সম্প্রতি ইসরায়েলি পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করার অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসরাইলের একটি আদালত। পুলিশের গাড়িতে পাথর নিক্ষেপ করে কাচ ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে আবদুল্লাহ নামের ওই কিশোরটির বিরুদ্ধে।- সূত্র মিডল ইস্ট আই।
আবদুল্লাহ ইশাওইয়া অঞ্চলে বসবাস করেন। এ এলাকায় প্রায়ই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালায়। এখানে নিয়মিতই ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর মাটিতে মিশিয়ে দেয় ইসরায়েলি হানাদারেরা।
আবদুল্লাহর মা বলেন, গেল ছয় মাসের মধ্যে তার ছেলেকে অন্তত তিনবার কারাগার ও গৃহবন্দি হতে হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে একবার আটক হয়েছে আবদুল্লাহ। তখন বেথেলহেমের কাছে আবু গুনেম পুলিশ স্টেশনে তাকে চারদিন অবস্থান করতে হয়েছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেত তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে।
এরপর এক হাজার সেকেলের বিনিময়ে তাকে জামিন দেওয়া হয়। শর্ত দেওয়া হয়, অন্তত দশ দিন তাকে গৃহবন্দি থাকতে হবে। পরে আরও পাঁচ মাস তার গৃহবন্দিত্ব বাড়ান হয়। মার্চে সেই মেয়াদ শেষ হলে তদন্তের কথা বলে মসকোভিয়া বন্দিশিবিরে তাকে পাঁচদিন আটক করে রাখে।
আবদুল্লাহর মা বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্বে আমাদের কষ্টের শেষ নেই। ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালায় এবং রাবার বুলেট, স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুদের ক্ষুব্ধ করে তুলে, যাতে তারা প্রতিবাদ জানায়।
ফিলিস্তিনি শিশুদের উপর বর্বর নির্যাতন
২০১৮ সালের পর থেকে অন্ততপক্ষে ৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু কিশোরকে আটক করেছে ইসরায়েল। সেইসাথে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১ হাজার ৩৪৬ জন শিশুকে আটক করা হয়, ২০১৯ সালে ২ হাজার ৩৮১ জন এবং ২০১৮ সালে ৩ হাজার ২৫০ জন।
বিশ্ব সমাজের মেরুদণ্ডহীন, অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করছে চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়ে। ইসরায়েলের জল্লাদ বা কশাই শাসকরা চরম পাশবিকতা দেখিয়ে ঘোষণা করেছে, আরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করা উচিত!
কিছুকাল আগে ইসরায়েলের কথিত শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, গাজার যেসব ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলে তথা অধিকৃত ফিলিস্তিনে আগুন-ছড়ানো বেলুন পাঠাচ্ছে তাদের ওপর জঙ্গি বিমান বা ড্রোন দিয়ে সরাসরি হামলা চালাতে হবে!
শিশু অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী শিশুদের সঙ্গে সহিংস আচরণ করা নিষিদ্ধ। অথচ ইসরায়েলি সেনারা প্রায় প্রতিদিনই নিরপরাধ ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা অথবা বন্দি করছে ও কারাগারে তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি শিশুদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করার লোমহর্ষক খবরও মাঝে মধ্যে প্রকাশ হচ্ছে।
যুদ্ধে বা হামলায় মানবঢাল হচ্ছে শিশুরা
জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মূলত ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে আটক করা হয়৷ শিশুদের ধরতে রাতের অন্ধকারেও চালানো হয় অভিযান৷ ধরেই শক্ত করে বাঁধা হয় হাত, চোখ– সেই অবস্থায় নিয়ে গিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য চালানো হয় নির্যাতন৷
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাদের আরেক নিষ্ঠুরতার কথা উঠে এসেছে৷ হামলায় ফিলিস্তিনি শিশুদের ব্যবহার করা হয় ‘মানবঢাল’ হিসেবে৷ কোনো ভবনে অভিযান চালাতে গেলে ফিলিস্তিনিরা যখন পাথর ছুঁড়তে থাকে, ইসরায়েলি সেনারা তখন সামনে দাঁড় করায় আটক শিশুদের, উদ্দেশ্য– ঢিল বা গুলি যাই আসুক, আঘাতটা আগে লাগবে শিশুদের গায়ে!
