জাতীয় বাজেট, সরকারের নীতি ও পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতের উপেক্ষিত হবার ঘটনা নতুন নয়। এছাড়া বাজেট স্বল্পতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্বল অবকাঠামো, জনবলের ঘাটতি, অদক্ষতা, দুর্নীতির কারণে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা একপ্রকার বিধ্বস্ত। রোগীদের থেকেও জীর্ণ। এদিকে, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ চরম দরিদ্র হয়ে যায়।
এদিকে, দেশে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার বালাই নেই। তবে এর সীমাবদ্ধতার নতুন রূপরেখা সরকার দেখিয়েছে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা, হয়রানি ও মামলার ঘটনার মাধ্যমে। এটা স্পষ্ট যে সরকার দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দিচ্ছে। বর্তমানে আমলাদের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে আছি আমরা।
কী ঘটেছিল সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাথে?
ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। এ সময় স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে পুলিশ দিয়ে ওই রুমে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা সেখানে ছুটে যান। যে কক্ষে রোজিনাকে আটকে রাখা হয়েছিল, সেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। কক্ষের বাইরে ছিলেন আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। কয়েকজন সাংবাদিক কক্ষের ভেতরে গেলে রোজিনা ইসলাম জানান তাকে মিজান নামে এক পুলিশ সদস্য নাজেহাল করেছেন।
একপর্যায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের গলা চেপে ধরে তাকে শাসান। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রাখা হয় রোজিনাকে। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। রাত সাড়ে আটটায় তাকে ধরাধরি করে নারী পুলিশ সদস্যরা ওই কক্ষ থেকে বের করে নিচে নামিয়ে আনেন এবং গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।
এ সময় সাংবাদিকেরা পুলিশের কাছে জানতে চান, রোজিনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তখন পুলিশ জানায়, চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর জানা যায়, তাকে হাসপাতালে নয়, শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।
রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে, রোজিনাকে মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন জুলি। সোমবার রাতে বড় বোনের সঙ্গে দেখা করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সাবিনা ইয়াসমিন জুলি বলেন, রোজিনা ইসলাম আমার বড় বোন। আমি প্রথম জানতাম না কী হয়েছে। থানায় এসে আপার সঙ্গে কথা বলে সব শুনেছি। আমার বোন আজ টিকা নিয়েছে। তিনি খুব অসুস্থ। এখন দেখলাম তার গায়ে অনেক জ্বর। টিকা নেওয়ার পর তিনি সচিবালয়ে যান। সেখানে তার সঙ্গে সোর্সের দেখা হয়। দেখা হওয়ার পর সোর্স আমার বোনকে কিছু ডকুমেন্ট দেয়। ডকুমেন্ট পাওয়ার পর তিনি স্বাস্থ্য সচিবের রুমের বাইরে অপেক্ষমাণ কনস্টেবল মিজানের কাছে ভেতরে কেউ আছেন কি-না জানতে চাইলে মিজান বলেন, ভেতরে কেউ নেই। আপনি ভেতরে গিয়ে বসেন।
জুলি আরও বলেন, তখন আমার বোন বলেন, আমি ভেতরে যাব না। আমি কিছু তথ্যের জন্য এসেছিলাম। তারপর মিজান বলেন, আপনি রুমের ভেতর বসেন। স্যার এখনি চলে আসবেন। এ কথা বলে মিজান আমার বোনকে রুমের ভেতরে বসায়। কক্ষে বসে আপা পত্রিকা পড়ছিলেন। ওই সময় কনস্টেবল মিজানসহ আরও কয়েকজন আপার ব্যাগ কেড়ে নেয়। তারা আমার বোনকে হুমকি দিয়ে বলেন, এতদিন অনেক নিউজ ও লেখালেখি করেছেন, আপনাকে মাটির মধ্যে পুঁতে ফেলব। পরে বোনকে ছয়-সাত ঘণ্টা সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়।
রোজিনার ছোট বোন বলেন, আমার বোন পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে হয়রানি করা হয়েছে। কনস্টেবল মিজানসহ ছয়-সাত জন আপাকে ঘিরে রাখে। মিজান তাকে মারতে গিয়েছিল। পরে তারা আপার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তারা বোনের ব্যাগের মধ্যে কিছু কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
এরপর রাত পৌনে ১২ টার দিকে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার নম্বর ১৬, দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি এক্ট ১৯২৩ এর ৩/ ৫ এর ধারা মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। এই মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কী বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী?
