ইউএফও নিয়ে ধারণা করা হয়েছিল, সেগুলো ভিনগ্রহের প্রাণী কিংবা ভিনদেশিদের কোনো যান। ইউএফওর অনেক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছিল। সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও স্বীকার করেছিলেন ইউএফওর ভিডিও সত্যি ও ব্যাখ্যাযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আগের প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন আকাশে উড়ে বেড়ানো বস্তুর (ইউএফও) সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণীদের কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়াও যায় না। একই তথ্য দিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোপন প্রতিবেদনেও।
জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই ইউএফও নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। এ প্রতিবেদনটি এতদিন ক্লাসিফায়েড অর্থাৎ অতি গোপনীয় অবস্থায় ছিল। কিন্তু মার্কিন সামরিক বাহিনীর ভেতর থেকেই আকাশে ইউএফও দেখতে পাওয়ার এত অসংখ্য প্রমাণ এসেছে যে মার্কিন কংগ্রেস এই প্রতিবেদনটি চেয়ে পাঠিয়েছে। বিবিসির খবর।
অনেকে বলছেন, ইউএফওগুলো যে অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছে এমন মতবাদের পক্ষে নিশ্চিত প্রমাণ খুবই কম। তাই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলেও মানুষের ধারণায় কতটা পরিবর্তন আসবে— তা দেখার বিষয়।
সামরিক নেতারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এসব ইউএফওর যে প্রযুক্তি তা যদি অন্য কোন গ্রহের প্রাণীদের না-ও হয়, তা যুক্তরাষ্ট্রের বৈরি কোন দেশ— যেমন রাশিয়া বা চীনেরও হতে পারে।
সামরিক নেতারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এসব ইউএফওর যে প্রযুক্তি তা যদি অন্য কোন গ্রহের প্রাণীদের না-ও হয়, তা যুক্তরাষ্ট্রের বৈরি কোন দেশ— যেমন রাশিয়া বা চীনেরও হতে পারে।
ইউএফও কী
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর সিনেমায় দেখা যায় এলিয়েনরা বিশাল বিশাল মহাকাশযানে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এগুলোকে অনেকেই ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকতি বলেন। আবার কেউ বলেন ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বা ইউএফও। ২০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন বিমানবাহিনী যেকোনো ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট’ বোঝাতে ‘ইউএফও’ শব্দটি ব্যবহার শুরু করে। যারা ইউএফও নিয়ে খুবই আগ্রহী এবং এটা নিয়ে গবেষণা করে তাদের বলা হয় ইউএফওলজিস্ট। তারা ইউএফও শব্দটি ব্যবহার করে অন্য গ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনদের আকাশযানকে বোঝাতেন।
প্রচলিত ধারণা মতে, এ ধরনের ইউএফও’তে করে এলিয়েনরা দূরের কোনো গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসে। আবার চলেও যায়। কাছাকাছি অবস্থানে কোনো ইউএফও চলে এলে নানা ধরনের অদ্ভুত ঘটনা যেমন রেডিও টেলিভিশনের নেটওয়ার্কে বাধা, গাড়ির ইঞ্জিন চালু না হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নানা সময়ে বর্ণনা করেছেন। অনেক সময় ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বা টেলিফোনের তার বা গাছের সঙ্গে মাকড়সার জালের মতো বস্তু ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। এগুলো নাকি কোনো কিছুর স্পর্শ পেলেই মাটিতে পড়ে যেত। আর কী পদার্থ দিয়ে এসব জিনিস তৈরি তা বের করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন ইউএফওলজিস্টরা।
