আমেরিকান সংস্থা ফাইজার-বায়োএনটেক ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের উপর করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা শুরু করেছে। সংস্থাটি আশা করছে যে টিকা দেওয়ার বয়সসীমা ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ানো যাবে। ফাইজারের মুখপাত্র শ্যারন কাস্টিলো জানিয়েছেন, বুধবার (২৪মার্চ ) প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার জন্যে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে মডার্নাও শিশুদের উপর তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরুর কথা জানিয়েছে। এটি একটি পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল যা ৬ মাস বয়সী শিশুদের দেওয়া হবে। বর্তমানে শুধু ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ এবং ১৭-বছরের শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। মডার্নার ভ্যাকসিন ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও ছোট বাচ্চাদের জন্য কোনও ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়নি।
ফাইজার-বায়োএনটেক পরবর্তী সময়ে তরুণদের মধ্যে অ্যান্টিবডি স্তর পরিমাপ করে এই ট্রায়ালটি প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে। ভ্যাকসিন দ্বারা নাগরিকদের সুরক্ষা, সহনশীলতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করবে বলে গেছে।
কাস্টিলো বলেন, ফাইজার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছে। ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই ট্রায়ালের আশানুরূপ রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
ডিসেম্বরের শেষের দিকে ফাইজার-বায়োএনটেক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারা এও জানায়, এই ভ্যাকসিন ব্রিটেনে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে না এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি৷ তারপর কয়েক দিনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ জুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। ২০২১কে সুরক্ষিত রাখতে ফাইজার ভ্যাকসিন ব্যবহারের জরুরিকালীন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর এই অনুমোদনের ফলে অনেক দেশই উপকৃত হয়েছে।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা শিশুদের উপর কতটা কার্যকরী তার পরীক্ষা শুরু করেছে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, অল্প বয়সিদের জন্য টিকাটি কতটা নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেটি তারা দেখতে চান৷ ছয় থেকে ১৭ বছরের মোট ৩০০ শিশুর দেহে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ এর মধ্যে ২৪০ জনকে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে৷ বাকিদের মেনিনজাইটিসের নিয়ন্ত্রিত একটি টিকা দেয়া হয়েছে৷
এর মাধ্যমে সামনের দিনে শিশুরাও করোনা টিকার সুফল পেতে পারে বলে মনে করছেন অক্সফোর্ডে টিকা ট্রায়ালের প্রধান গবেষক এন্ড্রু পোলার্ড৷ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে শিশুদেরও মৃত্যু কিংবা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা থাকলেও এমন ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ রয়্যাল কলজ অব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ৷
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/২০১৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