জেলখানার বন্দীদের নিয়ে কাজ করে- এমন এক সংগঠন ‘আদামির’ বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের পরিকল্পিতভাবে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদামিরের রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৮ সালে ৮০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে জেরুসালেম থেকে বন্দী করা হয়। এর মধ্যে ৪১ জন পূর্ব জেরুসালেমের। তারা বছরের শেষ দিন পর্যন্ত জেলে আটক ছিল।
ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর অস্ত্র পরীক্ষা
কলম্বিয়া বিশ্ববিদালয়ে দেয়া এক বক্তৃতায় বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের আরব অধ্যাপক নাদেরা শালহুব কেভোরকিয়ান জানিয়েছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেনারা নিরপরাধ ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর অস্ত্র পরীক্ষা করছে।
এসব পরীক্ষার মাধ্যমে ইহুদিবাদী সেনারা নিশ্চিত হচ্ছে যে, কোনটি সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর অস্ত্র। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কারখানাগুলোর পরীক্ষাকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনির ভূখণ্ড।
তিনি বলেন, “ইসরায়েলি সেনারা পরীক্ষা করছে কোন বোমা তারা ব্যবহার করবে, কোন গ্যাস কিংবা স্টিঙ্ক বোমা ব্যবহার করা হবে।
তারা আমাদের ওপর প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ রাখবে নাকি কাপড়ের ব্যাগ রাখবে, তারা রাইফেল দিয়ে গুলি করবে নাকি বুট দিয়ে লাথি মারবে- তারাই তা ঠিক করছে।”
যুদ্ধের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুরা
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের গাজা কার্যালয়ের প্রধান পারনাইল আইরনসাইড বলছেন, ২০০৮ ও ২০১২ সালের যুদ্ধে গাজার জীবন এবং অবকাঠামোর ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা আগের তুলনায় মারাত্মক।
তিনি বলেছিলেন, গাজা ভূখণ্ডে এমন কোন পরিবার নেই, যে পরিবার কোন না কোনভাবে এই যুদ্ধে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। হয়তো যুদ্ধে কাউকে হারিয়েছে, আহত হয়েছে, বা তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে অথবা উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধে গাজার প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
মিজ আইরনসাইড আরো বলেছেন, গাজার শিশুদের মধ্যে মানসিক সমস্যার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তারা সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকে, আতঙ্কে রাতে বিছানা ভিজিয়ে ফেলছে এবং দুঃস্বপ্ন দেখছে। তারা এমনকি তাদের অভিভাবকদের উপরও সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে পারছে না কারণ তাদের অবস্থাও সঙ্গীন। প্রায় ৪ লক্ষ শিশুর জরুরি ভিত্তিতে মানসিক সাহায্য প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত, নাভি পিল্লাই বলছেন, ইসরায়েলের শিশুদের যেমন একটি সুন্দর জীবন পাবার অধিকার রয়েছে, তেমনই অধিকার রয়েছে গাজার শিশুদের।
আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরের মানুষদের দুর্ভোগ এর চাইতেও বেশি। তারা শোচনীয় পরিস্থিতির মধ্যে আছে। সেখানে, বিশুদ্ধ সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। পয়োনিষ্কাশন প্রণালীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা দূষিত হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে, ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিতে পারে, যা অনেক শিশু বিশেষ করে ৫ বছরের কম বয়সের শিশুর মৃত্যুর কারণ হবে।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার স্কুলগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জাতিসংঘের ৮৯টি স্কুলসহ অন্তত ১শ ৪২টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য তিনি মনে করেন হামাসও এর জন্যে দায়ী। কারণ নিষিদ্ধ হলেও তারা জাতিসংঘের তিনটি স্কুলে রকেট মজুদ করেছিল।
ফিলিস্তিনি শিশু হত্যা
নেতানিয়াহু দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩৩১৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে শিশু ৭৭৫ জন। ইসরায়েলের মানবাধিকার সংস্থা ‘বেইতসালেম’ এই রিপোর্ট দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজন গাজা উপত্যকায়, ২৩ জন পশ্চিম তীরে (পূর্ব জেরুজালেমসহ) এবং তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলের মধ্যে।