যেসব মানুষ ইউএফও দেখার দাবি করেন তারা এই ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী যে তারা নিশ্চিতভাবেই এটা দেখেছেন। কিন্তু বাস্তববাদীদের মতে, ইউএফও ব্যাপারটা সত্য না মিথ্যা এর কোনোটার পক্ষেই উপযুক্ত প্রমাণ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইউএফও দেখার ঘটনাকে ওয়েদার বেলুন বা উল্কাপাত বা গুজব বলে আখ্যা দিয়ে আসছে প্রচলিত সংবাদ মাধ্যম ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে যা জানা গেছে
গত বছরের আগস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বা পেন্টাগন একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। এই টাস্কফোর্সের উদ্দেশ্য ছিল অজানা উড়ন্ত বস্তু দেখতে পাওবার বিবরণগুলো পরীক্ষা করে দেখা। এর নাম ছিল ‘আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা টাস্ক ফোর্স’। এর দায়িত্ব ছিল এসব ঘটনা ‘চিহ্নিত করা, বিশ্লেষণ ও তালিকাভুক্ত করা। তা ছাড়া ইউএফও’র প্রকৃতি এবং উৎস সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা।
প্রতিবেদনটিতে গত দুই দশকের ১২০টি ইউএফও সংক্রান্ত ঘটনাকে বিশ্লেষণ করা হয়। এর মধ্যে ছিল তিনটি ভিডিও যা গত বছর পেন্টাগন ডি-ক্লাসিফাই করে অর্থাৎ আগে গোপন রাখা হয়েছিল এমন অবস্থা থেকে জনসমক্ষে প্রকাশ করে। এই রিপোর্টের একটি গোপন সংস্করণ জুন মাসের প্রথম দিকে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের হাতে দেয়া হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে কিছু নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেছেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ‘ভিনগ্রহের মানুষের কর্মকাণ্ডের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে এমন সম্ভাবনা বাতিল করেও দেয়া হয়নি।’
এ ছাড়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, এতে বলা হয়েছে যে ‘ইউএফওগুলো কোন গোপন মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি নয়’।
কিন্তু তাহলে এই ‘অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো’ ঠিক কী— তা নিয়েও কোন সুনিদিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি ওই প্রতিবেদনটি।
যেসব ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে
বেশ কিছু মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইউএফও দেখার ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এর মধ্যে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনাগুলো এসেছে পাইলটদের কাছ থেকে। সামরিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছাকাছি ইউএফও উড়ছে— এ দৃশ্য তারা ককপিট থেকেই দেখতে পেয়েছেন।
মার্চে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, খবরে যতটুকু প্রকাশ করা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক ইউএফও দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন সব বস্তুর কথা বলছি, যা নৌবাহিনী বা বিমানবাহিনীর পাইলটরা দেখেছে, অথবা যা উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। এগুলো এমন কাজ করে যা ব্যাখ্যা করা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো এমনভাবে চলাচল করে যা (উড়ন্ত বস্তুর পক্ষে) খুবই কঠিন, যেভাবে চলার মত প্রযুক্তি আমাদের নেই। এরা শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলছে কিন্তু ‘সনিক বুমে’র মত কোন শব্দ হচ্ছে না।’
গত মাসে সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে সাবেক দুজন নৌবাহিনীর পাইলট বর্ণনা করেন প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে একটি ইউএফও দেখার কথা।
