বিশেষ প্রতিবেদক: হাসানুল ইসলাম আদর নামের কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক যুবলীগ নেতা বনবিভাগের রিজার্ভ পাহাড়ি বনভূমির মাটি বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। বনবিভাগের রিজার্ভ পাহাড়ি বনভূমি কেটে ধ্বংস করে রেলপথসহ বিভিন্ন প্রকল্পে মাটির যোগান দিচ্ছেন তিনি। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রিজার্ভ বনভূমির অন্তত ২০টি ছোট-বড় পাহাড় এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কেটে সাবাড় করে বিরাণভূমিতে পরিণত করেছেন আদর। দিনদুপুরে এসব পাহাড়ি মাটি কেটে নিলেও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে অনেকটাই নীরব।
এ অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় এবং বর্ষায় ব্যাপক পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা করছে সচেতন মহল
কে এই যুবলীগ নেতা
হাসানুল ইসলাম আদর বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাখিল গ্রামে। তিনি নিজেকে কখনো এমপির এপিএস, কখনো কেন্দ্রীয় নেতার সাথে সম্পর্ক, কখনো যুবলীগ নেতা, আবার সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে গভীর সখ্যতার পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম ও প্রতারণা করে আসছেন।
এক সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে এক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় দল পাল্টিয়ে এখন যুবলীগ নেতা বনে গেছেন! এভাবে নানা অপকর্ম করে অল্পদিনে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে সে।
হাসানুল ইসলাম আদর চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বৈরাখির এলাকার বাসিন্দা মকছুদ আলম মেস্ত্রীর পুত্র। তার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বড় ভাই হাবিবুল ইসলাম নয়ন সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও তার পিতা মকছুদ ওই ওয়ার্ডের বিএনপির বর্তমান সভাপতি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, হাসানুল ইসলাম আদর নিজেকে বর্তমান এমপি জাফর আলমের পিএস পরিচয় দিয়ে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের ৪নং যুগ্ম আহ্বায়কের পদটি বাগিয়ে নেন।
একদিকে এমপির পিএস, অন্যদিকে যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পেয়ে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আদরকে। পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, নদী ও ছড়া খাল থেকে বালি উত্তোলন, ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেয়াসহ এমন কোনো কাজ নেই তিনি করেন না।
তার যুবলীগের পদ নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। দুই মাসের জন্য কমিটি অনুমোদন দিলেও বর্তমানে ওই কমিটির মেয়াদ চার বছর অতিবাহিত হয়েছে। উপজেলা যুবলীগ থেকে বিভিন্ন সময় সম্মেলনের তাগাদা দিলেও নিজেকে বর্তমান এমপির পিএস পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে এড়িয়ে যান এই যুবলীগ নেতা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম জাতীয় এক দৈনিককে বলেন, হাসানুল ইসলাম আদর নামে তার কোন পিএস বা এপিএস নেই। পিএস ও এপিএস হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মো. আমিন চৌধুরী ও সালেহ আহমদ সুজন। এ ধরনের পরিচয় দিয়ে কেউ কোনো অপকর্ম করলে তার দায়-দায়িত্ব আমার নয়।
আদরের গড়া অপরাধের সাম্রাজ্য
চকরিয়া থানার সম্মুখে রয়েছে তার আলীশান অফিস। চড়েন পাজেরো গাড়িতে। ওই অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন নানা অপকর্ম। নিজেকে পিএস পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা নিয়মিত অভ্যাস তার। মানুষকে মামলা দেওয়া এবং অব্যাহতি দেওয়ার নামের প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তিনি বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষকে, এমনকি নিজ দলের লোকজনকে মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। এভাবে নিরীহ সাধারণ মানুষকে তিনি প্রতিনিয়ত হয়রানি করতেন। বর্তমানে আদর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
তার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়ায় স্ত্রীর নামে ১৩ কড়া জমি, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের পাশে ২২ কড়া মূল্যবান জমি ক্রয় করেছেন আদর। মাতামুহুরী ব্রিজের পাশে দুটি পয়েন্ট, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা, সাহারবিল ইউনিয়নের পরিষদের পাশে ১টিসহ মাতামুহুরী নদীর অন্তত ১০-১৫টি পয়েন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছেন এই আদর।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের সামনে তার মালিকাধীন একটি উন্নতমানের সাফারি ক্যান্টিন রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বনভূমি দস্যুতারও অভিযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বে উপজেলার খুটাখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশতাধিক পাহাড় উজাড় করা হয়েছে। রেললাইনের নির্মাণ কাজে বনভূমির মাটি বিক্রি করে সম্পদ প্রচুর গড়েছেন।
এদিকে খুটাখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তার অত্যাচারে অনেক পরিবার ঘর ছাড়া হয়েছেন।
সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি
হাসানুল ইসলাম আদর নতুন করে আলোচনায় এসেছেন চকরিয়ার কর্মরত চার সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে। সাংবাদিকরা তার অনিয়ম ও লুটপাটের সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ওই যুবলীগ নেতা।
জানা যায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের দক্ষিণ পার্শে পূর্ব মাইজপাড়ায় বগাছড়ি ছড়ার উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের বেইলি ব্রিজ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিন্মমান সামগ্রী ব্যবহারের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আবদুল মজিদ, মোহাম্মদ উল্লাহ ও মনসুর মহসিন। পরবর্তীতে নির্মাণ কাজে অনিয়মের সংবাদটি অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে ক্ষেপে যান আদর। পরে সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয় আদর।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচির জানান, সাংবাদিকদের হুমকির বিষয়টি প্রমাণিত হলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের দায়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হবে।
