
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিষেধাজ্ঞা হলো ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে ঐকমত্য।
আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে বার্তা আদানপ্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো একমত হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তেল ও গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে রাশিয়া যে অর্থ আয় করে, সেই অর্থ আদায়ে দেশটি সুইফটের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার এসব ব্যাংকে বৈদেশিক অর্থ লেনদেন বন্ধ করাই তাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা রয়েছে—এমন পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোও এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এতে বাংলাদেশ-রাশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। কারণ এক দেশ থেকে আরেক দেশের ব্যাংকে লেনদেন করতে সুইফট ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। তাই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করতে পারলে দেশের আমদানি-রপ্তানির মূল্য পরিশোধ দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে। বাধাগ্রস্ত হবে বিনিয়োগ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে থেকে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যার মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে সবচেয়ে বেশি। আমদানি হয়েছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য, যার বেশিরভাগই খাদ্যপণ্য। এসব পণ্যের মূল্য পরিশোধ সিংহভাগই হয়েছে পেমেন্ট সিস্টেম সুইফটের মাধ্যমে।
এখন এ সেবা বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়বে দু’দেশ। তবে সুইফটের বিকল্প হিসেবে দু’দেশের ‘কারেন্সি সোয়াপ’ পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তির একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে দু’দেশের মধ্যকার ব্যাংকিং লেনদেনে তেমন সমস্যা হবে না।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর আমদানি-রপ্তানির অর্থ পরিশোধ দুরূহ হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ রাশিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অর্থছাড়ও বাধাগ্রস্ত হবে। অবশ্য সুইফটের বিকল্প হিসেবে দু’দেশের ‘কারেন্সি সোয়াপ’ পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তির একটি প্রস্তাবনা বিবেচনায় রয়েছে। এটি কার্যকর হলে দু’দেশের মধ্যকার লেনদেনে বড় কোনো সমস্যা হবে না।
সংশ্নিষ্টরা মনে করছেন, বিশ্বরাজনীতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বৈরিতার কারণে অনেক আগে থেকে সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তিকে অনিরাপদ মনে করে রাশিয়া। যে কারণে কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা ‘এসপিএফএস’ চালু করেছে। বাংলাদেশকেও ব্যাংকিং লেনদেনের বার্তা পাঠানোর এই বিকল্প ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে রাশিয়া। তবে তাতে সায় দেয়নি বাংলাদেশ।
এসপিএফএস ব্যবস্থার পরিবর্তে কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তির বিষয়টি নিয়ে এগোচ্ছে দু’দেশ। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বৈরিতার পরিপ্রেক্ষিতে এটি কতদূর এগোবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বাংলাদেশ-রাশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। কারণ এক দেশ থেকে আরেক দেশের ব্যাংকে লেনদেন করতে সুইফট ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। তাই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করতে পারলে দেশের আমদানি-রপ্তানির মূল্য পরিশোধ দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে। বাধাগ্রস্ত হবে বিনিয়োগ।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন। এ ব্যবস্থা চালু হলে এক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপর দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বিপরীত মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে রাশিয়ান মুদ্রার হিসাব। আর রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকবে টাকার হিসাব। আমদানি, রপ্তানি ও অন্যান্য বাণিজ্য নিষ্পত্তির অতিরিক্ত পাওনা আন্তর্জাতিকভাবে বিনিময়যোগ্য তৃতীয় মুদ্রায় এক দেশ আরেক দেশকে পরিশোধ করবে। এই তৃতীয় মুদ্রা কী হবে, তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য রপ্তানি হয়। দেশটি থেকে গম, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে আমদানি হয়েছে সাত কোটি ৫৪ লাখ ডলারের পণ্য। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। একই সময়ে আমদানি হয় ৪৬ কোটি ৬৭ কোটি ডলারের পণ্য।
সংশ্নিষ্টরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে আমদানি-রপ্তানির চেয়ে বাংলাদেশের জন্য বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এবং বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়া থেকে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির জন্য ২০১৭ সালে এলসি খোলা হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা ৯৭ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশান ফেডারেশনের ‘অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট’-এর সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তিমূল্যের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করছে দেশটি।
রুশ ব্যাংকে সুইফটের নিষেধাজ্ঞা এলে আমদানি-রপ্তানি বিল পরিশোধে সমস্যা হবে জানিয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নতুন চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, সুইফট বন্ধ হলে রাশিয়ার সঙ্গে যেসব ব্যাংকের চুক্তি বা লেনদেন রয়েছে তাদের জন্য বেশ ক্ষতি হয়ে যাবে। যেসব ব্যবসায়ী রাশিয়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাদের এলসির বিল থাকলে সেগুলো দেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানি না, যদি নিষিদ্ধ হয় তাহলে আমাদের জন্য খুবই সমস্যার সৃষ্টি হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে গত শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। বিবৃতিতে বলা হয়, যেহেতু রাশিয়ার সৈন্যরা কিয়েভসহ ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে, সেহেতু আমরা রাশিয়াকে আটকাতে সংকল্পবদ্ধ। রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং আমাদের অর্থনীতি থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে।
