স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৪ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবককে নির্যাতন
ইত্তেফাক
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
এসআই পরিচয়ে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মনির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে টুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের সাব ইন্সপেক্টর বলে দাবি করলেও থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। শনিবার দিনগত মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধিন সাইলো বটতলা এলাকায় এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার নামে এক যুবককে চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করেন মনির নামে পুলিশের একএসআই। এলাকাবাসী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাতেই সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত মনির নিজেকে টুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আনোয়ার নামে একজন আমার দোকানের পেছন থেকে তার চুরি করে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। সে এলাকার চিহ্নিত চোর। তাই চুরির অপরাধে তাকে কিছুটা শাস্তি দেয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে নির্যাতনের খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত আনোয়ারকে উদ্ধার করে সদরের ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। রবিবার দুপুরে আনোয়ার সুস্থ হয়ে নির্যাতনের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ
মানবজমিন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
রাজধানীর পুরানা পল্টন এবং জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকাল ৩টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
এর আগে আজ দুপুর ২টার দিকে রাস্তা অবরোধ করে সরকার পতনের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সরকারের পতনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে নিজেকে মাদ্রাসা ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছে।
সিনহা হত্যা মামলা
বরখাস্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে চার্জশিট হওয়ায় অপর ভুক্তভোগীদের স্বস্তি
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ দাসকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করায় এই ওসির নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন জেল হাজতে আছে। আরেকজন পলাতক। এদিকে সাবেক ওসি প্রদীপ দাসকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার আদালতে চার্জশিট দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন টেকনাফের অনেক ভুক্তভোগীরা।
এমনই ভুক্তভোগী টেকনাফ পুরান পল্লান পাড়ার বেলুজা ও আমিনা খাতুন জানান, ‘‘আজ টিভি’র খবরে দেখেছি সাবেক ওসি প্রদীপসহ তার সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে র্যাব। এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। প্রদীপ টেকনাফের অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। সিনহা হত্যা তাই প্রমাণ করে। তার মতো অপরাধীর ফাঁসি হওয়া দরকার। আমরা তার ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি।’
Departmental action sought against SP Masud
New Age
Category: State forces
The Rapid Action Battalion investigator has recommended departmental actions against former Cox’s Bazar police superintendent ABM Masud Hossain for his inaction and negligence concerning the killing of former army major Sinha Mohammad Rashed Khan. In a briefing on Sunday, RAB media wing director Lieutenant Colonel Ashique Billah said that they recommended departmental actions against ABM Masud in the Sinha murder case charge sheet that was submitted on the day. Ashique said that former officer-in-charge of Teknaf police station inspector Pradeep Kumar Das had been running a Yaba business at Teknaf, Cox’s Bazar, where he had created an atmosphere of terror. Though police super ABM Masud was aware of Pradeep’s activities he did not take any action against him, said Ashique. Pradeep, said RAB officers, tortured local journalist Faridul Mostafa and others who raised their voice against his illegal activities. He also filed a case against the journalist.
Sinha Murder
Case Charges pressed against 12 cops, 3 villagers
Pradeep, Liyakat conspire to kill Sinha: RAB
New Age
Category: State forces
The Rapid Action Battalion on Sunday submitted their charge sheet naming 15 suspects as accused in the case over the killing of retired army major Sinha Md Rashed Khan in Cox’s Bazar in July, stating that then officer-in-charge of Teknaf police station Pradeep Kumar Das had plotted the murder nearly two weeks ago. RAB director (legal and media wing) Lieutenant Colonel Ashique Billah was speaking on the charge sheet at a crowded press conference at the elite force’s sub-office at Karwanbazar in the capital. According to the charge sheet, the 15 suspects are Pradeep Kumar Das, then Baharchhara investigation centre in-charge inspector Liyakat Ali, then Teknaf police sub-inspector and constables Nanda Dulal Rakshit and Rubel Sharma and Sagar Dev respectively, then Baharchhara police investigation centre assistant sub-inspector Liton Mia and constables Safanur Karim, Kamal Hossain and Abdullah Al Mamun, then Cox’s Bazar-based Armed Police Battalion sub-inspector Shahjahan and constables Rajib and Abdullah, and three villagers — Nurul Amin, Nizam Uddin, and Ayas Uddin. The RAB spokesperson said that the three villagers were police informers and took part in the murder plot against Sinha. Of the 15 suspects, Sagar Dev remains absconding while the rest are in jail in Cox’s Bazar and Chattogram. All the policemen were suspended following their arrest. Ashique said that Pradeep, along with inspector Liyakat Ali and the three police informers, conspired to kill the retired major as he and his team had collected ‘sensitive’ information about the crime haven of Pradeep.
আপনার মতামত জানানঃ