হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই মাদ্রাসা ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়ার পুলিশ এস এম তানভীর আরাফাতের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মুহিদ উদ্দীন এসব তথ্য জানান।
কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও দুইজন মাদ্রাসারা ছাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় শনিবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি কে এম নাহিদুল ইষলাম,কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরফাতসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন,কুষ্টিয়া শহরতলীর জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ(রা.) মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমিন(২৭),শিক্ষক ও পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার আজিজুল মন্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী(২৬) এবং একই মাদ্রসার হেফজ বিভাগে অধ্যায়নরত ছাত্র মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠু(১৯) দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার সামসুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ(২০)। মাদ্রাসা থেকে হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে সাদা রঙ লেগে ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মাওলানা মামুনুল হক ও সৈয়দ মহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবু বক্কর ও সবুজ ইসলাম শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচা রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন।
ঘটনার রাতে তারা দুইজন একসঙ্গে মাদ্রাসা থেকে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাঁচ রাস্তায় মোড়ে যান। ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যবহৃত বাঁশের মই বেয়ে দুইজন ওপরে ওঠে। এরপর সবুজ পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করেন। দুইজন মিলে ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। আট মিনিট ধরে ভাঙচুরের পর তারা আবার হেঁটে মাদ্রাসায় ফিরে যান।
শনিবার সকালে তারা বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফকে জানান। দুই ছাত্র পরে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
ঢাকার সেরা ছয়টি ভাস্কর্য
[soliloquy id=”2470″]
এসডব্লিউ/নসদ/১৯১০
আপনার মতামত জানানঃ