একজন পাইলট বর্ণনা করেন, জিনিসটা দেখতে ছিল মিন্ট বা টিক-ট্যাকের মত সাদা রঙের ছোট একটা বস্তু।
সাবেক নেভি পাইলট এ্যালেক্স ডিয়েট্রিখ বিবিসিকে বলেন, ‘জিনিসটা ঠিক টিক-ট্যাকের মতই দেখতে, কিন্তু এটা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কিন্তু পাগলের মত এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম না এটা কোনদিকে যাবে, কী করবে, অথবা কী পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে জিনিসটা এমনভাবে উড়তে পারছে।’
ডিয়েট্রিখ আরও বলেন, ‘এর কোন ধোঁয়া ছিল না বা একে পরিচালনার জন্য কোন ইঞ্জিনও দেখা যাচ্ছিল না। এটা যেভাবে বাঁক নিচ্ছিল, সেভাবে চলতে হলে যে ফ্লাইট কন্ট্রোল দরকার, সেরকম কিছুও ছিল না।’
ইউএফও দেখার দাবি
খ্রিস্টপূর্ব ১৫ শতকে অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে মিসরের ফারাও ছিলেন তুতমখুম। সেই সময়ই মিসরের আকাশে এক বিচিত্র আগুনের গোলা দেখতে পায় মানুষ। তুতমখুমের সৈন্যরা সেই অগ্নিগোলকের উৎস খুঁজে পেতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই গোলা অদৃশ্য হয়ে যায়। রহস্যময় সেই আগুনের গোলাকে অনেকেই ইতিহাসের প্রথম দেখা ইউএফও বলে মত দেন।
ষোড়শ শতকের আরেকটি ঘটনা। সেই সময় পর্যন্ত পৃথিবীর মানুষ কোনো মহাকাশ যান তৈরি করতে না পারলেও ১৫৬১ সালের ১৪ এপ্রিল জার্মানির ন্যুরেমবার্গের অধিবাসীরা রহস্যময় এক ধাতব বস্তুকে উড়তে দেখেন! ১৭৫৬ সালে সুইডেনের লোকেরাও দেখেছিলেন এমন অদ্ভুত রহস্যময় বস্তু। ১৯৮০ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি ত্রিকোনাকার বস্তু সন্ধ্যার পর প্রায়ই দেখা যেত। কালো বস্তুটির তিন কোনায় তিনটি লাল আলো, মাঝে সবুজ বৃত্ত। কয়েকদিন পর আকাশযানটি অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই সময় আবার ইংল্যান্ডেও ইউএফও দেখতে পাওয়ার দাবি করতে শুরু করেন অনেকে।
প্রজেক্ট ব্লু বুক
১৯৪৮ সালে মার্কিন বিমানবাহিনী ইউএফও নিয়ে ব্যাপক তদন্ত করার জন্য ‘প্রজেক্ট সাইন’ নামে একটি প্রোগ্রাম শুরু করে। পরে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘প্রজেক্ট ব্লু বুক’। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে মার্কিন সরকার ১২ হাজারেরও বেশি ইউএফও দেখার ঘটনার তদন্ত শেষ করে। এগুলোর মাঝে ১১ হাজার ৯১৭টি ঘটনা ওয়েদার বেলুন ও স্যাটেলাইট দেখা বা আবহাওয়া সম্পর্কিত ঘটনা যেমন- বিজলি চমক ও প্রতিফলন, মহাজাগতিক ঘটনা বা গুজব বলে প্রমাণিত হয়। বাকি ৭০১টি ঘটনা ব্যাখ্যা করা যায়নি বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালে প্রোজেক্ট ব্লু বুক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রোজেক্ট ব্লু বুকের উপসংহারে বলা হয়— কোনো ইউএফও দেখার ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে জানা বিজ্ঞান বা তথ্যের বাইরে কোনো উন্নত টেকনোলজি ধারণ করে পৃথিবীর ভেতর বা বাইরের এমন কোনো প্রজাতি বা জাতিগোষ্ঠীর ব্যাপারে কেউ প্রমাণ দেখাতে পারেনি বা বিমানবাহিনীর তদন্তে প্রমাণ হয়নি। ইউএফও যে পৃথিবীর বাইরের প্রাণীরা পরিচালনা করে এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
এরিয়া ৫১
প্রোজেক্ট ব্লু বুকের মাধ্যমে ইউএফও নেই বলে সরকারি ঘোষণা থাকলেও কিছু কিছু মানুষ মনে করতেন সরকারিভাবে কিছু ব্যাপার গোপন করা হচ্ছে। আমেরিকার সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ইউএফও সংশ্লিষ্টতার কথা দাবি করেন অনেকে।
