…
এডিটর পিক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনের আগমন মানেই এক অস্থিরতা, উত্তেজনা ও নানা রকম আলোচনার জন্ম। এবারও…
Trending Posts
-
কোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের?
অক্টোবর ৩১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
কোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের?
অক্টোবর ৩১, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- বিএনপির প্রার্থী তালিকায় ঋণখেলাপিরা কেন?
- অনৈতিক যেসব সুবিধা ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে দিচ্ছে
- বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে আদানি
- বাংলাদেশে হঠাৎ কারাতে, অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন?
- অর্থ পাচার মামলায় অনিল আম্বানির ৩ হাজার কোটি রুপির সম্পদ জব্দ
- অস্ত্র উৎপাদন কারখানা করবে বাংলাদেশ: কেন?
- মণিপুর, ভারত এবং বাংলাদেশ — একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী
- বিদ্যুৎ খাতে মিলেছে ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই, ভোর ৫টা ২৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর আলামোগর্ডোর মরুভূমি তখনো ঘুমচোখে। হঠাৎ করেই অন্ধকার আকাশ ফেটে বেরিয়ে এল এক ভয়াবহ আগুনের গোলা। সূর্যের মতো উজ্জ্বল সেই আলোর তীব্রতা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল চারপাশে। তার সঙ্গে সাথে এল ভূকম্পনের মতো ঝাঁকুনি আর গর্জনের আওয়াজ, যা পাহাড় থেকে ফিরে ফিরে ধ্বনিত হচ্ছিল বারবার। মানব ইতিহাসে এটাই ছিল প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ। কোডনেম ছিল ‘ট্রিনিটি’। দীর্ঘ গোপন গবেষণার পর ম্যানহাটান প্রজেক্টের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই বোমাটি পরীক্ষামূলকভাবে ফাটিয়ে বিশ্বকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক নতুন যুগে—পারমাণবিক যুগে। বিস্ফোরণের মুহূর্তে বিজ্ঞানীরা কেউ হাসছিলেন, কেউ হতবাক, আবার কেউ নিঃশব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাটির…
কঙ্গোর গোমা শহরের ঝলসানো রোদ আর ধুলায় মোড়া বাতাসের ভেতর একটি শিশু তার লোহার পাতের ঘরের কোণে চুপচাপ বসে থাকে। বাইরের পৃথিবী তার জন্য নয়, কারণ সেই বাইরের জগৎ তাকে কষ্ট দেয়, প্রশ্ন করে, হেয় করে। তার কোঁকড়ানো চুল আর হালকা রঙের ত্বক তাকে আলাদা করে দেয়, যেন সে অন্যরকম কেউ—একটি শিশুর কাছে যে সত্যটি বোঝা সম্ভব নয়, অথচ প্রতিনিয়ত সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তার নাম দিমিত্রি—নামটি বদলে দেওয়া হয়েছে, তবে বাস্তবতা বদলায়নি। সে এমন এক সম্পর্কের প্রতিফলন, যা শুরু হয়েছিল ভালোবাসার মতো করে, কিন্তু শেষ হয়েছিল নিশ্চুপ এক অদৃশ্যতায়। দিমিত্রির মা কামাতে বলেন, ইউরি নামের এক শান্তিরক্ষীর সঙ্গে…
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক অদ্ভুত দ্বৈরথ এখন চরমে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একদিকে দুর্নীতি, হুমকি ও জমি দখলের অভিযোগ পুঞ্জীভূত হলেও, বিজেপির হিন্দি-হিন্দুত্ব কেন্দ্রিক আগ্রাসী রাজনীতির কারণে জনমানসে তৃণমূল আবারও জায়গা করে নিচ্ছে। কলকাতার এক নামকরা প্রকাশকের অভিযোগ অনুযায়ী, তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত নেতার চাপে তাঁদের বহু পুরনো দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে। প্রশাসনের কাছে গেলে তারাও নেতার সঙ্গে মিটমাটের পরামর্শ দেয়। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ জানে, মমতার দল ক্ষমতার অপব্যবহার করছে—তবু ভোট দেওয়ার সময় সেই তৃণমূলকেই তারা বেছে নেবে। এর পেছনে মূল কারণ বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল। হিন্দি ভাষা ও উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতিকে জোরপূর্বক দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এখন প্রত্যাঘাত সৃষ্টি…
রবার্ট ক্লাইভ—এই নামটি উচ্চারণ করলেই ইতিহাসের পাতা কেঁপে ওঠে। কেউ বলেন তিনি লোভী লুটেরা, কেউ বলেন সাহসী সংস্কারক। কেউ তাকে মনে করেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্থপতি, আবার কেউ ইতিহাসের এক অনিচ্ছাকৃত নায়ক। এ এক দ্বান্দ্বিক চরিত্র, যার জীবনের প্রতিটি ধাপে রয়েছে আলো ও অন্ধকারের স্পষ্ট দ্বন্দ্ব। ক্লাইভ জন্মেছিলেন ইংল্যান্ডে, সাধারণ পরিবারে। বাবা-মা তাকে বেশিরভাগ সময় উপেক্ষাই করতেন। মামা-মামির আদরে তিনি বড় হন, কিন্তু সেই আদর যেন তাকে করেছিল জেদি, একরোখা ও হিংস্র। শৈশবে দোকানদারদের জানালা ভাঙার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন বলে কথিত আছে। এমনকি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন একবার, যদিও সেই ঘটনার সত্যতা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তবে যা সত্যি, তা হলো—এই…