বহু স্থানে উদ্বাস্তু শিবিরে ফিলিস্তিনি শিশুদের রাখা হয়েছে, সেখানেই একবেলা খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিছু দিন আগে ৫১ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ গাজায় ছয় হাজার বার বোমা হামলা চালানো হয়, ট্যাংক থেকে ১৪ হাজার ৫০০ বার গোলাবর্ষণ করা হয়, আর্টিলারি থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে ৩৫ হাজার বার। জাতিসঙ্ঘের সূত্রেই এই তথ্য।
বিশ্ব দেখেছে নিরস্ত্র মানুষের ওপর নিয়মিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলা, যা এখনো চলছে। কিন্তু কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি এত মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের পরও।
মানবাধিকার সংস্থা মিজান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনাদের গুলি বর্ষণে ৫৬ ফিলিস্তিনি শিশু শহীদ হয়েছে।
এ ছাড়াও একই বছরে হানাদার ইসরায়েলি সেনাদের গুলির শিকার হয়ে আহত হয়েছে দুই হাজার ৮৯০ ফিলিস্তিনি শিশু।
একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার বিশেষ করে ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন জোরদার করে গত বছর গাজায় দু’টি স্কুলে বোমা বর্ষণ করে।
ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দুই হাজার সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা বা গণ-অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলি সেনাদের হাতে শাহাদত বরণ করেছে। অথচ ফিলিস্তিনি শিশুরা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেনি।
যেসব ব্যক্তি এসব শিশুর হত্যার কিছু ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা জোর দিয়ে বলেছেন, টার্গেট করা শিশুগুলো ছিল নিরস্ত্র এবং তারা ইসরায়েল রাষ্ট্র বা এর নাগরিকদের জন্য কোনো ধরনের হুমকিও তৈরি করছিল না।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সৈন্যদের চোরাগোপ্তা হামলা, ড্রোন হামলা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় এই শিশুরা নিহত হয়েছে। হত্যার শিকার ৫টি শিশুর বয়স ছিল ১২ বছরের নিচে। গাজায় ৪৯ শিশুকে হত্যা করে ইসরায়েল, যারা ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ বা দেশে ফেরার প্রতিবাদ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল।
ডিসিআইপি কর্তৃক নথিভুক্ত ৭৩ শতাংশ হত্যার ঘটনায় দেখা গেছে, ইসরায়েল জীবনঘাতী গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া সংস্থাটি ‘১৪০টি ঘটনা রেকর্ড করেছে, যেখানে ফিলিস্তিনি শিশুদের ফিলিস্তিনি বাহিনীই জেল বা আটকাদেশ দিয়েছে।’ ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিমতীরে ১২০ ফিলিস্তিনি শিশুকে গ্রেফতার করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা ইসরায়েলি বাহিনী- যারাই শিশুদের আটক করুক না কেন, সেই শিশুরা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হাতে হয়রানির শিকার হয়েছে।
ডিসিআইপির গবেষণা এই সত্যই প্রতিষ্ঠা করছে যে, ২০১৮ সালে প্রতি সপ্তাহে ইসরায়েল একজনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে। এর আগের এক দুঃখজনক সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল, ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১৪ বছর গড়ে প্রতি তিন দিনে একটি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
গত বছরজুড়ে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক মানসিকতা ও পদক্ষেপ আলোচনায় ছিল, যার বেশিরভাগই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে হলোকাস্ট শব্দটির রেফারেন্সের ক্ষেত্রে একচেটিয়া সুবিধার কারণে।
শুধু নিরীহ মানুষ হত্যাই নয়, গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অন্তত ৭২৯টি ফিলিস্তিনি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলিরা। এর মধ্যে ঘরবাড়ি রয়েছে ২৭৩টি, যার ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ।
এছাড়া আরও ৪৫৬টি অনাবাসিক স্থাপনা ও অবকাঠামো ধ্বংস করেছে ইসরায়েলিরা। এর মধ্যে রয়েছে জলাশয়, পাইপলাইন, বৈদ্যুতিক স্থাপনা প্রভৃতি। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২০ সালেই ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বেশি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল।
সংস্থাটির তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে অবৈধ ইসরায়েলি দখলদাররাও। গত বছর এধরনের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ২৪৮টি। এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন মালামাল ও শস্য ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১২৩৭
আপনার মতামত জানানঃ