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে হেনস্থা করা এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, তাকে আটকে রেখে কোন ধরনের নির্যাতন বা আঘাত করা হয়নি।
তিনি বলেছেন, তার কাছে থাকা ফাইলগুলো ফেরত নেবার জন্য তাকে বড়জোর আধাঘণ্টা আটক রাখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং এরপর পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দাবি, রোজিনা ইসলাম করোনাভাইরাসের টিকা সম্পর্কে রাশিয়া ও চীনের সাথে সম্প্রতি স্বাক্ষর করা চুক্তি বিষয়ক নথিপত্র নেবার চেষ্টা করছিলেন।
তিনি বলেন, যে ফাইলগুলো সে নিয়েছে সেগুলো ছিল (করোনাভাইরাসের) টিকা সংক্রান্ত। এগুলো গোপন নথি। আমরা রাশিয়ার সাথে যে টিকা চুক্তি করছি, চীনের সাথে চুক্তি করছি, এগুলো নন ডিসক্লোজার চুক্তি। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি যে আমরা এটা গোপন রাখবো।
তো সেগুলো যদি বাইরে চলে যায় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম এবং আমাদের তারা টিকা নাও দিতে পারে। এতে দেশের বিরাট ক্ষতি হতে পারে।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নতুন নয়
দুদকের তালিকায় স্বাস্থ্যখাতের শতাধিক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নাম আছে। ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শতাধিক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তালিকা তৈরি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিট।
এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যন্ত্রপাতি কেনাকাটা, অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে কয়েক বছর আগে দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করতে ২৫ দফা সুপারিশসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি মন্ত্রণালয়। যদিও দুদকের মতে, তাদের প্রতিবেদন আমলে নিলে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি অনেকটাই কমতো।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান সে সময় বলেন, দুর্নীতি রোধে ২৫টি সুপারিশ করে বলেছিলাম এই কাজগুলো যদি করা হয় তাহলে দুর্নীতি হবে না। কিন্তু, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সে কাজগুলো করতে পারেনি। এছাড়া সুপারিশ করা কাজগুলো করতে পারলে এখন যে দুর্নীতির কথাগুলো সেগুলো হতো না।
এরপর দুদক বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনাকাটার নামে ১৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঠিকাদার ও অধিদপ্তরের প্রায় বিশজন কর্মকর্তার নামে মামলা করে দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম।
এদিকে, মাস্কসহ করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষাসামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে আরেকটি টিম অনুসন্ধান শুরু করে।
এক্ষেত্রে ঠিকাদারদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে এমন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা করে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অতিরিক্ত দামে যন্ত্রপাতি, ওষুধ কেনাসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে।
তাদের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের ৮ জন কর্মকর্তা, ২০ জন চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৫ জন অধ্যক্ষ রয়েছেন।
স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে দরিদ্র হচ্ছে মানুষ
মোটাদাগে বিশ্বে তিন ধরনের সফল স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু আছে। আমাদের দেশ এর কোনওটির মধ্যেই নেই, আমরা এক জগাখিচুড়ি অবস্থার মধ্যে আছি। তাই স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা না কমে ক্রমেই বাড়ছে।
২০১২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তৈরি ‘স্বাস্থ্য অর্থায়ন কৌশলপত্রে’ বলা হয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় কমিয়ে ৩২ শতাংশে আনা হবে। এই কৌশলপত্র তৈরির সময় স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৪ শতাংশই বহন করতেন ব্যক্তি, সরকার দিত ২৬ শতাংশ আর অন্যান্য উৎস থেকে আসত বাকি ১০ শতাংশ।
কিন্তু হয়েছে উল্টো। ব্যক্তির স্বাস্থ্য ব্যয় কমার বদলে বেড়ে ২০১৭ সালে ৬৭ শতাংশে আর ২০১৯ সালে ৭২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অপর দিকে, ২০১৭ সালের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যক্তির পকেট খরচ মালদ্বীপে ১৮, ভুটানে ২৫, শ্রীলঙ্কায় ৪২, নেপালে ৪৭, পাকিস্তানে ৫৬ আর ভারতে ৬২ শতাংশ অর্থাৎ বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি।
এর ফলে স্বাস্থ্যের ব্যয় মেটাতে গিয়ে আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে (প্রথম আলো, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)।
উপেক্ষিত স্বাস্থ্য খাত
বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বছরে মাথাপিছু ব্যয় হয় মাত্র ৩২ ডলার। একই সময়ে এই খাতে পাকিস্তানে ব্যয় হয় ৩৮, নেপালে ৪৫, ভারতে ৫৯, ভুটানে ৯১, শ্রীলঙ্কায় ১৫১ ডলার। বিগত প্রায় দেড় যুগের বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাত বরাবরই অবহেলার শিকার।
এ দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪ দশমিক ২ থেকে ৬ দশমিক ৮ (গড়ে ৫ দশমিক ৫) শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে এবং জিডিপির ক্ষেত্রে সব সময়ই ১ শতাংশের নিচে থেকেছে। অর্থাৎ সরকারিভাবে স্বাস্থ্য খাতকে সঠিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি ব্যয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
২০১৫ সালের স্বাস্থ্য খাতের খরচে জিডিপির অংশ বাংলাদেশে ২ দশমিক ৩৭, ভুটানে ৩ দশমিক ৪৫, ভারতে ৩ দশমিক ৬৬, নেপালে ৬ দশমিক ২৯ ও মালদ্বীপে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে বৈশ্বিক গড় ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ (সূত্র: বিশ্বব্যাংক ডেটা ২০১৯)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ১৫ শতাংশ এবং জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ হওয়া উচিত। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কম ব্যয় করে বাংলাদেশ। একে তো স্বল্প বরাদ্দ, তার ওপর রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থ ব্যয়ে অব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা।
জনবলের স্বল্পতা
বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য আছেন ৩ দশমিক ৮ জন চিকিৎসক এবং ১ দশমিক ০৭ জন নার্স। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আমাদের মতো দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের মোটামুটি মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক, নার্স ও ধাত্রী মিলে থাকতে হবে ২৩ জন।
কিন্তু আমাদের আছে মাত্র ৮ দশমিক ৩ জন। পাশের দেশ ভারতে ১৮ দশমিক ৫, ভুটানে ১৯ দশমিক ৩, থাইল্যান্ডে ২৮, নেপালে ৩৩ দশমিক ৫, শ্রীলঙ্কায় ৩৬ দশমিক ৮ আর মালদ্বীপে ১১৮ জন। অপর দিকে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে ৩ জন নার্স ও ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে দশমিক ৩ জন নার্স আর দশমিক ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
এই স্বল্প জনবলের মধ্যেও আবার ২০১৯ সালে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ পদই শূন্য ছিল (এইচআরএইচ ডেটা শিট ২০১৯; এইচআরএম ইউনিট, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়)। অর্থাৎ স্বল্প জনবল নিয়েই খুঁড়িয়ে চলতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা স্বাস্থ্য বিভাগকে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৪০৬
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