দেশের জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ দেশের যে কোনো স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলেছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে জেলা-উপজেলা সদরে জাতির জনকের ম্যুরাল স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে ৭ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।
আদালত এক মাস পরে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন। আদালত মুজিববর্ষ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারাদেশের জেলা-উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের উদ্যোগের প্রসংশাও করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়া এই মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে জেলা-উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদ’-এর ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুসহ সব ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে আরেকটি শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। রোববার হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় রিটটি করেন আইনজীবী উত্তম লাহেরি।
মিই/নসদ/১৪১০
আপনার মতামত জানানঃ