ইউক্রেনে হামলা চালানোয় রাশিয়ার সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পশ্চিমা নেতাদের নীতি এবং কর্মকাণ্ডও। অভিযোগ আগুনে ঘি ঢালছেন তারা।
পশ্চিমা নেতাদের বিরুদ্ধে দ্বৈত নীতি গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমা নেতারা রাশিয়াকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করার সব রকমের চেষ্টাই করে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন তারা। পাশাপাশি, পশ্চিমা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এ সংঘাতের পক্ষপাতপূর্ণ সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমের বাইরের বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ইসরায়েল যখন ইউক্রেনের জন্য মুখে ফেনা তুলছে তখন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি গোটা বিশ্বের অবিচার। বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, আফগানিস্তান যুদ্ধের কারণে বারবার বিধ্বস্ত হলেও চুপ করে আছে বিশ্ব। অথচ আজ ইউক্রেনের জন্য তারাই গলা ফাটাচ্ছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বিচারিতা
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার দিক থেকে ইরান ও সিরিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া। সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা দেশগুলোর তালিকায় এখন শীর্ষস্থানটি রাশিয়ার। নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন ওয়েবসাইট কাস্টেলাম ডট এআইর তথ্যের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে।
কাস্টেলামের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারির আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৫৪টি নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও ২ হাজার ৭৭৮টি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। এতে রাশিয়ার মধ্যে আরোপিত মোট নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫৩২।
এর মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকা ইরানকে ছাড়িয়ে গেছে মস্কো। ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ থাকা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৬। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলোর ২১ শতাংশই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এতে রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবে ভুগবে।
বিশ্ব অর্থনীতির সবচেয়ে বড় কিছু ‘সুবিধাভোগী’র বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। এই সুবিধাভোগীরা হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পুঁজিবাদী বন্ধুরা। বাইডেনের ভাষ্যে, এই বন্ধুরা ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনকে সমর্থন দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন ও ইইউও রাশিয়ার ওপর ‘কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইতিমধ্যে এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাশিয়ার অভ্যন্তরে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, রাশিয়ানরা লাইনে দাঁড়িয়ে এটিএম ও ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে নিচ্ছে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, সিংহভাগ পশ্চিমা সাংবাদিকরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা খবর জোর গলায় প্রচার করলেও, দেশটির গ্যাস ও অপরিশোধিত তেল রপ্তানির ওপর যে ইউরোপ-আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়নি, সে খবর আর প্রচার করছেন না।
ইউরোপে রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় পাইপলাইন গাজপ্রম। এই গাজপ্রম এখনও ইউরোপীয় গ্রাহকদের অর্ডারের ভিত্তিতে ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করছে।
ইউক্রেন ২০১৪ সালে রাশিয়া থেকে সরাসরি গ্যাস নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু একই পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপের মাধ্যমে গ্যাস নিচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও এভাবেই গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক রাশিয়া, একইসাথে সর্ববৃহৎ গ্যাস রপ্তানিকারকও।
ইউরোপীয় দেশগুলোতে যদি রাশিয়ার গ্যাস যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শীতকালে ইউরোপের ঘরবাড়ি গরম রাখার উপায় থাকবে না। তাতে ঠান্ডায় জমেই মারা যাবে বহু মানুষ। এছাড়া বিমান ও গাড়ি রিফুয়েল করতেও গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
