হত্যা ছাড়াও চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, নির্যাতন, এমনকি ধর্ষণসহ আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ শুধু সাধারণ পর্যায়ের কর্মী বা নেতার বিরুদ্ধে নয়, ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আছে৷ তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে ছাত্রলীগ কি সন্ত্রাসীদের সংগঠন! যদিও এই প্রশ্ন বেশ পুরনো।
২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন মেধাবী ছাত্র আবু বকর৷ ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শক্ত ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে আবু বকরের মাথা থেঁতলে দেয়া হয়৷ এই হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়৷ ২০১৭ সালে আদালতের রায়ে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পায়৷
ওই একই বছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ইফতারের টোকেন নিয়ে সংঘর্ষ বাধে রাজশাহী ছাত্রলীগের মধ্যে৷ তার জের ধরে দলটির কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে পিটিয়ে শাহ মখদুম হলের দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়৷ এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় ১০ জন, যাদের সবাই এখন জামিনে৷
২০১২ সালে জানুয়ারিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়েরকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে তারই সংগঠনের প্রতিপক্ষরা৷ এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন৷ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রাখে হাইকোর্ট৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজনই পলাতক৷
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নৃশংস হামলায় পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যু হয়৷ সেসময় ১৮ দলের অবরোধ চলছিল৷ বিশ্বজিৎ শিবির কর্মী এমন ধারণা করে তাকে চাপাতি, কিরিচ দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কোপায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ এই মামলার সব আসামীও বেকসুর খালাস পায়।
বাদ যায়নি শিশুও। ২০১৩ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় মারা যায় ১২ বছরের শিশু রাব্বি৷
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তাপস সরকার৷ ২০১৬ সালে এই ঘটনায় ২৯ নেতাকর্মীর নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ৷ মূল আসামী আশরাফুজ্জামানসহ গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জনই জামিনে পান৷
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবরের এমসি কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষা দিয়ে বের হবার পরই খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)-র ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম৷
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র কিছু যুবক ধানমন্ডি, জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে৷ হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে পরিচয় সহ খবর বের হয়৷ কিন্তু এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, কারও বিচারও হয়নি৷
দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে৷ তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গত ২০১৮ সালের ২ জুলাই৷ তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় পেটায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী৷ তাকে হাতুড়ি পেটা করে দলটির সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷
ওই বছরেরই ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে এহসান নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ নিজের ক্যালকুলেটর ফেরত চাইলে এই হামলা চালায় তারা৷ এসময় তাকে শিবির কর্মী বলেও অপবাদ দেয়া হয়৷ হামলায় এহসানের চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়৷ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার হলেও তারা হলে থাকতেন বলে খবর বের হয়৷ অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় দেশ ছাড়ে এহসান৷
শুধু হত্যা মারধর নয় ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করছে ছাত্রলীগ। এমসি কলেজর চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণে আটক হয় ৮ ছাত্রলীগ নেতা। ওই কলেজ এলাকায় বেড়াতে গেলে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বহুল আলোচিত এ গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।
মূলত রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্রছায়াতেই ছাত্রলীগ নেতারা নির্দ্বিধায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এ প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্র নেতা এবং ডাকসুর দুইবারের ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘শুধু বুয়েট নয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন ছাত্রলীগের টর্চার সেল আছে৷ আসলে এই ছাত্র সংগঠনটি এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে৷ তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এদের ব্যবহার করছে৷ প্রতিবাদ ও ভিন্নমত দমনের জন্য এদের ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ফলে এই ছাত্র সংগঠনটির সন্ত্রাসই রাজনৈতিক চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এর ফলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে৷ আর সাধারণ ছাত্ররা তাদের হাতে মারা পড়ছে, নিগৃহীত হচ্ছে৷”
