Author: ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে আয়োজিত একটি সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে আদৌ রাজনৈতিক দল বলা যায় কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।” যদিও তিনি এও জানান যে, দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি, বরং দেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে—যতক্ষণ না আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বক্তব্য বিদেশি পর্যবেক্ষকদের কাছে দেশের রাজনীতিকে অনিরাপদ বা অনিশ্চিত হিসেবে তুলে ধরতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। পাশাপাশি, এতে রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ কমে এবং রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও তীব্র হতে পারে। একজন…

Read More

বিজ্ঞান সবসময় আমাদের শেখায়, মস্তিষ্ক ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু প্রকৃতি যেন বারবার তার নিয়ম ভেঙে আমাদের চমকে দেয়। হ্যাঁ, সমুদ্রের গভীরে রয়েছে এমন কিছু প্রাণী যারা একেবারেই ‘ব্রেইন’ ছাড়া বেঁচে থাকে, চলাফেরা করে, এমনকি আত্মরক্ষাও করে! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এই প্রাণীগুলোর জীবনযাপন আমাদের বুদ্ধিমত্তা আর টিকে থাকার ধারণাকেই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। চলুন জেনে নিই সেই ৫টি আশ্চর্য সমুদ্র প্রাণীর কথা, যারা ব্রেইন ছাড়াও দিব্যি দিবানিশি বেঁচে আছে: সি আর্চিন (Sea Urchin) কাঁটায় ঢাকা এই ছোট্ট প্রাণীটি মস্তিষ্ক ছাড়াই বেশ চালাক! এরা সামুদ্রিক পাথর স্ক্র্যাপ করে শৈবাল খায় এবং শরীরের নিচের দিকে মুখ, আর ওপরের…

Read More

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মাঝেও গভীর অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করার পর অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ তিনি এর আগে কখনো ডিসেম্বর, কখনো জুন মাসের কথা বলেছেন। এই ধারাবাহিক মতবিরোধ, তারিখে দ্বিধা এবং সময় নিয়ে সরকারের টালবাহানা—সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ এই সরকার গণতান্ত্রিক নাকি শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার একটা উপায় খুঁজছে? একটি গণতান্ত্রিক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি নির্দিষ্ট, পরিষ্কার ও বিশ্বাসযোগ্য সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন। সরকার যখন…

Read More

সন্ত্রাসবাদের কথা উঠলেই সাধারণত চোখ চলে যায় মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা বা দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। কিন্তু ইতিহাসের পাতা উল্টালেই দেখা যাবে, সন্ত্রাসবাদের অন্যতম ধারক ও বাহক ছিল পাশ্চাত্য সভ্যতা নিজেই। কলোনি প্রতিষ্ঠার সময় থেকে শুরু করে আধুনিক ভূরাজনীতিতে পশ্চিমারা বরাবরই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে একটি বৈধ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আর এই ঐতিহ্যের আধুনিক এক প্রতীক হয়ে উঠেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প — আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, যিনি কেবল রাজনৈতিক বিভাজন নয়, বর্বরতা ও ঘৃণার রাজনীতিকেও বৈধতা দিয়েছেন। ইউরোপ যখন ১৫শ শতকে “আবিষ্কার” শুরু করল নতুন নতুন ভূখণ্ড, তখন সেটি কোনো কৌতূহলবশত ছিল না, ছিল নিছক লোভ ও কর্তৃত্বের খেলা। আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারতবর্ষ— সর্বত্র তারা প্রবেশ…

Read More

হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেবতা গণেশ, যার মাথা একটি হাতির। এই চিত্রকল্পটি এতটাই পরিচিত যে হিন্দু সংস্কৃতিতে হাতিকে শুদ্ধতা, সৌভাগ্য ও জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। ভারতজুড়ে গণেশ পূজা হয়, বিশেষত মহারাষ্ট্রে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। গণেশের এই হাতির-মাথার উৎস মিথে আবদ্ধ—পিতার রোষে শিরশ্ছেদ এবং পরবর্তীতে হাতির মাথা প্রতিস্থাপনের কাহিনি হিন্দু ধর্মের অন্যতম আকর্ষণীয় পুরাণকথা। তবে প্রশ্ন হলো, গণেশের মতো দেবতার মাথা হাতির হলেও কেন হিন্দুরা হাতি পূজা না করে গরুকে পূজার মর্যাদা দেয়? এর মধ্যে কি কেবল ধর্মীয় ব্যাখ্যা রয়েছে, নাকি এর সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যাও জড়িয়ে আছে? প্রথমত, হিন্দু ধর্মে গরু একটি অত্যন্ত পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচিত…

