বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেরামত ও সংস্কারকাজ ছয়মাসে শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হয়নি ১৪ মাসেও। কাজের ধীরগতিতে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও চিকিৎসকেরা। ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে ডাক্তারদের। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিন ২১ জানুয়ারি সকালে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, একটি কক্ষে তিন জন ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। কারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেরামত ও সংস্কারকাজের জন্য প্রতিটি রুম এখন জরাজীর্ণ। বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। চলছে টাইলস বসানো থেকে শুরু করে স্যানিটেশান, বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ও পানি সরবরাহের কাজ। এ দিক থেকে রাতের বেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে দেখা মিলবে ভূতুড়ে অন্ধকার। কারণ কোনো কোনো স্থানে হোল্ডার থাকলেও সেখানে বাল্ব নেই। আবার ওয়ালে বোর্ড লাগানো থাকলেও সেখানে সুইচ নেই। অপর দিকে ছয় বছর আগে নির্মাণ করা ভবনের ওটি (অপারেশন থিয়েটার) রুম থেকে খুলে পড়ছে ওয়ালে লাগানো টাইলস।
বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আক্তারুজ্জামান ইত্তেফাককে বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য ২০১৯ সালে ৬৬ লাক টাকা টেন্ডার হয়। এই কাজটি পায় সিরাজগঞ্জ জেলার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ক্রয় সূত্রে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এ কাজটি শুরু করেন রাজশাহী জেলার বানেশ্বর এলাকার এক জন ঠিকাদার। ধীর গতিতে এ কাজ চলছে। মধ্য সময়ে পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। এ নিয়ে রোগীদের চরম দুর্ভোগ গেছে। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য বলা হয়েছে।
রাজশাহী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ‘মাঝখানে ঠিকাদারের আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে কাজে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারের অর্থ সংকটের কারণে কাজে ধীরগতি হয়। আমরাও ঠিকাদারকে বিল দিতে ব্যর্থ হয়েছি। এখন কাজ দ্রুত করার জন্য বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, সরকারি কাজ সঠিক সময়ে সম্পূর্ণ হওয়ার নজির তেমন একটা চোখে পড়ে না। বিভিন্ন কারণে কাজে বিলম্ব ঘটে। এতে সময় ও ব্যয় বাড়ে। তারা মনে করেন, সংশ্লিষ্টরা ব্যয় বাড়াতেও ধীরগতিতে কাজ চলমান রাখেন যাতে নিজেদের পকেটেও কিছু একটা আসে। সংশ্লিষ্টদের নজরদারিতে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ডাক্তার ও রোগীদের ভোগান্তি দূর করার আহ্বান জানান তারা।
এসডব্লিউ/ডিই/কেএইচ/১৬৪৮
আপনার মতামত জানানঃ