এরই ধারাবাহিকতায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বাবার বয়সী এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববদ্যিালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মীর আরশাদুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, রবিউল ইসলাম রবি নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখার সামনে একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার জামার কলার ধরে মারতে উদ্যত হন। তিনিসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আশপাশের বেশ কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে থামাতে যান। কিন্তু অভিযুক্ত নিজেকে ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিচয় দিয়ে বলেন, এটা অন্যদের দেখার বিষয় না।
এ প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, টিএসসির জনতা ব্যাংক শাখার সামনে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে ঝালমুড়ি দিতে বলে রবিউল ইসলাম রবি তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসেন। অনেকক্ষণ হলেও ঝালমুড়ি না পেয়ে রবিউল ইসলাম ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পূর্বের পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় ঝালমুড়ি বিক্রেতার শার্টের কলার ধরে তাকে মারধর করার উপক্রম হন রবিউল ইসলাম রবি।
ভুক্তভোগী ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতা জানান, আমার কোনো অপরাধ নেই। ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি পূর্বে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ঝালমুড়ি খেয়ে টাকা দেননি। বকেয়া টাকা চাওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকে মারধর করেছে।
শুধু ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাই নয়, টিএসসির বিভিন্ন চায়ের দোকানে চা খেয়ে টাকা না দেওয়া, টিএসসি এলাকায় আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কয়েকটা ভ্রাম্যমাণ দোকান চালান বলেও অভিযোগ রয়েছে রবির বিরুদ্ধে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমি ঝালমুড়িওয়ালার কাছে ঝালমুড়ি চাইলে সে আমাকে দাঁড় করিয়ে অন্যদের ঝালমুড়ি দিতে থাকে। এতে আমি রাগান্বিত হয়ে তার কলার ধরে অন্যপাশে নিয়ে যাই। আমি শুধু জিজ্ঞেস করি, কেন আমাকে ঝালমুড়ি না দিয়ে অন্যদের দিচ্ছে। তবে আমি তার গায়ে হাত তুলিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাগের মাথায় ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে দুটা ধাক্কা দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছি আমার ভুল হয়েছে। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি কোনো দোকানে খাইলে বিল পরিশোধ করে থাকি। তার কাছে আমার কোনো বাকি ছিলো না। হয়তো আমার কোনো জুনিয়র আমার নাম করে ঝালমুড়ি খেয়ে গেছে যে বিষয়টা আমি জানি না।’
তিনি বলেন, হুট করে সবার সামনে আমাকে পাওনা টাকার ব্যাপারে এভাবে বলবে এটা ভাবতেও পারিনি। রাজনৈতিক পরিচয় বাদেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমার কাছে বিষয়টি সিনক্রিয়েটের মনে হয়েছে তাই রাগান্বিত হয়ে গেছিলাম। ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আমি চিনি। পরে আমি বিষয়টার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, যেটি ঘটেছে সেটি দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও গর্হিত। ছাত্রলীগের যে সাংগঠনিক সংস্কৃতি তার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তবে ব্যবস্থা গ্রহণেও অপরাধপ্রবণতা কমছে না ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে। পদ ও ক্ষমতা দেখিয়ে এমন কোন অপরাধ নেই তারা করছে না।
রাজশাহীর ছাত্রলীগ নেতা মো. সাজ্জাদ আলী (২৮) নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু পরিচয় দিয়ে করতেন প্রতারণা। এই পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, সাংসদ, কেন্দ্রীয় রাজনীতিবিদ, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চাকরির তদবির, অর্থ দাবিসহ বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা আদায় করে আসছিলেন।
সর্বশেষ ২৭ জুলাই তিনি একই পরিচয়ে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে। অভিযোগ পেয়ে রাজশাহীর সাজ্জাদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী নগর পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের রাজাপাড়া থানা-পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, গত সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একজন কর্মচারীকে মারধর করে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কর্মচারী মামলা দায়ের করলে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগ নেতা আকতারুল করিম রুবেলকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মনির হোসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মনির ও তার সহকর্মী মো. সোহেল ও হারুন নাস্তা করতে হাসপাতাল থেকে হোটেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামি আকতারুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন ভুক্তভোগীর পথরোধ করে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা কাঠের লাঠি ও রড দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। তাকে বাচাঁতে সহকর্মীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আসামি আকতারুলকে আটক করলেও অন্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২২০৫
আপনার মতামত জানানঃ