Read More

বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে র‌্যাবসহ বিভিন্ন পুলিশ ও গোয়েন্দা ইউনিট। বিশেষ করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে র‌্যাবকে রাজনৈতিক ডেথ স্কোয়াডে পরিণত করা হয়েছিল। গুমের ঘটনায় শুধু র‌্যাব নয়, ডিজিএফআই, এনএসআই, বিজিবি ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখাও জড়িত ছিল। এসব বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও অপহরণ চালিয়ে এসেছে। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং অপারেশনাল ব্যাটালিয়ন গোপনে দীর্ঘদিন বন্দীদের আটক ও নির্যাতন করত। ‘টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’ নামে বিশেষ কক্ষে হাজার হাজার বন্দীকে হাতকড়া পরিয়ে অন্ধকারে রাখা হতো এবং মারধর, বৈদ্যুতিক শক, ঝুলিয়ে দেওয়া, ঘোরানোসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে নৃশংস নির্যাতন করা হতো। শিশু ও মানসিক রোগীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালের…

Read More

নরেন্দ্র মোদি এখন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল ও শক্তিশালী একনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তার চলমান রাজনীতির গভীর পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার ক্ষমতার ভিত্তি শুধু রাজনৈতিক কৌশল কিংবা জনসমর্থনে নয়, বরং উগ্র হিন্দুত্ববাদ, পাকিস্তান বিদ্বেষ ও গালগল্পে ভর করেই গড়ে উঠেছে। এসব উপাদান তিনি নির্বাচনী রাজনীতিতে অত্যন্ত কৌশলীভাবে ব্যবহার করছেন, যা এখন ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং একনায়কতন্ত্রের পথে ঠেলে দিচ্ছে। মোদির ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রধান অস্ত্র: পাকিস্তান বিদ্বেষ ও উগ্র হিন্দুত্ববাদ মোদির রাজনৈতিক কৌশল বড় মাপেরভাবে পাকিস্তান বিরোধী আবেগ ও উগ্র হিন্দুত্ববাদকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সীমান্ত হানাহানি, পুলিস হামলা, এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী ঘটনা গুলো…

Read More

আজকের ভারতীয় উপমহাদেশে গরুকে একটি পবিত্র প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। ভারতীয় রাজনীতিতেও গরুর মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ‘গোরক্ষা’, ‘গোহত্যা’ ইত্যাদি শব্দগুলো এক অতি সংবেদনশীল ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কি বলে? গরুকে কি আদিকাল থেকেই হিন্দুরা পূজা করতো? কখন শুরু হলো গরুকে ‘মাতা’ হিসেবে দেখার সংস্কৃতি? গরুর মাংস খাওয়ার রীতি কি ছিল? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে কয়েক হাজার বছর আগের প্রাচীন ভারতে। ‍প্রাচীন বৈদিক যুগে গরুর ভূমিকা রিগ্বেদ, যা প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ, সেখানে গরুর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সে ভূমিকা কেবল কৃষিকাজের সহায়ক প্রাণী হিসেবে নয়—ধর্মীয়…

Read More

যখন সানা ইউসুফ ১৭ বছরে পা দিলেন, তখন তিনি তাঁর জন্মদিন উদযাপনের একটি ভিডিও টিকটকে শেয়ার করেন তাঁর এক মিলিয়নেরও বেশি অনুসারীর সঙ্গে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি গোলাপি ও ক্রিম রঙের কেক কাটছেন, পিছনে বেলুনের একটি সুন্দর খাঁচা, ইসলামাবাদের মেঘে ঢাকা মারগাল্লা পাহাড়ের পটভূমিতে তাঁর মুখভর্তি হাসি, আর জুন মাসের হাওয়ায় তাঁর চুল উড়ছে। কিন্তু তার পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সানা নিহত হন—একটি গুলি তাঁর বুকে লেগে মৃত্যু ঘটে তাঁর। পাকিস্তানের সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃতদেহের ভয়ানক ছবি ভাইরাল হয়ে যায়, যা দেশজুড়ে নারীদের ক্ষোভে ফেটে পড়তে বাধ্য করে। তাদের প্রশ্ন—এই দেশে নারীদের জন্য কি আর কোনো নিরাপদ জায়গা আছে? ভার্চুয়াল…

Read More

ঢাকার শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি আধুনিক চক্ষু হাসপাতাল। উন্নত যন্ত্রপাতি ও দক্ষ চিকিৎসক-নার্সদের নিয়ে গড়ে উঠা এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের লক্ষাধিক মানুষের চোখের চিকিৎসায় ভরসার জায়গা ছিল। কিন্তু সেই হাসপাতাল গত ১৩ দিন ধরে কার্যত চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছে। যেখানে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার রোগী চিকিৎসা পেতেন, সেই হাসপাতাল এখন একটি অঘোষিত ‘আবাসিক হোটেল’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সংকট শুরু হয় ২৮ মে, যখন ‘জুলাই আন্দোলন’-এর কিছু আহত কর্মী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। অভিযোগ বলছে, এটি ছিল একটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে সৃষ্ট সংঘর্ষ। কিন্তু এর ফলাফল ভয়াবহ। চিকিৎসক ও…

Read More