সাম্প্রতিক সময়টাতে মহামারি করোনার জন্য উর্বর স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশে করোনা তার বিষদাঁতে মরণ কামড় দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত বিপর্যস্ত, ভারতের প্রতিবেশি দেশ নেপালও নাজেহাল, আর বাংলাদেশও একই পথে। করোনার এই প্রলয়ংকারী ঝড়ের মাঝে গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
পরিবেশগত ঝুঁকিতে সবচেয়ে খারপ অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়া। এ অঞ্চলে পানি ও খাদ্যের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ৮৫০ মানুষ বা জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ মাঝারি থেকে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ-প্রবণতাও বেশি। এর ফলে অন্যান্য পরিবেশগত হুমকি, বিশেষ করে সম্পদের অভাবকে বেড়ে যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বার্ষিক বন্যার ফলে মানুষের জীবন, কৃষি উৎপাদন ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ পরিবেশগত হুমকির জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস-এর (আইইপি) প্রস্তুত করা দ্বিতীয় ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্টে (ইটিআর) এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের সামগ্রিক স্কোর সর্বোচ্চ। দেশটির অবস্থান সবার নিচে (১৭৮ তম)। আফগানিস্তানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা ২০২০ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। ২০২১ সালে তালিবানের ক্ষমতায় ফেরার এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান।। দেশটির অবস্থান ৮১তম। এর পরেই আছে শ্রীলঙ্কা (১১৪তম) ও ভারত (১৪৪তম)।
সর্বনিম্ন দশ দেশের একটি পাকিস্তান। ১৭৮টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ১৭০তম।
প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৪৭০ কোটি মানুষ উচ্চ ও চরম পরিবেশগত হুমকির দেশগুলোতে বসবাস করবে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৯ শতাংশ।
১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির নাম প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, এমন দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়কর পরিবেশগত হুমকির মুখে রয়েছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে খাদ্য ঝুঁকি, পানি ঝুঁকি, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, তাপমাত্রার অসঙ্গতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশ্লেষণ করে ।
তিনটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সূচক স্কোর পেয়েছে—পানি, খাদ্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি। এখানে স্কোর যত বেশি, হুমকির তীব্রতাও তত বেশি।
ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা না করা হলে পরিবেশগত হুমকি ব্যাপক সংঘর্ষ ও ব্যাপক অভিবাসনের দিকে ঠেলে দেবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, এমন দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়কর পরিবেশগত হুমকির মুখে রয়েছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়।
গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ ঝুঁকিতে পড়বে। বিশ্বে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে৷ কিন্তু সে হারে বাড়ছে না খাদ্য উৎপাদন৷ এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ।
কৃষি খাতটি এখনও দক্ষিণ এশিয়ায় দেশ সমূহের ৫০ শতাংশেরও বেশি জনসংখ্যার জীবিকা ও কর্মসংস্থানের প্রধান উপায়। এদিকে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে এ অঞ্চলে ফসলের উৎপাদন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
যার ফলে এই অঞ্চলে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক সুবিধা বঞ্চিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য এবং জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৬০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
দক্ষিণ এশিয়ার কৃষকরা বিশ্ব জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বেশি এবং পৃথিবীর কৃষিজমির মাত্র ৫ শতাংশ দিয়ে তাদের কৃষি উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই অঞ্চলের দেশগুলো কোভিড-১৯ অতিমারির আগেই খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং অনুন্নত জনস্বাস্থ্যসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এখনও মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীন এবং এই অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের ৩৬ শতাংশ অপুষ্টির কারণে হতবুদ্ধির শিকার এবং ১৬ শতাংশ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। বিশ্বের হতবুদ্ধি শিশুদের প্রায় ৪০ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ায়।
এর মধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ১০০ বছরে এশিয়া অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা৷ বিশেষ করে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ধান উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন যে সমস্যা হচ্ছে তা হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন্যা, জ্বলোচ্ছাস বা ঘূণিঝড়ের কারণে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার মানুষ প্রতি বছর সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। সেসব এলাকার মানুষ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে (শহরাঞ্চলে) জড়ো হচ্ছে। সেখানেই তাদের বাসস্থান এবং জীবিকার সন্ধান করছে। ফলে এসব বাড়তি মানুষের চাপ পড়ছে সেই এলাকায়। ব্যাঘাত ঘটছে খাদ্য শৃঙ্খলে।
প্রতি বছরই বন্যার সময় ভাঙনের কারণে বাড়িঘর, জমি-জিরাত সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। এসব মানুষ কাজের সন্ধানে শহরাঞ্চলে আসছে। ফলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে জনসংখ্যার ভারসাম্যে ব্যাপক তারতম্য ঘটছে। এর পাশাপাশি প্রতি বছরই জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটছে। সেই চাপও সামাল দিতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খাদ্য বণ্টনে।
