যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই নতুন করে তালিবানের উত্থান হয়েছে দেশটিতে। দেশটিতে তালিবানের প্রথম টার্গেট হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে দোভাষী ও সাংবাদিকরাই অন্যতম। তালিবানের উত্থানের পর থেকে অনেক আফগান সাংবাদিক প্রাণে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন। অনেক সাংবাদিককে দেশের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। যারা প্রকাশ্যে ঘুরছেন তারা হয় তালিবানের প্রোপাগান্ডা প্রচারের অংশ হবেন, নতুবা প্রাণভয় নিয়ে থাকতে হচ্ছে। দেশটির মিডিয়া ও ইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাওয়া খান মিনাপালকে কাবুলের দারুল আমন রোডে গুলি করে হত্যা করে তালিবানরা। দাওয়া খানের এই হত্যাকে দেশটির অন্য সাংবাদিকদের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন একাধিক বিশ্লেষক।
দেশটির অনেক স্থানীয় সংবাদপত্র, রেডিও স্টেশন ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু বন্ধ হয়েছে তালিবানের হুমকিতে, আর কিছু বন্ধ হয়েছে সাংবাদিক সংকটে। আফগান জার্নালিজম ওয়াচডগের মতে, মিডিয়া শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েকশ দক্ষ সংবাদকর্মী ইতিমধ্যেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। টাইমস বলছে, কিছু অঞ্চলে তালিবানরা মিডিয়া দপ্তরে প্রবেশ করে কোন সংবাদ প্রকাশ করা যাবে আর কোনটা যাবে না, তা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এ ছাড়া আফগান সরকারের দেওয়া মিডিয়া লাইসেন্সও বাতিল করে দিচ্ছে তালিবানরা। এর মধ্যেও কিছু সরকারপন্থি মিডিয়া টিকে আছে শুধু ইসলামিক বক্তব্য ও তালিবানদের অনুমোদিত বুলেটিন প্রকাশ করে।
আফগানিস্তানে এ ধরনের অনেক দলের ভাগ্যপরীক্ষার একটি, যেখানে বছরের পর বছর পশ্চিমা সাংবাদিকদের সহায়তাকারী হিসেবে আফগান নাগরিকেরা কাজ করেছে। নিজ দেশের দুর্দশার তথ্য বিশ্ববাসীকে জানাতে সহায়তা করেছে। এখন তারা তালিবানের শাসনে নিজেদের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদ মাধ্যম উচ্চ-পর্যায়ের কূটনীতিক ও মাঠ পর্যায়ের মধ্যস্ততাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তাদের কর্মীদের পালাতে সাহায্য করে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের কর্মীদের আফগানিস্তান থেকে বের করে আনার উদ্যোগে একত্রিত হয়েছে।
ফোন কলে নিরাপত্তা কর্মী ও সম্পাদকরা তথ্য আদান-প্রদান করছেন। প্রকাশকরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কাছে ফোন করছেন, যাতে তাদের আফগান সহকর্মীদের সেখান থেকে বের করে আনার পথ করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারাও আলোচনা করছেন।
এসব সংবাদপত্রের আফগানিস্তানের ব্যুরো অফিসগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য, ঠিকাদার ও নিরাপত্তা দলগুলো আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে এসব অফিসের আফগান কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের শঙ্কা, আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমগুলোতে কাজ করেছে যারা, তালিবান বাহিনী তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে হানা দেবে, হয়রানি করবে বা অপহরণ করে নিয়ে যাবে। তেমন ঘটনা ঘটতেও শুরু করেছে।
নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের সংবাদপত্রগুলোর কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যাদের দূতাবাস আছে আফগানিস্তানে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সহকারী ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাইকেল স্ল্যাকম্যান বলেন, “অনেক পরিকল্পনা এবং অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো হয় ব্যর্থ হয়েছে বা ঝুলে পড়েছে। আপনি হয়ত পরিকল্পনা করেছেন রাতে, কিন্তু দুই ঘণ্টা পর হয়ত পরিস্থিতি বদলে গেছে।”
ক্রিস্টিন কোরাটি কেলি নামের একজন মুখপাত্র জানান, ওয়াশিংটন পোস্টের ১৩ জন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে চড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা দিতে সক্ষম হয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে বিভিন্ন পর্যায়েরে অনেকগুলো ব্যক্তির সহায়তা প্রয়োজন হয়েছিল। তাদেরকে সহায়তার জন্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশক ফ্রেড রায়ান যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানকে ইমেইল করেছিলেন।
উদ্ধার পাওয়া এই দলের মধ্যে দুই জন আফগান কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্য ও একজন মার্কিন সংবাদদাতা রয়েছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ১২৮ জনের একটি দলকে বের করে আনার একটি পথ খুলে যায় যখন তালিবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কাতার সরকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি আছে এবং কাবুলে কাতারের দূতাবাস রয়েছে এবং তালিবান নেতাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও রয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তিনজন সংবাদদাতাও আফগানিস্তান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন এবং আরও ডজনখানেক আফগান কর্মীকে বের করে আনতে কাজ করে যাচ্ছে সংবাদপত্রটি।
এদিকে মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে যে, তারা নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকসহ আফগানিস্তান থেকে ১২৪ জন সংবাদকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে। তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী আফগানিস্তান দখলের পর সেখান থেকে হাজার হাজার মানুষ অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে। ঐ সংবাদকর্মীরা মেক্সিকো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান, যেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড তাদের অভ্যর্থনা জানান।মার্সেলো এবরার্ড বলেন, “মেক্সিকো সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আফগানিস্তানের মানুষের জন্য আশ্রয় এবং মানবিক ভিসার আবেদনগুলিকে সমর্থন করবে যারা এই মানবিক অবস্থার কথা বলেছে।”
আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমগুলোতে কাজ করেছে যারা, তালিবান বাহিনী তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে হানা দেবে, হয়রানি করবে বা অপহরণ করে নিয়ে যাবে। তেমন ঘটনা ঘটতেও শুরু করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এবরার্ড কাবুল ত্যাগ করতে ঐ সংবাদকর্মীদের সাহায্য করেন। মেক্সিকো পৌঁছানোর আগে কাতারে তাদের যাত্রা বিরতি ছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মেক্সিকো সব ধরণের আমলাতান্ত্রিক বাধা পেরিয়ে সংবাদকর্মীদের আশ্রয় দিতে সক্ষম হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্র পারেনি।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন কর্মকর্তারা। তাদের সাংবাদিক, কর্মী ও সহযোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য পরবর্তী পদক্ষেপটি স্পষ্ট নয়। ইংরেজিভাষী সাংবাদিক যারা এখনও কাবুলে অবস্থান করে সংবাদ পাঠাচ্ছেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠছে।
লস এঞ্জেলেস টাইমসের আলোকচিত্র সাংবাদিক মারকাস ইয়াম এবং আরেকটি আমেরিকান সংবাদ মাধ্যমের চিত্রগ্রাহককে মারধর করেছে তালিবান যোদ্ধারা। তারা ওই দুজনের ক্যামেরার ছবি মুছে ফেলতে বলে।
কঠিন পরিস্থিতির কারণে সিএনএনের ক্ল্যারিসা ওয়ার্ড নিজেকে বোরকায় ঢেকে নিয়েছেন, যাতে রাস্তায় চলাচলরত আফগানদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সিবিএস নিউজের রোক্সানা সাবেরি অনলাইনে জুমের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেন, যখন তা প্রকাশ্যে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
মোবাইল ফোনের উপরও এখন আস্থা রাখতে না পেরে কিছু সংবাদদাতা স্যাটেলাইট ফোন সঙ্গে রেখেছেন।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে আফগান সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আরও কাজ করতে হবে।
দেশটির নিয়ন্ত্রণ তালিবানদের হাতে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের জরুরি ভিসা দেওয়া ও নিরাপদে সেখান থেকে বের করে আনার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিপিজে।
তালিবানদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারেন এমন শত শত স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সিপিজে’র নির্বাহী পরিচালক জোয়েল সাইমন বলেন, ‘আফগান সাংবাদিকদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দায়িত্ব আছে। তারা সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসনের উচিত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বিপদগ্রস্ত আফগান সাংবাদিক, ফটোসাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো।’
নিরাপদ স্থানে যেতে ইচ্ছুক প্রায় ৩০০ সাংবাদিকের নিবন্ধন ও তাদের আবেদনের সত্যায়ন করেছে সিপিজে। আরও শত শত আবেদনের নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া চলছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় হাতে গোণা কিছু সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র অথবা তৃতীয় কোনো দেশের উদ্দেশ্যে (যেখানে তাদের ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে) ছেড়ে যাওয়া উড়োজাহাজে উঠতে পেরেছেন। ঝুঁকিতে থাকা বেশিরভাগ সাংবাদিক আত্মগোপনে আছেন।
সিপিজে জানায়, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে কর্মরত আফগান সাংবাদিকরা এখনো দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি। সংবাদমাধ্যমগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছে, যেখানে তারা সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী যারা মার্কিন অভিযানে সাহায্য করেছেন, তাদেরকে দ্রুত ও নিরাপদে দেশটি থেকে বের করে আনার জন্য আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
সাইমন আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আফগানিস্তানে কী হচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে হলে এককালের সুসংহত ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাসনে থেকে হলেও সংবাদ সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
‘আফগান সাংবাদিকদের স্থানীয় জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই’, বলেন তিনি।
সিপিজে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিকদের জন্য জরুরি ভিসার স্বপক্ষে কাজ করে আসছে। নতুন করে আসা কোনো ঝুঁকিতে সাময়িক কিংবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্যই মূলত তারা এটি নিয়ে কাজ করছে।
এ পর্যন্ত তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে উচ্চপর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা ৪৫ জন সাংবাদিকদের নিবন্ধন ও সত্যায়নের কাজ করেছে সিপিজে। তাদের অনেকেই নারী সাংবাদিক, যারা নারীদের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন লেখার কারণে অধিক পরিমাণ ঝুঁকিতে আছেন। সিপিজে ১২৭ জন আফগান গণমাধ্যম সদস্য, যারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঝুঁকিতে আছেন এবং মার্কিন সংবাদ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত আরও ১১৯ জন সাংবাদিকের নিবন্ধন ও সত্যায়ন করেছে। তবে, সিপিজে’র তালিকায় সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত নন। তাদেরকেও সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
সাম্প্রতিককালে সিপিজে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জরুরি সহায়তা ও আফগান সাংবাদিকদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কাজটিতে গতি বাড়িয়েছে। এসব সাংবাদিকদের সব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হয়েছে এবং আরও অন্যান্য দেশের সরকার সাংবাদিকদের সরিয়ে নেওয়া ও আশ্রয় দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সিপিজে’র গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০১ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আফগানিস্তানে প্রায় ৫৩ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে গত এক বছরেই পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ বছরের শুরু থেকেই আফগান সাংবাদিকরা সিপিজে’র কাছে সাহায্য চাইছেন এবং এ সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়তেই থাকে, বিশেষ করে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের সময় এগিয়ে আসা এবং দেশটির বেশিরভাগ অংশে তালিবানের দখল প্রতিষ্ঠার কারণে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪৩৫
আপনার মতামত জানানঃ