ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে আগামী ১০ অক্টোবর উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও ভোটারদের মাঝে তেমন আগ্রহ নেই। প্রচারণা শুরু হলেও অন্য সময়ের মতো প্রার্থীদের উঠান বৈঠক, গণসংযোগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিও তেমন একটা দেখা যায়নি। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার চেয়ে একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার, হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগ, সরকার সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীদের হাতে অন্য প্রার্থী নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে তাদের বক্তব্যে। হামলার অভিযোগও করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী। সরেজমিন ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ডিএসসিসির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডটি সূত্রাপুর থানার একরামপুর বানিয়ানগর, বেগমগঞ্জ, ঋষিকেশ দাস রোড, কুলুটোলা, লোহারপুল, কাঠের পুলসহ ও গেণ্ডারিয়া অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। ওয়ার্ডটিতে ৪টি প্রাইমারি স্কুল, ১টি উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।
২১ হাজার ভোটার অধ্যুষিত ওয়ার্ডটির মশক সমস্যা, সুপেয় পানির অভাব, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো সংস্কারের অভাব রয়েছে। ওয়ার্ডটিতে সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠটিতে বছরব্যাপী ট্রাকস্ট্যান্ড বানিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। বেগমগঞ্জ লেন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ জলাবদ্ধতাসহ নোংরা ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণে বিলম্বের অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। উপনির্বাচনে ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মিজানুর রহমান ইমন (রেডিও প্রতীক), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হাজী মশিউর রহমান খান নিপু (ঠেলাগাড়ি প্রতীক), বিএনপি সমর্থিত আক্তার হোসেন (ঘুড়ি প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুর রহমান খান (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট) রয়েছেন।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রার্থীরা একে অপরের ওপর বিষোদ্গার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার নামে একটি নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরি করেছে। মশিউর রহমান নিপু খান বলেন, আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে। প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা। ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করতে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে নিরাপত্তা ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণসহ অভিযোগ করেছি। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত জানানঃ