু ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটি জানতে পারলে আমরা জনসাধারণ আরও একটু আশ্বস্ত হতাম।’
চীনের সিনোভ্যাকের ট্রায়াল বাংলাদেশে না হওয়ার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেছি বলেই মনে করেন অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন ‘এটার জন্য তো সরকার অনেকদিন সময় নিলো। এখন তারা বলছেন, চীনের ভ্যাকসিন কোম্পানি নাকি বলেছে, তাদের ফান্ড ঘাটতি হয়েছে, তারা অর্থ সহায়তা চায়। এখন সরকার টাকা দিয়ে তো করবে বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে সেটার ট্রায়াল আর হবে না। আমরা এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কারণ, এটার ট্রায়াল ব্রাজিলসহ আরও কয়েকটি দেশে হচ্ছিল, তাই আমাদের আশা ছিল। বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে কিন্তু জেনেটিক পার্থক্যও আছে। ভাইরাসের যে সংক্রমণ, সেটা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলতে পারে।’
‘সবমিলিয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে আমাদের কতটুকু অগ্রগতি, সেটা তো আমরা এখনো জানি না। আমাদের স্বাস্থ্যসচিব শুধু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটার কথাই বলছেন। তিন কোটি ডোজ। এখন শুধু তিন কোটি ডোজ হলে তো আমাদের হবে না। আরও ভ্যাকসিন লাগবে। আরও অনেক প্রতিষ্ঠানও তো আছে। তাই আরও ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার উদ্যোগটা চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া, কোভ্যাক্স ও গ্যাভির সঙ্গে আমাদের কতটুকু যোগাযোগ হচ্ছে, তা জানতে হবে। তাদের মাধ্যমে আমরা কতটুকু ভ্যাকসিন পাব, এ বিষয়ে আমরা যদি তথ্য জানতে পারতাম, তাহলে আরেকটু আশ্বস্ত হতে পারতাম’, যোগ করেন অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় বাংলাদেশে বর্তমানে করোনার পরিস্থিতি কেমন, বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না বলে মনে করেন অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান। ‘সার্বিকভাবে বললে দেশে করোনার সংক্রমণ কমেছে। কিন্তু, কত মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান তো নেই। তা বের করতে হলে র্যানডম পরীক্ষা করতে হবে। মানুষ যে পরীক্ষার করতে আসে, তার মধ্যে থেকে তো পুরো জনসংখ্যার অবস্থা বোঝা যায় না। কিন্তু, বাংলাদেশে যে প্রাদুর্ভাব আগের থেকে কমেছে, এ বিষয়ে মনে হয় না কোনো সন্দেহ আছে। তবে, এগুলো অনুমান থেকে বলা। আমাদের মৃত্যুহারও কমেছে। কারণ, চিকিৎসা করার জ্ঞানও আগের থেকে বেড়েছে। প্রথম দিকে পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা কী হবে, সেটা নির্দিষ্টভাবে কেউ জানত না। এখনো যে সম্পূর্ণ জানে, তা নয়। কিন্তু, আগের থেকে বোধশক্তি অনেকটা বেড়েছে’, বলছিলেন তিনি।
শনাক্তের হার বর্তমানে তুলনামূলক কম হলেও পরীক্ষাও কমে গেছে আগস্টের শুরুর দিক থেকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা কমে গেছে মানে পরীক্ষা করতে মানুষের আসা কমে গেছে। সেটা তো অনেকরকম ভাবেই ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। একটা ব্যাখ্যা দেওয়া যায়, মানুষের এর প্রতি নির্ভরশীলতা কমে গেছে। দ্বিতীয়ত, মানুষ ভাবছে পরীক্ষা করে কী হবে। এখন অন্য দেশে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে তো মানুষকে ধরে ধরে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেটা আমাদের এখানে তো কখনোই করা হয়নি।’
ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো সরকার বলতে পারবে। তবে, আমি এটুকু বলছি যে, ভ্যাকসিন যে কার্যকর হবে, এটা তো এখনো কেউ নিশ্চিত হয়নি। পৃথিবীতে যদি আমরা আগের ইতিহাস দেখি, অনেক ভাইরাস আছে যার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। এইডসের বিরুদ্ধে তো কোনো ভ্যাকসিন নেই। ফ্লুর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন আছে। কিন্তু, প্রত্যেক বছর রিভিউ করতে হয়। এই ভ্যাকসিন নিলে এক বছরের বেশি থাকে না। কারণ, ভাইরাস মিউটেট হয়ে যায়। আবার ওই ভাইরাসটিই নতুন ফর্মে আসে। কাজেই করোনার ভ্যাকসিন কার্যকর যদিও হয়, তাহলে কতদিন ইমিউনিটি হবে, তা আমরা এখনো জানি না। এটা নিতে হবে কি না, তাও জানি না। এটা দিয়ে নির্মূল হবে কি না, তাও জানি না।’
‘এখন বিশ্বে ভ্যাকসিনও তো একটা রাজনীতি হয়ে গেছে। তবে, ধারণা করছি ২০২১ সালের শুরুর দিকেই কিছু ভ্যাকসিন আসবে। বাংলাদেশও পাবে। কিছু তারা কিনবে, আবার কিছু ডোনেশনও পেয়ে যাবে। কিন্তু, বাংলাদেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়াটা তো একটা বিশাল নম্বর। কত কোটি? এখন আজ ঢাকায় ভ্যাকসিন পৌঁছালেও সেটা কত মানুষকে দেওয়া হবে? এটা তো সহজ না। এটা যদি আবার লাইভ ভ্যাকসিন হয়, তাহলে সেটার ট্রান্সপোর্টও একটা বিষয়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমার টাকা আছে, কিনে নেব, বিষয়টি ঠিক এরকম তো না। এখানে রাজনৈতিক কূটনীতিও আছে। আমার ধারণা, বাংলাদেশও পাবে’, যোগ করেন অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান।
বাংলাদেশে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। এর বিস্তারিত আমার জানা নেই।’ সিনোভ্যাক কো-ফান্ডিং চাওয়ায় আপাতত ট্রায়ালের বিষয়টি অনিশ্চয়তায় রয়েছে। এখন এই ট্রায়ালটি আমাদের দেশে না হওয়ায় আমরা পিছিয়ে গেলাম কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’
We use cookies to ensure that we give you the best experience on our website. If you continue to use this site we will assume that you are happy with it.AcceptPrivacy policy
আপনার মতামত জানানঃ