নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আনতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২২ মার্চ) সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিবিসি এ তথ্য জানায়।
রোববার (২১ মার্চ) ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের মুখপাত্র জেসন মিলার জানায়, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করছেন, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মিলার।
জ্যাসন মিলার আরো বলেন, ট্রাম্পের আনা প্ল্যাটফর্মটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হটেস্ট টিকেট’ বা ব্যাপক জনপ্রিয় হবে। এবং সেটি খেলা পুরোপুরি বদলে দেবে’ বলে তিনি মনে করেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প ব্যাপকভাবে টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করতে থাকেন। হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনের মতো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বাইরে টুইটার-ফেইসবুক হয়ে ওঠে ট্রাম্পের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাম্প তার বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কথাবার্তা প্রচার করতে থাকেন। টুইটার ট্রাম্পের বিতর্কিত পোস্টের নিচে নিজেদের বক্তব্য জুড়ে দিতে থাকে। ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ফলাফল নিয়ে উল্টোপাল্টা পোস্ট দিতে থাকেন।
জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়াবহ সহিংসতার পর থেকে ট্রাম্পের টুইটার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠান দুইটি। ছয়ই জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের ওই হামলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রচলিত গণমাধ্যম এড়িয়ে সরাসরি সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টুইটার ব্যবহার করে আসছিলেন ট্রাম্প। টুইটারে প্রায় ৯ কোটি অনুসারী ছিল সাবেক এই প্রেসিডেন্টের।
ক্ষমতা থেকে ২০ জানুয়ারি বিদায় নেওয়ার পর ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে অবস্থান করছেন। অন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো তিনি নীরব না থেকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি রক্ষশীলদের সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন। রিপাবলিকান পার্টির চরম রক্ষণশীল লোকজনকে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছেন। সবকিছুই করছেন, কিন্তু ‘প্রিয়’ টুইটার আর ফেইসবুক থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে।
জেসন মিলার জানিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের অপেক্ষার অবসান হবে খুব দ্রুত। কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী নাকি থাকবে সেখানে। এটা আসলে এখনো জানা যায়নি। মি. মিলার এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি শুধুমাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি করবেন, সেটা সবাইকে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এই নতুন প্রকল্প নিয়ে এর মধ্যেই ফ্লোরিডায় তার রিসোর্টে বেশ কয়েকটি টিমের সঙ্গে বড় ধরনের কয়েকটি বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকটি কোম্পানি সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জেসন মিলার জানিয়েছেন। নতুন এই প্ল্যাটফর্ম হবে বিশাল বড়, তিনি বলছেন। কারণ তার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প অসংখ্য মানুষকে সেখানে টেনে নিয়ে আসতে পারবেন।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১২৫৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