বিশেষ প্রতিনিধি : ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বহতা সিন্ধুর জল বণ্টন নিয়ে তৈরি স্থায়ী কমিশন বৈঠকে বসছে। আইনি পথে বিবাদের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে, যা নিয়ে ১৯৬০ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হতে তারা দুই দেশই রাজি হয়েছিল। এই মর্মে একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছচ্ছে একাধিক বিবাদপূর্ণ ইস্যুতে সমাধানমূলক আলোচনা করতে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব নদীতে নির্মিত জলবিদ্যুৎপ্রকল্পগুলিও।
দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির জল বণ্টন তথা জলপ্রবাহ নিয়ে বিরোধ সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ের চেহারা নিতে চলেছে৷ ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার অন্যতম কারণ সিন্ধুনদের জল বিরোধ৷ এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশে বিদ্যুতের আকাল৷ ভৌগোলিক দিক থেকে উজানে অবস্থিত প্রত্যেক দেশ নিজ ভূখণ্ড দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলির জল আটকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করতে চলেছে৷
প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই পানি সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে। আন্তঃসীমান্ত জলবণ্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও চলেছে টানাপোড়েন৷ বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়েও স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে দেশটি। প্রায় শুকিয়ে গেছে বিপুল তিস্তা। নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষিব্যবস্থা ভয়াবহভাবে হয়েছে ক্ষতির সম্মুখীন। তবে এতেও তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে ভারতের মনোযোগ পাওয়া যায়নি।
অস্ত্রবিরতির পর সম্প্রতি বৈঠকে দুই দেশ
সিন্ধু নদের পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান বৈঠক শুরু হয়েছে। ‘সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি’কে কেন্দ্র করে প্রায় আড়াই বছর পর মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুদিনব্যাপী এই বৈঠক শুরু হয়।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অস্ত্রবিরতির লক্ষ্যে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর যৌথ বিবৃতি দেয়ার পর এই আলোচনা শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘অতীতের সব ঘটনাকে কবর দিয়ে সামনে এগিয়ে’ যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ‘চিরশত্রু’ দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে বিরল হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
ওয়ান ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উভয় দেশ অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর এই বৈঠককে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এতে চুক্তির অধীনে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন, পাকাল দুল, লোয়ার কালনাই পানিবিদ্যুৎ স্থাপনাসহ পশ্চিমের বিভিন্ন নদী, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
সিন্ধু নদের পানিবিষয়ক পাকিস্তানি কমিশনার সাঈদ মুহাম্মদ মেহের আলি শাহ তার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিন্ধু নদবিষয়ক কমিশনার পিকে সাক্সেনা। তার সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের উপদেষ্টা, সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি ও ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
অকার্যকর ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মধ্যে ১৯৬০ সালে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীরের মোট ছয়টি নদী দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। ঠিক হয়, পশ্চিম দিকের তিন নদী সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও ঝিলমের পানি পাকিস্তানে যাবে, পূর্ব প্রান্তের তিন নদী বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর পানি পাবে ভারত। চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানে যাওয়া সিন্ধু নদের ২০ শতাংশ পানি ভারত চাষ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে পারে। পাওনা হলেও এত বছরে কখনো ভারত তার দাবি আদায়ে সচেষ্ট হয়নি।