বর্তমানে শস্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ৯৫ শতাংশ ‘জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চল’ অথবা ‘পরিবেশের’ মধ্যে পড়ে। তাপমাত্রা যদি ৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়, তাহলে এই অঞ্চলগুলোর অনেক স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাতের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনের এই অঞ্চলগুলো ব্যাপকভাবে সংকুচিত হবে।
উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পশুপালনের পাশাপাশি খাদ্যশস্য উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। অনেক এলাকায় ব্যাপক আকারে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্যগুলোর মধ্যে ২৭টি এবং সাত ধরনের গবাদিপশুর ওপর প্রভাব হবে মারাত্মক।
গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ যদি কমানো যায় এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা যায়, তাহলে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলগুলোর মাত্র ৫ থেকে ৮ শতাংশ ঝুঁকিতে পড়বে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যত কমানো যাবে, ততই মঙ্গল হবে মানবজাতির জন্য।
তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরও কিছু অঞ্চলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়বে, যেখানে বর্তমানে খুব কম উৎপাদন হয়। এসব অঞ্চলের মধ্যে শীতপ্রধান অঞ্চল নর্ডিক রয়েছে। এ ছাড়া চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ উচ্চমাত্রায় কার্বন নিঃসরণের কারণে দেখা দেবে তীব্র খরা। এতে বিশ্বজুড়ে ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জায়গা মরুভূমিতে পরিণত হবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যদি দেড় থেকে ২ সেলসিয়াসের নিচে রাখা সম্ভব হয়, তারপরও তুষার অঞ্চলের বনের পরিমাণ কমবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমানে আমেরিকার উত্তরাঞ্চল, রাশিয়া ও ইউরোপের তুষারঘেরা ৭০ লাখ বর্গমাইল বন চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ কমে দাঁড়াতে পারে ৬০ লাখ বর্গমাইলে। আর উচ্চমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ ঘটলে সেই বনের মাত্র ৩০ লাখ বর্গমাইল অবশিষ্ট থাকবে।
ভারি বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন কিংবা টর্নেডো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিশেহারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি মানুষ। আর এর জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনকেই দুষছেন গবেষকরা। নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্যোগে রেকর্ড পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনে দুর্দশা নেমে এসেছে বলে নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, দাতব্য সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের একটি গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম ১০টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর প্রতিটিতে ক্ষতি হয়েছে ১৫০ কোটি ডলারের বেশি।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এর মধ্যে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডা এবং জুলাইয়ে ইউরোপে দেখা দেওয়া বন্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে অর্থনীতিতে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দরিদ্র এলাকাগুলোতে গণহারে মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং ভোগান্তিতে পড়ে।
নেতৃস্থানীয় একজন গবেষক ফ্রেডরিকে অটো এ বছরের শুরুতে টুইট করেন, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে বিশ্বে তাপপ্রবাহ বাড়ছে। ভবিষ্যতে এ সংকট আরও তীব্র হবে। জলবায়ু পরিবর্তন যে ঝড় ও ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত, দিনে দিনে আরও বেশি করে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইদানীংকালে খুব বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা নয় তখনও বৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ুর এই আমূল পরিবর্তনে অভিযোজন করতে গিয়ে বেশি দুর্যোগের কবলে পড়ছে শিশুরা। জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার দৈনন্দিন অনুষঙ্গগুলোর গুণগত মান খারাপ করে দেয়। ফলে শিশুরা নানারকম স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মুখে পড়ে।
তারা বলেন, সারাবিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবের তালিকায় থাকা ওপরের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর জলবায়ু পরিবর্তনের এ ক্ষতিকর প্রভাবের অসহায় শিকারে পরিণত এদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক শিশুরা। সম্প্রতি বিশ্বের পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ধারণা জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে ধারণার চেয়েও বেশি ঝুঁকিতে পড়বে উপকূলীয় শিশুরা।
আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রাণে বাঁচার জন্য যেসব পন্থা অবলম্বন করতে হয় তার বেশিরভাগই শিশুদের অজানা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হলে চাই সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ।
তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এখনই। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, যেখানে শিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি মারাত্মক। বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একযোগে কাজের কোনো বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি আমরা যদি সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি, তবেই সম্ভব সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিশুসহ সবার নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪৪৬
আপনার মতামত জানানঃ