রাশিয়ার নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাংককে সুইফট মেসেজিং সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়াসহ সামনের দিনগুলোতে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটা নিশ্চিত করা হবে যে নির্দিষ্ট ওই ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হবে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম চালানোর ক্ষতির মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রুত সমাধান না হলে এই সংকটের বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরেও। বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য পণ্যের দাম বাড়লে তার প্রভাব সব ক্ষেত্রেই পড়ে। আর এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই চিন্তার বিষয়। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। এটা যানবাহন, কৃষি- সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ে।
সিপিডি’র বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি বলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় অন্য দেশগুলোও দেশটির সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না, তাহলে সেটা হবে মারাত্মক বিষয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য বড় কোনো সমস্য দেখা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ চাপে আছে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান গম আমদানিকারক সিটি গ্রুপের একজন পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে প্রতিবছর আট থেকে দশ লাখ টন গম আমদানি হয়। সেটা বাধাগ্রস্ত হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর একের পর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এবার বিশ্বের আন্তঃব্যাংক বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম সুইফট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরজুলা ফন দেওয়ার লায়েন গতকাল এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও কানাডা সমর্থন জানিয়েছে। যদিও কখন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সুনির্দিষ্ট করে তা বলা হয়নি।
সুইফট কী, কীভাবে কাজ করে?
১৯৭৩ সালে তৈরি হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামে। বিশ্বের ১১ হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনের বিষয়ে বার্তা আদানপ্রদানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এই সুইফট।
সুইফট এর পূর্ণরূপ সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকম্যুনিকেশন। বিশ্বব্যাপী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আর্থিক লেনদেন করতে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য আদান প্রদানের জন্য সুইফটকে একটি নিরাপদ নেটওয়ার্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি মূলত একটি তাৎক্ষণিক মেসেজিং ব্যবস্থা, যা কোনো লেনদেনের ব্যাপারে গ্রাহককে তৎক্ষণিক জানিয়ে দেয়। বিশ্বের অধিকাংশ ব্যাংক নিজেদের মধ্যকার বার্তা আদান প্রদানের কাজে সুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
সুইফট নেটওয়ার্ক দিয়ে সরাসরি অর্থ প্রেরণ করা যায় না, এটা শুধু অনলাইনে পেমেন্ট অর্ডার প্রেরণ করে। একটি ব্যাংক তাদের সুইফট নেটওয়ার্কে সংযুক্ত অন্য একটি ব্যাংককে অর্থ পরিশোধের অনুরোধ পাঠায় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সেই আদেশ গ্রহণ করে সে অনুযায়ী কাজ করে।
বিশ্বব্যাপী খুবই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখলেও কোনো দেশের ওপর অবরোধ আরোপের আইনি ক্ষমতা নেই এই প্রতিষ্ঠানটির।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, রাশিয়া যাতে তার যুদ্ধকালীন অর্থ ভাণ্ডার ব্যবহার করতে না পারে, পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো সে বিষয়ে কাজ করছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাতে কোনো সম্পদ বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সুইফট নিয়ন্ত্রণ করে কারা?
সুইফট তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ান ব্যাংকসমূহের উদ্যোগে, যারা চাননি একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো একক সিস্টেম তৈরি করে কাজ করবে এবং নিজেদের একচেটিয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন পরিচালনা করবে।
যৌথভাবে এই নেটওয়ার্কের মালিক বিশ্বের দুই হাজার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বড় বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মিলে বেলজিয়ামের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক অব বেলজিয়াম সুইফটের কাজকর্ম দেখাশোনা করে থাকে।
এই নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পরিচালিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিশ্চিত হয় সুইফটের মাধ্যমে। কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে পক্ষ অবলম্বন করার কথা নয় প্রতিষ্ঠানটির।
তবে ২০১২ সালে পরমাণু কর্মসূচির কারণে ইরানের ওপর সুইফটের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এতে করে দেশটির তেল রপ্তানি থেকে আয় অর্ধেক কমে গিয়েছিল এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ হারিয়েছিল।
সুইফট বলছে, কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে তাদের কোনো প্রভাব থাকে না। বরং নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ভর করে কোনো দেশের সরকারের ওপর।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৭০২
আপনার মতামত জানানঃ