এয়ারশিপ আর-৩৩ নির্মাণ করেছিলেন আর্মস্ট্রং হুইটওয়ার্থ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরই এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি প্রথম আকাশে উড়েছিল ১৯১৯ সালে। ক্রুদের প্রশিক্ষণ ও এটার পরীক্ষার জন্য পুলহাম এয়ার স্টেশনে এটিকে ওড়ানো হয়েছিল।
১৯২১ সালে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ এটাকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করে। পরে আর্থিক সমস্যার কারণে ব্রিটিশ সরকার সমস্ত এয়ারশিপ উন্নয়ন বাতিল করে দেয়। চার বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর ১৯২৫ সালে শর্তযুক্ত করে আবারও আর-৩৩ এর যাত্রা শুরু হয় এবং পুনরায় পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য পুলহামে আনা হয়। ১৯২৫ সালের এপ্রিলে উত্তর সমুদ্রের ওপরে এক অভিযানের মাধ্যমে এটা বিখ্যাত হয়ে ওঠে। এই অভিযান সেই সময়ে জাতীয় শিরোনাম হয়েছিল এবং ক্ষতিগ্রস্থ এয়ারশিপটি সফলভাবে ঘরে ফিরে আসায় ক্রুরা হিরো হিসাবে প্রশংসিত হয়েছিল।
তাদের কর্মের জন্য এয়ারশিপের প্রথম অফিসার, যিনি কমান্ডে ছিলেন, লেফটেন্যান্ট রালফ বুথকে এয়ার ফোর্স ক্রস, কক্সসোয়াইন, ফ্লাইট-সার্জেন্ট “স্কাই” হান্ট, এয়ার ফোর্স মেডেল, চারজন ক্রু সদস্যকে ব্রিটিশ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল এবং অন্যান্য ক্রু সদস্যদের শিলালিপিযুক্ত ঘড়ি উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল।
১৯২৫ সালে মেরামতের পর এটাকে আর-১০১ এয়ারশিপ নির্মাণ উদ্দেশ্যে তথ্য সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এইগুলি শেষ হয়ে গেলে, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এটাকে একটি DH 53 হামিংবার্ড হালকা বিমান ব্যবহার করে একটি পরজীবী যোদ্ধা উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। কয়েকবার ব্যর্থ হবার পর সেই বছরের ডিসেম্বরে এটাকে সফলভাবে লঞ্চ করা হয়।
এটার ফ্রেমগুলো দুর্বল হয়ে গেলে ১৯২৮ সালে এটাকে চূড়ান্তভাবে ভেঙে ফেলা হয়।
ছবিও লেখা: https://rarehistoricalphotos.com/
এসডব্লিউ/কেএইচ/২২১৩
আপনার মতামত জানানঃ