মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে সংসদীয় তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক এই এমডির আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নিয়মভঙ্গের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো কাজ করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ইফতেখারুল ইসলাম খান এখন অবসর জীবন যাপন করছেন।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নিয়ম ভঙ্গের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। দুর্নীতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন তিনি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর ইফতেখারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে একটি সাব-কমিটি গঠন করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তার বিরুদ্ধে সংসদীয় কমিটিতে ৫টি লিখিত অভিযোগ এসেছিল। যার ভিত্তিতে ওই তদন্ত কমিটি করা হয়।
ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। সদস্য ছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। গত ২ মার্চ সংসদীয় কমিটিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় উপকমিটি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইফতেখারুল ইসলাম খান সরকারি বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন। ট্রাস্টের সম্পত্তি লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম নীতি মানেননি। নিজের ছেলের সেবা যত্নের জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে ট্রাস্টের কর্মচারীদের নিয়োগ করেছিলেন। তার দুর্নীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই তদন্তের সময় ইফতেখারুল ইসলাম তদন্ত কমিটিতে উপস্থিত হননি। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্যও পাঠাননি। সুযোগ থাকার পরও তা গ্রহণ না করায় প্রকারান্তরে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো সত্য বলে প্রমাণিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হিসেবে নিয়োগ পান অতিরিক্ত সচিব ইফতেখারুল ইসলাম খান। ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে একটি উপকমিটি গঠন করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তার বিরুদ্ধে সংসদীয় কমিটিতে পাঁচটি লিখিত অভিযোগ এসেছিল। যার ভিত্তিতে ওই তদন্ত কমিটি করা হয়।
যদিও ইফতেখারুল ইসলাম খান দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। অর্থহীন বিষয়ে সুপারিশের কোনো মানে হয় না। আইনানুগভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বলে তিনি ওই কমিটিকে নিজের কোনো বক্তব্য দেননি।
অবশ্য তদন্ত প্রতিবেদনে ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে বলা হয়, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন মেটাল প্যাকেজিং লিমিটেডের দুই একর জমির ইজারা প্রদানে সাউথইস্ট মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ ছিল সর্বোচ্চ দরদাতা। কিন্তু তিনি তার অনুগত একজন সর্বনিম্ন দরদাতাকে সর্বোচ্চ দরদাতা দেখিয়ে জমিটি ইজারা দেন। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সাবেক এমডি এটি করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাস্টের নির্বাহী কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া ঢাকার পূর্ণিমা ফিলিং স্টেশন ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়ম ভঙ্গের বিষয়টি তদন্তে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সরকারি ক্রয় নীতিমালায় ‘গেট টেন্ডার’ বলে কিছু নেই উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইফতেখারুল ইসলাম খান মনগড়াভাবে ‘গেট টেন্ডার’ নাম দিয়ে ট্রাস্টের ৭টি জমি এবং তাবানী বেভারেজের ৭ দশমিক ২৫ একর জমি ইজারা দেন।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নিয়ম ভঙ্গের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। দুর্নীতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাস্টের একজন গাড়ি চালককে সার্বক্ষণিক ইফতেখারুল ইসলামের বাসায় নিয়োজিত করা হয়। বেতন ভাতা দেওয়া হয় ট্রাস্ট থেকে। ইফতেখারুল ইসলামের ছেলে ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার সেবাযত্নে সার্বক্ষণিক কাজ করার জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের তিনজন কর্মচারীকে সেখানে নিয়োগ করা হয়। তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হত ট্রাস্ট থেকে। ট্রাস্টের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সিরাজুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই খাতে ব্যয় হয়েছে ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৫ টাকা।
ইফতেখারুল ইসলামের জন্য ২১ হাজার ৯০০ টাকায় একটি মোবাইল কেনার পর অতিরিক্ত আরও দুটি মোবাইল কেনা হয়। এতে খরচ হয় ৫৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। আরেও অন্যান্য খাত মিলে ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৮৯ টাকা ইফতেখারুল আলম এবং তার সহযোগী ট্রাস্টের সাবেক সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার এবং ডিজিএম সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে আদায় করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে ইফতেখারুল ইসলাম খানের অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারীমূলক কাজের প্রধান সহযোগী হিসেবে ডিজিএম সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