আরেক বৃহৎ রপ্তানিকারক কাতারের চেয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে বেশি সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস পায় ইউরোপের দেশগুলো।
এদিকে, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অচল কুমার মালহোত্রা বিবিসিকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা পেতে পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন পুতিন। আর এখন পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কার্যকরী প্রমাণিত হয়নি। আমার ধারণা, ইউক্রেনে হামলা চালানোর আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে পশ্চিমা দেশগুলো তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এবং সে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে সামলাতে হবে, তার উপায়ও তিনি ভেবে রেখেছেন।
পুতিন অর্থনীতির চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানেন নিষেধাজ্ঞা হলো দোধারী তলোয়ার। নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাহলে এই নিষেধাজ্ঞার কারণ কী? যুদ্ধকে উস্কে দেয়া। এই প্রশ্ন উঠে আসছে।
সংবাদমাধ্যমের ‘বর্ণবাদ’
বেশ কয়েকটি দেশের সংবাদ সংস্থা পশ্চিমা গণমাধ্যমের সমালোচনা করে অভিযোগ তুলেছে যে ইউক্রেন যুদ্ধের সংবাদ প্রচারে পশ্চিমা সাংবাদিকেরা ‘বর্ণবাদী’ আচরণ করছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ-সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনের সময় সিবিএস, টেলিগ্রাফ, আল-জাজিরার মতো খ্যাতনামা সংবাদ সংস্থাগুলো বর্ণবাদী খবর প্রচার করছে জানিয়ে রোববার সংগঠনটি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাংবাদিক সংগঠন এএমইজিএ।
এএমইজিএর বিবৃতি অনুসারে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিবিএস নিউজের প্রতিবেদক শার্লি ডি’অগাতা ইউক্রেন সম্পর্কে মন্তব্য করতে এক পর্যায়ে গিয়ে বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গেই বলছি যে এটা ইরাক কিংবা আফগানিস্তানের মতো কোনো জায়গা নয়, যেখানে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। ইউক্রেন অপেক্ষাকৃত সভ্য, অপেক্ষাকৃত ইউরোপীয় অঞ্চল। আমি বেশ ভেবে-চিন্তেই শব্দগুলো বলছি। এটা এমন অঞ্চল যেখানে এসব বিষয় ঘটতে পারে বলে আপনি আশা করেন না।’
যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের মানুষের ওপর নেমে আসা দুর্ভোগ নিয়ে টেলিগ্রাফে ড্যানিয়েল হানান লিখেছেন, ‘তারা [ইউক্রেনিয়ানরা] দেখতে যেন আমাদের মতোই। আর এ জায়গাতেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে। যুদ্ধ এখন এমন কোনো বিষয় নয় যা দূরের কোনো দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীকে আঘাত হানবে। যে-কেউ এর কবলে পড়তে পারে।’
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আল-জাজিরা ইংরেজির উপস্থাপক পিটার ডোবি বলেন, ‘তাদেরকে দেখতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থী বলে মনে হবে না। এরা উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও পালানোর চেষ্টা করছে না। এরা দেখতে আপনার পাশের বাসার যেকোনো ইউরোপীয় পরিবারের মতোই।’
বিএফএম টিভির প্রতিবেদক ফিলিপ করবে বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ওপর পুতিনের হামলায় পালাতে থাকা সিরিয়ানদের কথা বলছি না। আমরা ইউরোপীয়দের কথা বলছি যারা দেখতে আমাদের মতোই। প্রাণ বাঁচাতে তারা গাড়িতে করে দেশ ছাড়ছে।’
বর্ণবাদী ও ইউরোপকেন্দ্রিকক প্রতিবেদনের জন্য বিবিসিও সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিবিসিতে ইউক্রেনের ডেপুটি চিফ প্রসিকিউটর ডেভিড স্যাকভেয়ারলিজের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। সেখানে তিনি বলেন: ‘এটা আমাদের জন্য খুব আবেগের বিষয়। কারণ আমি প্রতিদিন পুতিনের ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও রকেটের আঘাতে সোনালি চুল আর নীল চোখের ইউরোপীয় মানুষদের মারা যেতে দেখছি।’
পশ্চিমা সাংবাদিকদের এসব মন্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকেই। এসব মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিডিও ক্লিপ। অনেকেই দাবি করছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যম ও নেতাদের এরকম দ্বিমুখী নীতি ও কার্যকলাপের জন্যই এত খারাপ চেহারা নিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত।
ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বের ভণ্ডামি
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করল, তখন থেকেই বিশ্ববাসী ইউক্রেনের জনগণের বীরত্ব ও সহনশীলতাকে শ্রদ্ধা ও সমীহ করছে। রাশিয়ার প্রথম সেনাদল ইউক্রেনের মাটিতে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার ইউক্রেনবাসী হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। ইউক্রেনের জনগণের এই বীরত্ব ও মর্যাদা বিশ্বের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিককে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বাধ্য করেছে।
ইউক্রেনের ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা’দের প্রতি তারা সমর্থন জানিয়েছেন। এই দলে আছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিডও। এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে রাশিয়ার এই হামলাকে তিনি ‘আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন। এই হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি ইউক্রেনের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে বহু যুদ্ধের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সংঘাত নিরসনের পথ যুদ্ধ নয়।
ফিলিস্তিনিদের কাছেলিপিডের এই সমর্থনসূচক বক্তব্য সজোরে চপেটাঘাত ছাড়া আর কিছু নয়। নির্লজ্জ, ভণ্ডামির এক জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত এটি। রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর ক্ষেত্রে শুধু ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভণ্ডামি করছেন না, ইসরায়েলের লোকজনও তা করছে। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর তাদের যে নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড, সেটা আড়ালে রেখেই তারা ইউক্রেনের জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রামে সমর্থন দিচ্ছে।
ইউক্রেনের সমর্থনে তেল-আবিবে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক বিক্ষোভ করেছে। তারা ইউক্রেনের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেছে। দাবি তুলেছে, ‘ইউক্রেনকে মুক্ত করো’। ফিলিস্তিনিরা বাক্রুদ্ধ চোখে সেটা দেখেছে। ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’, এমন দাবি নিয়ে কোনো ইসরায়েলিকে কোনো দিন রাস্তায় দেখা যায় না। তাদের জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের সম-অধিকারের কথাও তারা কোনো দিন বলে না। ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামেন, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ বলে স্লোগান দেন, সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি বর্বরতা, এমনকি আরও খারাপ কিছুর মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
বছরের পর বছর ধরে বিশ্বসম্প্রদায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভণ্ডামি করে আসছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ফিলিস্তিনিরা নতুন করে আবার সেই ভণ্ডামির মুখোমুখি হলো। তারা জানতে পা, আমরা তারা জন্মভূমিতে যেসব ভয়ানক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন, তা রুখে দেওয়ার মতো আন্তর্জাতিক আইন আছে। শুধু কাগজে-কলমের আইন নয়, সেটা কার্যকরও হয়।
গত কয়েক দিন সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভরে উঠছে ইউক্রেনের জনগণের ‘বীরত্ব ও প্রতিরোধ’-এর গল্পে। রাশিয়ার ট্যাংকবহরের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে কীভাবে সেনারা ব্রিজ উড়িয়ে দিচ্ছে, হাতের কাছে যা কিছু পাচ্ছে, তা-ই দিয়ে কীভাবে বেসামরিক নাগরিকেরা সশস্ত্র যানবাহনে হামলা চালাচ্ছে, সাধারণ মানুষ কীভাবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং পরিখা খুঁড়ছে— এসব বীরত্বপূর্ণ কাহিনি আমরা জানতে পারছি। ইউক্রেনের বদলে ফিলিস্তিনের কোথাও যদি এমন একটি ঘটনা ঘটত, তাহলে সেটা আর বীরত্বের কাহিনি থাকত না। স্রেফ সেটাকে সন্ত্রাস বলে দায়ী করা হতো।
বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন, যুদ্ধের বলি সব মানুষকে সমর্থন দিতে হবে। আমাদের অবশ্যই ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, লিবিয়া, আফগানিস্তান ও কাশ্মীরের বিষয়ে কথা বলা শুরু করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতাসংগ্রামী সব মানুষের সংগ্রামকে সমর্থন করা উচিত।
এসডব্লিউ/এসএস/১২৫০
আপনার মতামত জানানঃ