জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। এর মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে কক্সবাজার জেলার প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য বলতে গেলে ধ্বংস হতে চলেছে। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এ জনগোষ্ঠী জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলের ৮ হাজার ১ দশমিক ২ একর বন উজাড় করে বসতি স্থাপন করেছে, ব্যবহার করেছে জ্বালানি হিসেবেও। ফলে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, ভূমিরূপ পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় এবং মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত বেড়েছে। বনবিভাগের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও বর্তমানে তারা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়িঁয়েছে। বন উজাড়, পাহাড় কাটা, কৃষি জমি দখল, সংক্রমণ ব্যাধি, পরিবেশ বিপর্যয়, অপরাধ, শ্রমবাজারে অস্থিরতা তৈরির কারণ হিসেবে রোহিঙ্গাদের দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় প্রশাসন বলছে, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রর্ত্যাবর্তনের জন্য কাজ করছে সরকার।
২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী নৃশংস জাতিগত নিধনের সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতন। ২৫শে আগস্টের পর থেকে চলা এ ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারে অনুপ্রবেশ করে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দেয়া হলেও তারা এখন নানামুখী সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোহিঙ্গা পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনছে
বন বিভাগ সূত্র জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ের বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৩১ সালে। বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী এশিয়ান প্রজাতির হাতির অন্যতম আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত অভয়ারণ্যটি। কিন্তু এসব অঞ্চলে বন ও পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করেছে রোহিঙ্গারা। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বুনো হাতিরা।
উখিয়া কুতুপালং আঞ্চলিক সড়কের পাশে সাঁটানো রয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবার্ড— ‘বন্যহাতি চলাচলের পথ’। এর ঠিক পেছনেই ছোট বড় গাছপালা কেটে নির্মাণ করা হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্পটি। পাহাড়ের কোল কিংবা পাদদেশ, কোথাও পাহাড় কেটে, আবার পাহাড় ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে দুই লাখের বেশি অস্থায়ী ঘর। স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ-পায়খানা, বিদ্যুৎলাইন, সড়ক, নিষ্কাশন খাল, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়সহ গুদামঘর।
অপরিকল্পিতভাবে প্রতিনিয়তই কাটা হচ্ছে পাহাড়। জ্বালানির জন্য উজাড় হচ্ছে বন। রুখে দেয়া হয়েছে সেখানকার ‘আদিবাসী’ বন্যহাতির চলাচল ও বিচরণক্ষেত্র। এখন আর দেখে বোঝার উপায় নেই— এসব পাহাড়ে বছর চারেক আগেও ছিল সবুজ অরণ্য এবং হাতির রাজত্ব।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৮ম সভায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ব্যাপক হারে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসতে থাকে। এখন ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলের বনভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে। পুরোনো দুটি নিবন্ধিত ক্যাম্প এবং নতুন অনিবন্ধিত ৩২টি ক্যাম্পসহ রোহিঙ্গাদের মোট ক্যাম্প ৩৪টি। ৬ হাজার ১৬৪ দশমিক ২ একর বনভূমি দখল করে এসব ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। এতে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, ভূমিরূপ পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় এবং মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বনজ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি টাকার অঙ্কে প্রায় ৪৫৭ কোটি টাকা এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ৪০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। মোট ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এতে আরো বলা হয়, ৫৮০ একর সৃজিত বন এবং এক হাজার ২৫৭ একর প্রাকৃতিক বনসহ ক্যাম্প এলাকার বাইরে জ্বালানি সংগ্রহে রোহিঙ্গারা বনাঞ্চল উজাড় করেছে এক হাজার ৮৩৫ একর। সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণে মোট ধ্বংসপ্রাপ্ত বনের পরিমাণ ৮০০১ দশমিক ২ একর এবং সর্বমোট বনজদ্রব্য ও জীববৈচিত্র্যসহ ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৪২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বনবিজ্ঞানের অধ্যাপককে আহ্বায়ক এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে (কক্সবাজার) সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী কমিটির ৪ সদস্যকে নিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে পরিবেশ, বন ও জীববৈচিত্র্যে যে প্রভাব পড়ছে তা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তারা দেখতে পান, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের ৮ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া বনজ সম্পদের আর্থিক ক্ষতি ২ হাজার ৪২০ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বনজ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি টাকার অঙ্কে প্রায় ৪৫৭ কোটি টাকা এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ৪০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। মোট ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৮৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
পানির স্তর নেমে গেছে
বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি টিউবওয়েল স্থাপন করতে হয়েছে। এ কারণে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নামছে। ওই অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থিত পানির ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পাশাপাশি পরবর্তী ক্ষতি রোধের উপায় এবং কতটুকু ক্ষতি পুষিয়ে আনা যাবে এবং এ উদ্দেশ্যে কী করণীয় সে সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, একটি গাছ তার শেকড়ের সঙ্গে পানি ধরে রাখে। এর কারণে ভূ-পৃষ্ঠের পানির স্তুর উপরের দিকে থাকে। যখন গাছটি মরে যায় বা যেখানে গাছ থাকে না সেখানে পানির স্তরে নিচে নেমে যায়। কক্সবাজারে অতিরিক্ত টিউবওয়েলের কারণে যেমন পানির স্তর নিচে নামছে, বন উজাড়ের কারণেও স্তর নেমে যাচ্ছে। এটা রোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে কঠিন বিপদ অপেক্ষা করছে।
বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে রোহিঙ্গাদের পরিবেশ বিপর্যয়
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) তথ্যমতে, কক্সবাজারের বনাঞ্চলগুলো মূলত এশিয়ান হাতির বিচরণের ঐতিহ্যগত পথ। কিন্তু এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা অভিবাসনের কারণে হাতির পাল এক বন থেকে অন্য বনে চলাচলে বাধা পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বাধা ভাঙারও চেষ্টা করছে প্রাণীগুলো। তখনই বাধে মানুষ-হাতির সংঘর্ষ। এতে প্রাণও হারাচ্ছেন রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় জনতা। অন্যদিকে হাতিরাও বনে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে লোকালয়ে হামলে পড়ছে।
প্রকৃতি ও পরিবেশবিদরা বলছেন, হাতি বৃহৎ বন্যপ্রাণী ও শক্তিধর হওয়ায় মানুষের কাছে প্রকৃতি বিনষ্টের প্রতিশোধ নিচ্ছে। হাতি ছাড়াও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যান্য বন্যপ্রাণী, জীবজন্তু-পাখিসহ জীববৈচিত্র্য। বিনষ্ট হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, লতা, গুল্ম, বাঁশ, বেত, উলুফুল, ঔষধি গাছ। এসব ক্ষুদ্র বন্যপ্রাণী, জীবজন্তু ও গাছপালা হাতির মতো এ মুহূর্তে প্রতিশোধ না নিতে পারলেও অদূর ভবিষ্যতে তা আরও বেশি হুমকিস্বরূপ হবে।
পরিবেশের ওপর প্রভাববিষয়ক ইউএনডিপির এক গবেষণায় উঠে আসে, রোহিঙ্গা বসতির কারণে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় মোট ১১ ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে— অতিরিক্ত সংখ্যক টিউবওয়েল স্থাপনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির আধার কমে যাওয়া, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির আধার দূষিত হওয়া। সুপেয় পানির অন্যান্য উৎস, যেমন— সীমিত সংখ্যক নদী ও খাল ইতোমধ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া অতিরিক্ত গাছ কাটা ও পাহাড় ধ্বংসের কারণে বেশিরভাগ পাহাড়ি ছড়া এখন সারাবছরই পানিশূন্য থাকছে। এতে করে ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় জনগণ দীর্ঘমেয়াদে প্রাকৃতিক সুপেয় খাবার পানির অভাবে পড়তে যাচ্ছে।
তা ছাড়া অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে ১১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাসহ ১৭ লাখ অধিবাসীর এ অঞ্চল পরিণত হচ্ছে এক কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যরে ভাগাড়ে। এসব ক্ষতিকর প্রভাবে অচিরেই এ জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। জমে থাকা এসব বর্জ্যরে বেশিরভাগই বর্ষাকালে পাহাড়ি ছড়া বন্যার পানির স্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী নাফ নদসহ অন্যান্য প্রধান সংযোগ খালে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মৎস্যসম্পদসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর।
অন্যদিকে পাহাড় কেটে ঘর বানানো ও উপরিভাগের মাটি সরিয়ে সমতল করার কারণে বিশাল এলাকার ভূ-প্রকৃতিগত পরিবর্তন হচ্ছে। এতে পানির ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া ও মাটি আলগা হয়ে বর্ষাকালে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। পাহাড়ধসে সম্প্রতি ৩ সহস্রাধিক রোহিঙ্গার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং নয় রোহিঙ্গাসহ ২০ জনের মৃত্যুও হয়েছে।
বহুমাত্রিক প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মধ্যে অবস্থিত হওয়ার পরও এ পাহাড়ি বন্য প্রতিবেশ ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ধস ও বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করে দীর্ঘকাল টিকে আছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলায় অবশ্য বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ কিছু দেশি-বিদেশি সংস্থা খালি ও পরিত্যক্ত জায়গায় গাছের চারা রোপণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমির তুলনায় সেই পদক্ষেপ খুবই নগণ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু পাহাড়গুলো কেটে তারা যে আবাসস্থল বানাচ্ছে, তাতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এক সময় হয়তো রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে, নতুন করে হয়তো গাছও লাগানো যাবে, কিন্তু পাহাড়গুলোর ক্ষতি আর পূরণ করা যাবে না। ক্ষতি যা হওয়ার তা তো হয়েছেই। আর যাতে ক্ষতি না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। আর এখনই ব্যবস্থা না নিলে আমাদের এ ক্ষতি আর পূরণ করা সম্ভব হবে না।
তারা বলেন, এমনিতেই বাণিজ্যিক কারণে বিশাল জমি বরাদ্দ দেওয়ায় কক্সবাজারে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মধ্যে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে। ফলে সাগর, পাহাড় আর সবুজ বনাঞ্চলের মধুর সম্মিলনী কক্সবাজার হারাচ্ছে তার স্বাস্থ্যকর স্থান নামক খেতাব। এ জন্য দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি হারানো জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার জরুরি।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬৫০
আপনার মতামত জানানঃ