চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হয়েছে ৩৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হয়েছে ৩৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে শুধু পোশাক রফতানি হয়েছে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নয় মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে মোট পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ৩০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ২৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের। এ হিসেবে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোয় ব্যাহত হয় উৎপাদন। আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে অস্থিরতা ও অসন্তোষ দেখা দেয় শিল্প অধ্যুষিত এসব এলাকায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে শিল্পাঞ্চলগুলোয় বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা ছিল। তার পরও তৈরি পোশাকের ওপর ভর করে সাড়ে ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে দেশের রফতানি খাত।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অর্থমূল্য বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং পাট ও পাটজাত পণ্য।
পোশাক রফতানিকারকরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান আশাব্যঞ্জক হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ নিয়ে তারা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। কারণ বাংলাদেশের পোশাক রফতানির একক বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরের বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া তৈরি পোশাকের ১৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিযোগী দেশ ভারতের ওপর এ শুল্কের হার ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ শতাংশ; যদিও চীনকে দিতে হবে ৩৪ শতাংশ ও ভিয়েতনামকে দিতে হবে ৪৬ শতাংশ।
বাংলাদেশী রফতানিকারকরা জানান, পাল্টা শুল্কের কারণে এরই মধ্যে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে। বাড়তি শুল্কের ক্ষতি পোষাতে মূল্যছাড় দাবি করছে তারা। এদিকে পোশাকের পাশাপাশি এ বাজারে যারা জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও হিমায়িত খাদ্য পণ্য রফতানি করেন, তারাও উদ্বেগে আছেন।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে বাংলাদেশ থেকে গত মার্চে ৪২৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। ২০২৪ সালের একই সময়ে রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৩৮১ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ হিসাবে গত মার্চে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
আপনার মতামত জানানঃ