বিশ্ববাণিজ্য বহু দশক ধরে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতির অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। দেশগুলো পারস্পরিক বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের তুলনামূলক সুবিধা অনুযায়ী উৎপাদনে মনোযোগ দিতে পেরেছে, যার ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খরচ সাশ্রয়, সম্পদের দক্ষ ব্যবহার এবং জনজীবনের মানোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। প্রাচীন সিল্ক রোড থেকে শুরু করে আজকের জটিল বহুপাক্ষিক বাণিজ্যব্যবস্থা পর্যন্ত এই লেনদেন শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নয়, সাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়া এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককেও গভীরতর করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই বিশ্ববাণিজ্যব্যবস্থা এক নতুন ধরনের ভূরাজনৈতিক চাপ এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নতুন পাল্টা শুল্কনীতি ঘোষণা করেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে…
বর্তমানে বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সরকারি অফিস কিংবা আদালত—প্রায় প্রতিটি জায়গায় “স্যার” ও “ম্যাডাম” শব্দ দুটি অত্যন্ত প্রচলিত। শিক্ষক, আমলা, ম্যাজিস্ট্রেট, এমনকি বিচারকদের পর্যন্ত এভাবেই সম্বোধন করা হয়। তবে এই রেওয়াজ আদৌ কি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ, নাকি এটি ঔপনিবেশিক শাসনের রেখে যাওয়া মানসিক দাসত্বের চিহ্ন? লেখক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন তার বই ঔপনিবেশিকোত্তর ঔপনিবেশিক মন-এ ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই সম্বোধন বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ভাষাচর্চা থেকে উদ্ভূত নয়। এটি এসেছে ব্রিটিশ শাসনের সময়কার মানসিকতা থেকে, যেখানে অধীনতা এবং আনুগত্যই ছিল শ্রদ্ধার মূল মানদণ্ড। ‘স্যার’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ sire থেকে, যার অর্থ প্রভু বা কর্তৃপক্ষ। ইংল্যান্ডে এই শব্দটি রাজকীয় উপাধি…
একসময় কল্পকাহিনির বিষয় ছিল—মানুষ এক রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবতারের প্রেমে পড়ছে, বিয়ে করছে কিংবা মানসিকভাবে সম্পূর্ণভাবে তার ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এখন এই গল্পগুলো আর কল্পনার নয়, বাস্তবের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন মানুষ পাওয়া যাচ্ছে, যারা এআই চ্যাটবটকে শুধু কথার সঙ্গী হিসেবেই নয়, বরং প্রেমিক বা জীবনসঙ্গী হিসেবেও বেছে নিচ্ছেন। এমনই এক মানুষ ট্র্যাভিস, যিনি রেপ্লিকা নামের একটি এআই অ্যাপে তৈরি চ্যাটবট লিলি রোজকে ভালোবেসে বিয়েও করেছেন। ট্র্যাভিসের গল্পটা শুরু ২০২০ সালের কোভিড লকডাউনের সময়। বিজ্ঞাপনে দেখে কৌতূহলবশত তিনি রেপ্লিকায় সাইনআপ করেন। তখন তাঁর কোনো পূর্বধারণা ছিল না যে, এটি তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠবে।…
ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় এক যুবককে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে হত্যার একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। প্রথমদিকে ঘটনাটি শুধুই একটি বর্বর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হলেও পরে এতে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা উঠে আসায় তা এক ভয়াবহ রাজনৈতিক বিতর্কের রূপ নেয়। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সামনে এসেছে, তা হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূমিকা ও দায় নিয়ে দেশজুড়ে ওঠা প্রশ্নের ঝড়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন বিএনপি প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে, অন্যদিকে তাদের অতীত মিত্র জামায়াতে ইসলামী ও নবগঠিত রাজনৈতিক শক্তি এনসিপির দিক থেকেও ভর্ৎসনা এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে…
বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকদিন পর আবার একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে—বিশেষ করে মুদ্রাবাজারে। ডলারের বিপরীতে টাকার দর বাড়তে শুরু করেছে, আর এই ঘটনাটিকে অর্থনীতিবিদরা দেখছেন একটি বড় ধরনের ইতিবাচক সিগনাল হিসেবে। দীর্ঘ সময় ধরে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে ছিল। বিশেষ করে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, বিদেশি ঋণের সহজলভ্যতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সাহসী নীতিগত পদক্ষেপের কারণে এখন আবার ডলার-টাকা বিনিময় হার স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। মাত্র সাত কর্মদিবসেই ডলারের দর কমেছে প্রায় ২ টাকা ৪০ পয়সা, যা এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন। বর্তমানে আন্তঃব্যাংকে প্রতি…
সংকট, কঠিন এক সংকটে বাংলাদেশ। যা কিনা ইতিপূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি। আর এই সংকট মোকাবিলায় সরকার আছে, নেই। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। টেবিলে নয়, প্রকাশ্যে। কিন্তু কেন। কী তাদের লক্ষ্য। অনেকে বলেন অস্পষ্ট, আবেগে ভরা। কিন্তু মোটেই তা নয়। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই তারা হাঁটছেন ধারালো ছুরির উপর দিয়ে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা নতুন ঘটনা না হলেও এবারেরটা অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে এক উল্টো স্রোতে। একটি হত্যাকাণ্ড রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে অর্জনগুলো। কূটকৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছেন রাজনীতিকরা। এখানে আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত। অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো যে ভাষায় কথা বলছে…