নগদ অর্থ আয়ের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। কিন্তু বাজার প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এবং দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি এখন বন্ধের মুখে। রিয়েল এস্টেটসহ সব শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের স্থাবর-অস্থাবর জমি থেকে মাসে আয় হয় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। বিপরীতে ব্যয় প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্যয়ের ঘাটতি মেটানো হয় ট্রাস্টের ১৯২ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত থেকে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ৩২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে রাজধানীর টয়েনবি সার্কুলার রোডে পূর্ণিমা ফিলিং স্টেশনটি চলছে সেই পাকিস্তান আমল থেকেই। ৩২টির মধ্যে এটিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যা এখনো সচল। অলাভজনক দেখিয়ে গেল বছর এই প্রতিষ্ঠানটিকেও ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যদিও ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি লোকসানে ছিল না কখনোই। একসময়ের লাভজনক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা উৎপাদনকারী তাবানী বেভারেজও বন্ধ হওয়ার পর ভাড়া দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার এক বছরের মাথায়, ১৯৭২ সালে করপোরেট বডি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে উদারহস্তে বিপুল সম্পত্তিসহ রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের লাভজনক ১৮টি চালু শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টের হাতে ন্যস্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এর পাঁচ বছরের মাথায় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আরও ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টকে দিয়েছিল শিল্প মন্ত্রণালয়।
পরে ট্রাস্ট একটি হাসপাতালসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান নতুন করে স্থাপন করে, যা চালুর কয়েক বছরের মাথায়ই বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে শুধু রাজধানীর টয়েনবি সার্কুলার রোডে পূর্ণিমা ফিলিং এন্ড সার্ভিস স্টেশন নামের ফিলিং স্টেশনটি চালু রয়েছে। এখান থেকে মাসে ৬ লাখ টাকা আয় হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই বেভারেজ, ভোজ্য তেল, চকলেট, রাসায়নিক, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং, গ্লাস ও অ্যালুমিনিয়াম, রাবারসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের ব্যবসায় নেমেছিল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। এছাড়া তারা সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ ও ফিলিং স্টেশনও পরিচালনা করে।
কিন্তু নানা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় নগদ টাকা আয়ের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু করা সম্পদশালী ট্রাস্টটি রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে জানান তারা।
১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ট্রাস্ট ত্রাণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন ছিল। পরের ১৯ বছর একে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখা হয়। ২০০১ সালে ট্রাস্টকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হয়।
ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করার পর থেকেই লাভজনক কোম্পানিগুলো একে একে লোকসান করতে থাকে। এ কারণে ১৯৮১ সালে সরকার ট্রাস্টের সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ দশমিক ৮৪ একর জমি ও যন্ত্রপাতি মাত্র ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়-দেনা মেটায়।
ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচাতে সরকার ট্রাস্টের ১২৬ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও মওকুফ করে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কারণে বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করা হচ্ছে না, চালু মার্কেটগুলো থেকেও কাঙ্ক্ষিত আয় নেই। ফলে সরকারের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করতে হচ্ছে ট্রাস্টকে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৫৮ একরেরও বেশি জমিসহ মোট ৬৬ একর জমির মধ্যে ট্রাস্টের দখলে আছে প্রায় ৬২ একর। বাকি জমি ট্রাস্ট্রের অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিভিন্ন লোক দখল করে মামলা করে রেখেছে। এসব বেদখল জমি উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই।
এসব প্রতিষ্ঠান ধরে রেখে কোনো লাভ নেই জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতি ও লোকসানের কারণে শুধু ঢাকার একটি ফিলিং স্টেশন ছাড়া বিপুল জমিসহ প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কিছু লোক জমিগুলো দখল করে ১৮-২০ বছর আগে মামলা করে রেখেছে। সেসব মামলার কোনো শুনানিও হয় না। যেসব মার্কেটে ট্রাস্টের দোকান রয়েছে, সেখান থেকেও কাঙ্ক্ষিত আয় হচ্ছে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব নয়। এ কারণেই আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সব সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সংশ্লিষ্টদের মতে, মূলত যোগ্য নেতৃত্বের অভাব এবং দূরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত না থাকায় ট্রাস্টটি ডুবতে বসেছে। এর সঙ্গে রয়েছে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাস্তবমুখী কল্যাণ নিশ্চিত করতেই মূলত দীর্ঘদিন পরে থাকা অব্যবহৃত সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘প্যাশন’ আছে, তাদের দায়িত্ব না দিলে অবস্থা এমনই হবে। ট্রাস্টের সব সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা স্থায়ী আমানত করে ব্যাংকে জমা রাখাও ভালো। এতেও মাসে এক শ থেকে দেড় শ কোটি টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
তারা বলেন, দুর্নীতি আর অনিয়মে কেবল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টই অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েনি, দেশের এমন কোনো সংস্থা নেই যাতে দুর্নীতি আর অনিয়ম নামের কোনো ঘুণপোকা নেই। আশঙ্কার বিষয় এই যে, কবে না জানি দেশটাই অন্তঃসারশূন্য হয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। এই আশঙ্কার বাস্তব চিত্র দেশের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪১৪
আপনার মতামত জানানঃ