Author: ডেস্ক রিপোর্ট

আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ঋতেশ কালরার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রেসক্রিপশন জালিয়াতি এবং চিকিৎসার বিনিময়ে যৌন সুবিধা দাবি করার মতো ভয়াবহ অপরাধ। নিউ জার্সির ফেয়ার লন এলাকায় কর্মরত এই চিকিৎসক গত কয়েক বছর ধরে রোগীদের দুর্বলতা ও আসক্তির সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরদের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কালরা ৩১ হাজারের বেশি ভুয়া প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন, যেগুলোর বেশিরভাগই নির্দিষ্ট আসক্তির ওষুধ। এই জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি শুধু অর্থ নয়, যৌন সুবিধাও দাবি করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন রোগীদের নিশানা করতেন যারা মানসিক বা…

Read More

ইরানের রেলপথে ঘটছে এক বিপ্লব। বিদ্যুৎচালিত রেললাইনের মাধ্যমে দেশের পূর্ব সীমান্ত সারাখস থেকে পশ্চিমের রাজি পর্যন্ত প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি আধুনিক পরিবহন করিডোর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রেলপথ চীন ও ইরানের যৌথ বিনিয়োগে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এটিকে বলা হচ্ছে ‘পূর্ব-পশ্চিম রেলসংযোগের মহাসড়ক’। এটি কেবল একটি পরিবহন প্রকল্প নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ইরান, চীন এবং বৃহত্তর ইউরেশিয়া অঞ্চলের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ইরানি রেল খাতের মুখপাত্র জাব্বার আলী জাকেরির মতে, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এর মাধ্যমে বছরে প্রায় ১.৫ কোটি টন মালবাহী পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে। এর ফলে ইরানের পূর্ব-পশ্চিম করিডোরের পরিবহন সক্ষমতা তিন গুণ বাড়বে। পাশাপাশি…

Read More

পবিত্র কোরআনের হাফেজ, অথচ গাজার জন্য একটি বাক্যও উচ্চারণ করেন না। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তির নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেন। তিনি পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান—ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। কাগজে-কলমে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদে থাকা এই ব্যক্তির নীরবতা শুধু দুর্বলতা নয়, এটি এক ধরনের যৌথ ভণ্ডামির প্রতীক। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে মুসলিম উম্মাহর রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। পদক ঝোলানো বীরদের পেছনে ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতীক, কায়দামতো সাজানো কোরআন পাঠ—সব মিলিয়ে একটি আবেগনির্ভর শাসনের নৈতিক মুখোশ। কিন্তু এই মুখোশ খসে পড়ে যখন গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে ফিলিস্তিনিরা মারা যায়, আর পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব কেবল ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব…

Read More

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের শাসন শেষ হয়েছে এক রক্তাক্ত ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে। এক সময়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই নেত্রী এখন নিভৃতে প্রবাসজীবনে, আর দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে আছে এক দুর্নীতির পরিণতি ও রাজনৈতিক দিশাহীনতার সীমানায়। তবে এই পতনের গল্প শুধু ঢাকার রাজপথেই সীমাবদ্ধ নয়; এর আরেকটি অধ্যায় রচিত হচ্ছে লন্ডনের বিলাসবহুল টাউনহাউস, প্রাসাদ আর ব্যাংক একাউন্টের আড়ালে। সম্প্রতি ব্রিটিশ জাতীয় অপরাধ দমন সংস্থা (NCA) বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাবানদের নামে যুক্তরাজ্যে জমাকৃত বিপুল সম্পদ ফ্রিজ করেছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মতো প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রীর নামে শত শত অ্যাপার্টমেন্ট, টাউনহাউস ও ব্যক্তিগত সম্পদ থাকা এখন আর গুজব নয়, বরং আদালতের ডকুমেন্টেড রেকর্ড। তার নামে যুক্তরাজ্যে ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের…

Read More

গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনের লাশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দাফন ও দাহ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে প্রকৃতভাবে কার গুলিতে বা কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, সেটি আর জানা সম্ভব হবে না বলেই মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। একে শুধু আইনি বিচ্যুতি বলেই নয়, বরং অপরাধ গোপনের একটি “তৎপর প্রচেষ্টা” হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ। বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হন। নিহতরা হলেন দীপ্ত সাহা, রমজান কাজী, সোহেল রানা ও ইমন তালুকদার। অথচ আইন অনুযায়ী, এমন সহিংসতায়…

