‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া পথ খোলা নেই।’ ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা এবং ভুক্তভোগীদের আটকের মতো হয়রানি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ কথা বলেছেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রানা দাশগুপ্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে জেলা, উপজেলা, মহানগর ও বিভাগীয় শহরের মূল সড়কের সংযোগস্থলে গণ অবস্থান শেষে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। ঢাকায় শাহবাগ চত্বরে ও চট্টগ্রামে নিউমার্কেট চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘করোনাকালের ৭ মাসে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১৭ জন খুন হন। হত্যাচেষ্টার শিকার হন ১০ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩০ জন নারী। শ্লীলতাহানির কারণে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন তিনজন। অপহৃত হন ২৩ জন। এ ছাড়া ২৭টি জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ৩৪ জনকে দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এ চিত্র সম্পূর্ণ নয়, আংশিকমাত্র। এসব সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাংলাদেশে এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘ফেসবুক হ্যাক করে, ভুয়া স্ক্রিনশট তৈরি করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা গুজব রটিয়ে কক্সবাজার-রামু-উখিয়া-টেকনাফ থেকে পাবনার সাঁথিয়া, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, ভোলার বোরহানউদ্দিনে ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। এসব দুষ্কর্মের জন্য যারা দায়ী, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হচ্ছে। আমার নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ আমার বাড়িঘরে হামলা হচ্ছে, আগুন দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী নিতাই প্রসাদ ঘোষ, চন্দন বিশ্বাসসহ ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত জানানঃ