হাসানুল ইসলাম আদরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারো বিরুদ্ধে থানায় জিডি করিনি। আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে যে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, তার পরিবারটি বিএনপি সমর্থিত। হাসানুল ইসলাম আদরের আর্থিক অবস্থা এক সময় খুবই দুর্বল ছিল। বর্তমানে নানা অপকর্ম করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন। এলাকায় তার কোনো ভিত্তি নেই। সাংবাদিকদের হুমকির বিষয়টি তিনি সংবাদ পত্রের মাধ্যমে জেনেছেন বলে জানান।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো জিডি বা অভিযোগ দেয়নি কেউ। তবে সাংবাদিকদের কেউ হুমকি দেওয়ার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও ৩ জন সাংবাদিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে থানায় পৃথক ৩টি সাধারণ ডায়েরি রুজু করা হয়েছে।
রিজার্ভ বনভূমি কেটে মাটি বিক্রি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় তার বিরুদ্ধে বনবিভাগের রিজার্ভ পাহাড়ি বনভূমি কেটে রেলপথসহ বিভিন্ন প্রকল্পে মাটির সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। দিনে দুপুরে স্কেভেটর দিয়ে ছোট-বড় অন্তত ২০টি পাহাড়ের মাটি কাটলেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব। ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যুবলীগ নেতা আদরের নেতৃত্বে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন চকরিয়ার ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালী, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা, সুরাজপুর-মানিকপুর ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নলবিলা বিটের উঁচু পাহাড়ি বনভূমির মাটি কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে। আর এসব পাহাড়ের মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে বরইতলী শান্তিবাজার-কৈয়ারবিল-ছিকলঘাট-কাকারা-ইয়াংছা সড়কের নির্মাণ কাজে। রাতদিন পাহাড় কেটে অন্তত ২০-২৫টি ডাম্পার ট্রাকে মাটি সরবরাহ করা হলেও প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিরব। তাছাড়া ডাম্পার ট্রাকে মাটি সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রামের রাস্তাগুলো ভেঙ্গে চূড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বগাচতর এলাকাবাসী জানান, আদর ডুলাহাজারা বগাচতর এলাকায় জেলা প্রশাসন থেকে বালু মহাল ইজারা নিয়ে কৌশলে পাশের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। মূলত বালু মহল ইজারা নিয়েছে পাহাড় কাটাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য। বালু মহল ইজারা নিয়ে কৌশলে পাহাড় মাটিকে বালু দেখিয়ে রেললাইনের রাস্তা নির্মাণ কাজে প্রতি ট্রাক বালু ১ হাজার থেকে এগারশ টাকা এবং মাটি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন রংমহল এলাকায় পার্ক ঘেঁষে পাহাড়ি বনভূমি কেটে মাটি বিক্রি করায় পার্কের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, খুটাখালী ইউনিয়নের খোদার ফাঁড়ি ও মেধাকচ্ছপিয়ায় ৫-৬টি পাহাড় স্কেভেটর দিয়ে কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদর। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাকগোলা বাগান, রংমহল ও মালুমঘাট এলাকা থেকে প্রতিদিন ২০-২৫টি ডাম্পার ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে আদরের লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদর বলেন, বালু মহাল ইজারা নিয়ে আমি বালুর ব্যবসা করছি। পাহাড় কাটার সঙ্গে আমি জড়িত নই। ডুলাহাজারার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটছি বলে অনেকে পরিবেশ অধিদপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি পরিবেশ অধিদপ্তরকে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত নই তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। ফলে তারা সব অভিযোগ থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ির এসিএফ মাসুদ রানা বলেন, যারা পাহাড় কাটার সাথে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমতি মিললে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। খবর নিয়ে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম্য দিনদিন চাউর হয়ে উঠছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে ক্ষমতার চূড়ান্তে বসবাস করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আগ্রহবোধ না করায় তাদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে চলেছে।
তারা মনে করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার এমন নজির রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে। সুতো ধরে টান দিলে এমন রাঘব বোয়াল দলে দলে বেরিয়ে আসবে। তাদের অধিকাংশই অবশ্য অর্থ কিংবা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। এমনকি কার কাছে কেমন অবৈধ সম্পদ রয়েছে এসব বিষয়ে প্রশাসন ওয়াকিবহাল থাকলেও উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ইশারা পাচ্ছেন না বলে ব্যবস্থাও নিচ্ছেন না। সরকার ২০১৯ সালের শেষদিকে শুদ্ধি অভিযান চালালেও এখন আদতে থেমে গেছেন। তারমানে এই নয় দেশে অবৈধ সম্পদধারী কেউ নেই। সরকার নিজেদের স্বার্থ বুঝে এসব অভিযান পরিচালনা করেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অবৈধ সম্পদধারী সকলকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। একইসাথে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুদ্ধি অভিযান পুনরায় চালু করার আহ্বান জানান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অবৈধ দখলদারেরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে, বিশেষত রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এসব তৎপরতায় লিপ্ত হয় এবং তাদের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা যথাযথভাবে কাজ করে না। তাই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের দমন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রশাসনের সাথে অসাধু অংশের সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের যোগসাজশও ছিন্ন করতে হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৩০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