Read More

বাংলাদেশের পরমাণু বিজ্ঞানীরা আজকাল গবেষণার জগৎ থেকে অনেকটাই সরে গিয়ে যেন খাদ্য নিরাপত্তার প্রহরীতে পরিণত হয়েছেন। যাদের মূল কাজ হওয়ার কথা ছিল ভবিষ্যতের প্রযুক্তি উদ্ভাবন, তারা এখন ব্যস্ত দেশের বন্দরে বন্দরে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করতে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ হয়, তা শুনলে রীতিমতো বিস্মিত হতে হয়। একজন পরমাণু বিজ্ঞানীর জন্য বছরে মাত্র ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ! আধুনিক গবেষণা কিংবা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনের পথে যা নিঃসন্দেহে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বাজেট বিশ্লেষণ বলছে, গত পাঁচ বছরে মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ১,২২৬ কোটি টাকা। কিন্তু এর অর্ধেকের বেশি গেছে বেতন-ভাতায়। গবেষণায় মাত্র ২৪ কোটি…

Read More

বাংলাদেশে বহু বছর ধরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকদের উপর দমন-পীড়নের অভিযোগ পুরনো হলেও বর্তমান বাস্তবতা আরও ভয়াবহ। একদিকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আশায় অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো নতুন পরিবেশে মুক্তভাবে মতামত জানানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা ঠিক উল্টো—যেন আরেক স্তরের ভয়, চাপ আর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ। বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সাংবাদিক ফজলে রাব্বীর অভিজ্ঞতা যেন এই ভয়াবহ বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। জুলাই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা নিয়ে একজন উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি, যেটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তার চাকরি হারাতে হয়। আজ প্রায় তিন মাস ধরে বেকার তিনি। তার বক্তব্য, “একটা ট্যাগ দিয়ে দিয়েছে আমাকে। এখন চাকরির জন্য বড় ভাইদের…

Read More

চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র—এটা শুধু একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতির কৌশলগত পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রমাণ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের (USITC) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে মাত্র ৫৫৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ এপ্রিল মাসেই এই পরিমাণ ছিল ৭৯৬ মিলিয়ন ডলার। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতির প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে কঠোর বাণিজ্যনীতির কারণে এই পতন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০২৫ সালের এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পোশাকের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা নতুন উৎস খোঁজে…

Read More

বাংলাদেশ বর্তমানে এমন এক ভূরাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে অবস্থান করছে, যেখানে একদিকে রয়েছে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ, অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদ, পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক মেরুকরণের নতুন ধারা। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অধিকাংশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে ব্যস্ত। অথচ বাংলাদেশ বিপরীত পথে হাঁটছে। যদিও সামরিক বাজেট টাকার অংকে বেড়েছে, ডলারের মূল্যে তা প্রকৃত অর্থে কমে গেছে। এর অধিকাংশ ব্যয় হচ্ছে সেনানিবাস নির্মাণ, হাসপাতাল, অডিটোরিয়াম ও প্রশিক্ষণ ভবন তৈরির মতো অবকাঠামোতে। ফলে অস্ত্র ও যুদ্ধসামগ্রী কেনায় বরাদ্দ কমে যাচ্ছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানি আগের পাঁচ বছরের তুলনায় প্রায় ৪৮ শতাংশ কমেছে। ২০১৯…

Read More

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাত এখন আর শুধু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এক গভীর ভূরাজনৈতিক কৌশলগত প্রতিযোগিতার রূপ নিয়েছে, যেখানে দুই দেশই নিজেদের ভবিষ্যৎ অবস্থান নির্ধারণের চেষ্টা করছে। জেনেভা ও লন্ডনে সাম্প্রতিক আলোচনায় কিছু স্বস্তির ইঙ্গিত মিললেও, এটি যে একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের সাময়িক বিরতি মাত্র, তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেখানে এসব সাময়িক সমঝোতাকে ‘চুক্তি’ হিসেবে মার্কিন জনগণের সামনে উপস্থাপন করছেন, সেখানে চীন বরং এটিকে নিজেদের আত্মনির্ভরতা ও কৌশলগত সাফল্যের ধাপ হিসেবে দেখছে। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হওয়া এই বাণিজ্যযুদ্ধে চীন যে মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা শুধু…

Read More