গত চার দিন ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের পর ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।
ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। তবে এসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনে হামলা চালানো হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
এর আগে বৃহস্পতিবারও দিনব্যাপী ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলের বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।
সীমান্তে ইসরায়েলের ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন
দুই পক্ষের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসে ব্যাপক নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে চার শতাধিক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গাজা সীমান্তে দুটি পদাতিক ও একটি সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদাই জিলবারম্যান বলেন, রিজার্ভ ফোর্সের অর্ধেক সদস্য আকাশ প্রতিরক্ষা, গোলন্দাজ এবং মেডিক্যাল ইউনিটের হয়ে কাজ করবে।
তবে ফিলিস্তিনে হামলা চালানো হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। ফিলিস্তিনে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের সেনাপ্রধানের এবং সরকারের বিভিন্ন স্তরের অনুমোদের প্রয়োজন রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের উপকূলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এদিন ইসরায়েলও ফিলিস্তিনিদের গোয়েন্দা সংস্থার ভবন, বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার থেকে দফায় দফায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলে করছে দখলদাররা।
পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতেও আল আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হয়। গত সোমবার থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের মধ্যে ২৭ জন শিশু ও ১১ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৮০ জন।
গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের বিভিন্ন ভবন, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রসহ উপত্যকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পাল্টা হিসেবে রকেট ছুড়ে প্রতিরোধ জারি রেখেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