১৯৭৮ সালে নিউ অরলিন্স অঙ্গরাজ্যের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিন মহিলা। তারা হঠাৎ দেখলেন, একটি অদ্ভুত আকাশযান উড়ে যাচ্ছে। তাকে তাড়া করে উড়ে যাচ্ছে মার্কিন বিমানবাহিনীর ১৭টি হেলিকপ্টার। মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেলে তাপ অনুভব করলেন তারা। দিগন্তে মিলিয়ে গেল হেলিকপ্টার আর আকাশযান। তখন কিছু বুঝতে না পারলেও রাতে শুরু হলো প্রদাহ। চোখ জ্বলছে, শরীর জ্বলছে। সবারই একই অবস্থা। পরদিন তারা স্থানীয় ডাক্তারের কাছে সবকিছু খুলে বললেন। ডাক্তার স্থানীয় এক পত্রিকাকে ঘটনাটি জানালেন। পত্রিকার কাছেও অভিযোগ এসেছে, আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে ৬-৭টি হেলিকপ্টার একত্রে উড়ে গেছে। রাস্তার ওপর ফাটল চিহ্ন দেখা গেছে। কিছুদিন পর পুলিশ রাস্তায় রোডব্লক বসিয়ে রাস্তা মেরামত করে। অনেকে মত দেন, মার্কিন বিমানবাহিনী অন্তত একটি ইউএফও আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
১০ বছর পর ১৯৮৭ সালে নিউ মেক্সিকোর স্থানীয় টিভি চ্যানেলে পরিচয় গোপন করে এক পদার্থবিদ দাবি করেন, তিনি ‘এরিয়া ৫১’ নামে এক মরুভূমির মাঝে একটি সামরিক বেসে একটি ফ্লাইং সসার নিয়ে গবেষণা করেন। ওই বেসের প্রধান তাকে বলেন, এটি ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছিল এবং এর আরোহীদের হত্যা করে মার্কিন সেনাবাহিনী এটা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু তারা এর কার্যকলাপ বুঝতে ব্যর্থ হলে একজন পদার্থবিজ্ঞানীর সহায়তা চায়।
ভিনগ্রহের সঙ্গে চুক্তি?
গত ডিসেম্বর মাসে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মহাকাশ দফতরের সাবেক প্রধান হাইম এশেদ স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ভিনগ্রহের সাথে সম্পাদিত একটি চুক্তির অস্তিত্ব’ প্রকাশ করার কাছাকাছি চলে এসেছিলেন, কিন্তু মানুষের মধ্যে এ নিয়ে বেশি হৈচৈ পড়ে যাবে— এই ভয়ে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সরকার এবং ভিনগ্রহের প্রাণীদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। তারা এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য একটি চুক্তি সই করেছে।’
মার্কিন রাজনীতিতে ইউএফও নিয়ে কৌতুহল
ইউএফও’র পেছনে আসল সত্যটা কী— তা নিয়ে কথা বলেছেন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা, এমনকি প্রেসিডেন্টরাও।
হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানের ম্যানেজার জন পোডেস্ট ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলে তিনি ভিনগ্রহের মানুষ সম্পর্কে গোপন সরকারি প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করবেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের ব্যাপারে তিনি যা জানেন— তা তিনি তার পরিবারের কাছেও প্রকাশ করবেন না।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যা জানি তা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো না, তবে ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মে মাসে এক টিভি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এমন কোন ল্যাবরেটরি কি আছে যেখানে আমরা ভিনগ্রহের প্রাণী ও তাদের স্পেসশিপের নমুনা রেখেছি? তারা কিছু খোঁজখবর নিলো, তার পর জানালো, ‘না’।’
তবে ওবামা বলেন, ‘যেটা সত্যি তা হলো, আমি সিরিয়াস ভাবেই বলছি যে আকাশে উড়ন্ত কিছু বস্তুর ভিডিও ফুটেজ আছে কিন্তু সেগুলো কী— তা আমরা জানি না।’
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৫৫৬
আপনার মতামত জানানঃ