ইসরায়েল পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি অধ্যুষিত দেশ এবং দেশটির রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা বর্তমানে আমেরিকায় বসবাসরত ইহুদিদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নভেম্বর, ২০১৯ থেকে জুন, ২০২০ অব্দি সময় জুড়ে পিউ রিসার্চ সেন্টারের দ্বারা করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, ৪৫% আমেরিকান ইহুদিরা নিজেদের অস্তিত্বের জন্য ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় মনে করে এবং ৩৭% ইহুদি ইসরায়েলকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবলেও, প্রয়োজনীয় মনে করেন না। এদিকে, ১৬% ইহুদি তাদের পরিচয়ের জন্য ইসরায়েলকে গুরুত্বপূর্ণই মনে করে না।
এই সমীক্ষায় এটা স্পষ্ট ছিল যে আমেরিকান ইহুদিরা ইসরায়েল এবং তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করে। সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতি তাদের মনোভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে আবারও সামনে এসেছে বিষয়টি।
সাম্প্রতিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি ইহুদিদের অব্যাহত সমর্থনের দিকে ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার ইহুদিরা ইসরায়েলকে যথেষ্ট পরিমাণ ভালোবাসেন না।
ব্রুকলিনভিত্তিক কট্টরপন্থি ইহুদিদের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এএমআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আমেরিকান ইহুদিদের তীব্র সমালোচনা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের পরও যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিদের বড় একটি অংশ তাকে ভোট দেননি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমেরিকান ইহুদিরা ইসরায়েলকে যথেষ্ট পরিমাণ ভালোবাসেন না। আপনি কি জানেন আমাকে সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়টি অবাক করে? আমি গোলান মালভূমি, জেরুজালেমে ইসরায়েলের কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দিয়েছি। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ভণ্ডুল করে দিয়েছি।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিটি নিশ্চয়ই ছিল বড় ধরনের বিপর্যয়, তাই নয় কি? এ ছাড়া অনেক কিছু করেছি। তবু ইহুদিরা তাকে সেভাবে ভোট না দেওয়ায় অবাক হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস— আমি মনে হয় মাত্র ২৫ শতাংশ ইহুদির ভোট পেয়েছি। এটা কোনো কথা?
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৭০০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