গত ২৯ ফেব্রুয়ারি লিপইয়ারের রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুনে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর চট্টগ্রামের চিনি কারখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুনের বড়-ছোট ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ৭১৩টি, মার্চে ৩ হাজার ৩৩৪টি, এপ্রিলে ৩ হাজার ১৪১টি, মে’তে ৩ হাজার ২৩৫টি—এই চার মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া জানুয়ারিতে ২ হাজার ৬৪৬, জুনে ২ হাজার ৪৫০টি ঘটনা ঘটে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এ চার মাসে আগুনের ঘটনা কম ঘটে থাকে।
এ বছরের শুরুতেই ৪ মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবস্থিত এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে যা ৭ মার্চ বেলা ১১টায় কারখানার আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়। ৭ মার্চ রাজধানীর বনানীর একটি নির্মাণাধীন ভবনে আগুন লাগে। ১৩ মার্চ গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে ৩৬ জন দগ্ধ হয়। ১৪ মার্চ রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় একটি বহুতল ভবনের কার্পেটের গোডাউনে আগুন লাগে। এছাড়া দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বছর বিবেচনা করলে দেখা যায়, শুধু এ বছরই নয় প্রতি বছরের শুরুতেই আগুন লাগার ঘটনা বেশি দেখা যায়। নগরবাসীও এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জনসাধারণ মনে করেন একটার পর একটা এমন আগুন লাগার ঘটনায় তারা খুবই চিন্তিত। পর্যায়ক্রমে আগুন লাগার এসব ঘটনা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন এবং তাদের নিরাপত্তায় এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার ইত্তেফাককে বলেন, ‘দুটি বড় ধরনের আগুন যদি পাশাপাশি সময়ে হয় তাহলেই মানুষ বুঝে যে মানুষের ধারণায় বা উপলব্ধিতে আসে যে বড় ধরনের আগুন পাশাপাশি লাগছে। আসলে এই সত্যটা সবসময়ই সত্য নয়।
শীত মৌসুম পার হওয়ার পরে যখন গাছপালা শুকিয়ে যায় এবং গাছপালা বলতে দাহ্য বস্তু যখন একটু উত্তপ্ত হয় অর্থাৎ ভেতর থেকে জ্বলে ওঠার প্রস্তুতি শুরু হয়। এ সময় গুলোতে সতর্ক না থাকলে বড় ধরনের আগুন লাগার আশংকা তৈরি হয় বা আগুন লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই তিনি সবাইকে নিরাপত্তার শর্তগুলো মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।’
আপনার মতামত জানানঃ