মৌলবাদ বোমার মতই এক মারণাস্ত্র, এর চর্চার ফলাফল মনুষ্যত্বের মৃত্যু। বাংলাদেশ ও মৌলবাদ সম্পূর্ণ বিপরীত দুটি শব্দ। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মই হয়েছে মৌলবাদের চর্চাকারী এক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারপরও আমাদের আজ দাঁড়াতে হয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ফেরদৌস খান নির্ঝর ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত ‘ধর্ম ব্যবসা ও মৌলবাদ বিরোধী’ প্রতিবাদী সন্ধ্যায়।
৫ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপস্থিত বক্তারা ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। প্রতিবাদী সন্ধ্যায় প্রতিবাদী কবিতা, মূকাভিনয়, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমে মৌলবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে আয়োজকদের মধ্যে সৈকত নামে একজন বলেন, ‘আমাদের অবস্থান ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যারা ধর্মকে পূঁজি করে ব্যবসা করে, রাজনীতি করে। আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি একটি গোষ্ঠী ধর্মকে পূঁজি করে দেশকে অস্থিরতার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত সৈনিকরাই এর অগ্রভাগে রয়েছে। মৌলবাদের শিকড় উপরে ফেলতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তারেক হাসান নির্ঝর বলেন, ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির অপূর্ব স্রোতধারা তখনই বাধার মুখে পড়ে, যখন ধর্মের নাম করে কিছু অসৎ ব্যক্তি এদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মের প্রতি নির্জলা আর পবিত্র অনুভূতি নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করে৷ তিনি আরো বলেন, ‘এদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতির সঙ্গে যেমন মিশে আছে পালা-পার্বন, লালন-ভাটিয়ালি, রবীন্দ্র-নজরুল তেমনি এদেশের সংস্কৃতির আষ্টেপৃষ্ঠে লেপ্টে আছে গান, কবিতা, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্যসহ শিল্পকলার নানা অনুষঙ্গ।’
মিই/নদস/১০২০
আপনার মতামত জানানঃ