সিন্ধু নদ চুক্তি ১৯৬০ সালে সই করা হয়েছিল যাতে সীমান্তবর্তী দুই দেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে থাকা এই নদীর অংশের জল, দুই দেশই সমানভাবে বণ্টন করতে পারে। এই বিষয় নিয়ে তৈরি হওয়া দুই দেশের বিবাদ মেটানো নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। এই চুক্তি সই হওয়ার আগে ১৯৪৮ সালে এই নিয়ে একটি স্থায়ী চুক্তি ছিল যার মাধ্যমে এই দুই বিভক্ত দেশ, জল নির্ধারিত মাত্রায় বণ্টন এবং ব্যবহার করতে পারত।
চুক্তি অনুযায়ী, দুদেশের প্রতিনিধিদের পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনার জন্য বছরে অন্তত একবার বৈঠক করার কথা থাকলেও গত কয়েক বছরে তা হয়নি।
২০১৯ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় জওয়ান নিহতের ঘটনায় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। তারপর থেকে ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা বন্ধ ছিল। এ ছাড়া কাশ্মীর থেকে ৩৭০নং অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের কারণেও দুদেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।
সূত্র মতে, বৈঠকে অংশ নিতে সোমবারই নয়াদিল্লি পৌঁছায় পাকিস্তানের সাত সদস্যের একটি দল। বৈঠকে পাকিস্তান ভারতের দুটি জল প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলতে পারে। পাকাল দূল এবং লোয়ার কালনাই নামক ভারতের দুটি প্রকল্প নিয়ে পাকিস্তান প্রথম থেকেই আপত্তি তুলে এসেছে। এই আবহে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন ফের এ বিষয়ে আপত্তি তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাকাল দূল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ভারত তৈরি করছে মারুসুদার নদীর ওপর। এই নদীটি চেনাবের শাখা-নদী। এই প্রকল্পটি জম্মুর কিশ্তওয়ার জেলায় অবস্থিত। এদিকে অপর প্রকল্পটি চেনাব নদীর উপরই। এই দুই প্রকল্প নিয়ে পাকিস্তান আপত্তি জানাতে পারে এই বৈঠকে। এ ছাড়া এদিনের বৈঠকে বন্যাসংক্রান্ত তথ্য বিনিময় নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে শেষবার কমিশনের বৈঠক হয়েছিল লাহোরে ২০১৮ সালে, যা সাধারণত হওয়ার কথা বছরে অন্তত একবার। কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নানা ধরনের বিবাদ-বিদ্বেষের কারণে বিশেষ করে সংবিধানের ৩৭০ ধারার প্রত্যাহার এবং তার জেরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পর পর হিংসামূলক ঘটনার ফলে এই বৈঠক আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
শেষপর্যন্ত পেছনের দরজা দিয়ে হওয়া কূটনীতির ফলে বরফ কিছুটা গলেছে এবং দুই দেশকে ফের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা গেছে।
সিন্ধু নদ নিয়ে ভারতের রাজনীতি
চুক্তির আওতায় ছ’টি নদী রয়েছে। সিন্ধু, ঝিলম, চেলাব, রাভি, শতদ্রু এবং বিপাশা। চুক্তি অনুসারে পাকিস্তান, পশ্চিমের নদীসমূহ যেমন ঝিলম, চেনাব এবং সিন্ধু, যা ভারতে উৎপন্ন হয়ে পাকিস্তানে প্রবাহিত হয়েছে, এগুলির উপর পূর্ণ অধিকার উপভোগ করে। ভারতের কোনও ক্ষমতা নেই, এই সব নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে পাকিস্তানকে এদের জল থেকে বঞ্চিত করার।
আবার অন্যদিকে, চুক্তি অনুসারে ভারত বাকি তিনটি নদী যেমন রাভি, বিপাশা এবং শতদ্রু নদীর জলের পূর্ণ কর্তৃত্ব ভোগ করে। যদিও সিন্ধু নদ চিনের তিব্বত মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে কিন্তু বেজিংকে এই চুক্তির বাইরেই রাখা হয়।
পানি নিয়ে পাকিস্তানের জীবন-মরণ সমস্যা হঠাৎ তৈরি হয়নি। প্রয়োজন ও জোগানের ব্যবধান সামনে রেখে কার্যকর কোনো পানি পরিকল্পনা নেই দেশটিতে। দেশটি প্রতিবছর প্রকৃতি থেকে যে পানি পায়, তার মাত্র ১০ ভাগ ধরে রাখার সামর্থ্য তার আছে।
তবে অনেক রাজনীতিবিদ মনে করেন, সংকটের মূলে রয়েছে ভারতের বৈরী আচরণ। বিশেষত দুই দেশের মধ্যে ১৯৬০ সালে সম্পাদিত পানি চুক্তি ভারত লঙ্ঘন করে কাশ্মীর অঞ্চলে একের পর এক ড্যাম তৈরি করছে বলে পাকিস্তানের অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে কাশ্মীর সীমান্তের ভারতীয় ‘কৃষানগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প’-এর উদাহরণ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত মে মাসে সেটি উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্প নির্মিত হয়েছে ঝিলাম নদীর শাখা নিলমের প্রবাহে। এটা পাকিস্তানে পানিসংকটের একটি কারণ হয়েছে।
কৃষানগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের সময়ই কিস্তোয়ার জেলায় চেনাবের একটি শাখানদীতে ভারত তিন গুণ বড় আরেকটি ড্যাম প্রকল্প (‘পাকুল দুল’ নামে পরিচিত) শুরুর ঘোষণা দেয়। কাশ্মীরের ভারতীয় ড্যামগুলো নিশ্চিতভাবেই কারাকোরাম-হিমালয় অঞ্চল থেকে সিন্ধু অববাহিকায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে এবং এরূপ প্রতিবন্ধকতা বাড়াতে নিজের চেষ্টাও নয়াদিল্লি গোপন করছে না।
ভারত আফগানিস্তানেও অন্তত ১২টি ড্যাম নির্মাণে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এই ড্যামগুলো কাবুল নদীর পাকিস্তান অংশে প্রবাহ কমিয়ে ফেলবে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা ৯টি নদীর মধ্যে কাবুল হলো পাকিস্তানের পানির একটা বড় উৎস। কাবুল ও সিন্ধু নদের মিলনস্থলেই পাকিস্তান কলাবাগ ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু সে পরিকল্পনা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের পানি নিয়ে কোনো চুক্তি নেই, সেটাও পাকিস্তানের বড় এক দুর্বলতা হয়ে আছে।
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে পাকিস্তানের সার্বক্ষণিক পাল্টা পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও পানিযুদ্ধ সামাল দিতে তাদের নির্ভরযোগ্য কোনো সুরক্ষা আছে বলে মনে হয় না। অথচ প্রায় ২২ কোটি মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন ছাড়াও দেশটির অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে পানিনির্ভর। ২০০৯ সালে দেশটিতে বছরে মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা ছিল দেড় হাজার কিউবিক মিটার (১ কিমি = ১ হাজার লিটার)। গত বছর তা নেমে এসেছে ১ হাজার ১৭ কিউবিক মিটারে।
দেশটির সেচভিত্তিক আবাদের ৯৫ ভাগই সিন্ধু অববাহিকার নদীনির্ভর, এই পানিকে ভারত যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বলে অভিযোগ। কিন্তু পাকিস্তানের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের প্রচারকালে মনে হয়নি দেশটির কোনো রাজনৈতিক দলের পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতা আছে। হয়তো পানির সংকটের প্রধান শিকার কৃষকসমাজ বলেই এ উপেক্ষা।
বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতা
ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিশ্বব্যাঙ্কও। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা সালিশিকর্তার মতো এবং তারা এমন কোনও প্রকল্পকে অনুদান দেবে না বা সমর্থন করবে না, যা IWT-র পরিকাঠামোকে লঙ্ঘন করে।
বাস্তবিকভাবে বলতে গেলে, বিশ্বব্যাঙ্কই এই দুই দেশকে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর সমাদর জানিয়েছিল। সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলম –এই তিনটি হল প্রধান নদী যারা পাকিস্তানের অর্থনীতির বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পাকিস্তানের জন্য জীবনরেখা হিসাবে প্রতিপন্ন হয়। সে দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি এই তিন নদীর উপরই নির্ভরশীল।
চেনাব এবং ঝিলম নদী জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (যা লাইন অফ কন্ট্রোল নামেও পরিচিত) উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে। এই এলাকা বর্তমানে কিছুটা হলেও শান্ত রয়েছে কারণ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির হালে পুননর্বীকরণ হয়েছে ।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্লাইমেট নেক্সাসের নির্বাহী জেফ নেসবিট বলেন, পানি চুক্তি রয়েছে এ দু’দেশের৷ সীমান্তবর্তী অন্যান্য সংকট সম্বলিত পাশাপাশি দু’টো দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা থাকা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে৷
জেফ নেসবিট আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে দুই দেশের ভৌগোলিক অবস্থানকেও৷ কারণ পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু পানির মূল উৎস৷ একই সঙ্গে দেশটির ৯০ ভাগ কৃষি এই নদীর ওপর নির্ভরশীল৷ সুতরাং তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন সংকট আসন্ন৷ এটিকে মোকাবেলা করতেই সচেষ্ট থাকতে হবে৷
এসডব্লিউ/এসএস/১৪৪১
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