বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত ও প্রাণহানির খবর আসছে। বেলা ১১টার পর রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, উত্তরা, রামপুরা, ধানমন্ডি, জনসন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুরান ঢাকায় পোড়ানো হয় পুলিশের গাড়ি। উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।
মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত দুজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। মাগুরায় সংঘর্ষের পর এক ছাত্রদল নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ, সঙ্গে ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা না পেয়ে আবারো বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।
সেই সঙ্গে ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও সামাজিক যোগাযোগের এ দুটো মাধ্যমে ঢুকতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা নিশাত সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে মোবাইল ডেটা দিয়েই সব কিছু চলছিল। বেলা ১টার পর আর চলছে না, মেসেজ পাঠাতে গেলাম, দেখি যাচ্ছে না। বারবার মোবাইল ডেটা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কেন? অনেক জরুরি কাজও তো আমাদের করতে হয়।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিটিআরসি সচিব নুরে আলম খাজা বলেন, “মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের এমন কোন নির্দেশনা আমরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাইনি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”
আর আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্ধের জন্য আমাদের পর্যন্ত নির্দেশনা আসতে হয় না। আমাদের উপরে আরো দুটি লেয়ার রয়েছে, বন্ধ করার হলে তারাই বন্ধ করে দেন। আমরা তো শুধুমাত্র প্রোভাইডার। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।”
রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের ঢাকা রোডে পুলিশ ও বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের পর এক ছাত্রদল নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে আমাদের প্রতিনিধি অলোক বোস জানান, সকালে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, পুলিশও তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট ও গুলি নিক্ষেপ করে।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, “পুলিশের গুলিতে রাব্বি নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।”
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মী আজিজুর রহমান বলেন, বেলা ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সংঘাতের মধ্যে রাজধানী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না। বাস চালক ও কাউন্টারের কর্মীরা জানিয়েছেন ‘নাশকতার শঙ্কায়’ ঢাকা থেকে বাইরের জেলার উদ্দেশে কোনো বাস টার্মিনাল থেকে তারা বের করছেন না।
মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, “দূরপাল্লার বাস ছাড়ার পরিবেশ নাই। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আছে।”
মহাখালী থেকে সিলেট, ময়মনসিংহগামী এনা ট্রান্সপোর্টের বুকিং সহকারী ইমন ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কোনো বাস ছাড়ছে না। কিছু হলেই তো বাসে আগুন দেয়। তাই আমাদের গাড়ি ছাড়ছে না।”
এই টার্মিনাল থেকেই নওগাঁগামী একতা পরিবহনের চালকের সহকারী রাসেল হোসেন বলেন, “আমাদের বাস চলাচল বন্ধ। আগুন লাগলে তো সব গেল। এখন না চললেও আবার লস। কিছুই করার নাই। আমাদের কষ্ট কে বুঝবে?”
হানিফ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের বুকিং সহকারী জিহাদুল ইসলাম বলেন, “মূলত নাশকতার শঙ্কা থেকেই বাস বন্ধ হয়েছে।”
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনের মহাসড়কে সেনাবাহিনীর এপিসি বা আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় সেনা সদস্যরা ট্যাংকের উপর দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তারা সেখানকার পরিস্থিতি ক্যামেরায় ধারণ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনীর সরকার’ স্লোগান দিতে থাকেন।
মুন্সীগঞ্জ শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। রোববার শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এই সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা করে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের দুইজনই পুরুষ। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ সিদ্ধান্ত দেয়।
আমাদের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক দেবাশীষ দেব জানান, আদালত আদেশে বলেছে, সব নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণের অধিকার আছে। পুলিশকেও আইনের নির্দেশনা মানতে হবে।
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানো এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কারীর ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদন করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি।
অসহযোগ আন্দোলনে সহিংসতার মধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আহত ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত দুইজন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ, শনির আখড়া, নয়াবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। আহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাসপাতালের রেকর্ড দেখে আমাদের মেডিকেল প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম জানান, শনিরআখড়া থেকে জামাল উদ্দিন (৫০) ও সাব্বিরকে (১৮) নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া, মুন্সীগঞ্জ থেকে দীপ (২০) ও মঞ্জিল (৫০), ঢাকার শাহবাগ থেকে মাহিন (২৫), হাসিবুর রহমান (৩০) সুবাস (২৪), তানভীর রহমান (২০), সেলিম (৪০), রিমন (২৩), হৃদয় (২০), গুলিস্থান থেকে শাহজালালসহ (৩০) ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১ টার দিকে উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরেরড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও মিছিল নিয়ে এসে সমবেত হন।
ঘটনাস্থল থেকে প্রতিবেদক প্রশান্ত মিত্র জানান, আন্দোলনকারীরা একসঙ্গে বিএনএস সেন্টারের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নিলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকেও মিছিলের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যায়।
‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রায় সবার হাতেই লাঠি, স্টিলের পাইপ, স্টাম্প দেখা যায়। সড়কে টায়ার ও কাঠ জ্বালানো হলে সেই ধোঁয়া দেখা যায় বহু দূর থেকে।
শিক্ষার্থীদের জমায়েত ঘিরে আশপাশে পুলিশের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। একরকম বিনা বাধায় আন্দোলনকারীরা উত্তরায় তাদের কর্মসূচি শুরু করেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে একদল শ্রমিক লাঠিসোঁটা হাতে শাহবাগে জড়ো হন। ঘটনাস্থল থেকে প্রতিবেদক রাসেল সরকার ও শাফাত রহমান জানান, এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনের দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএসএমএমইউর ভেতরে চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা বিএসএমএমইউর ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
তখন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাস। পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন ভবনে ঢিল ছুঁড়ে এবং লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
জনসন রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন
রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল ওই এলাকা দিয়ে যায়। এসময় তারা শেখ হাসিনার পতন চাই, ছাত্র হত্যার বিচার চাই বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
আমাদের আদালত প্রতিবেদক প্রকাশ বিশ্বাস জানান, এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। একপর্যায়ে জনসন রোডে পুলিশের পিকআপ ভাঙচুর করে তাকে আগুন দেওয়া হয়।
রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড় দখল করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে শাহবাগের চারপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় তারা ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, ‘অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান,’ ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে,’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাদের অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়করা। এছাড়া সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, রামপুরা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে।
যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, শনির আখাড়া, রায়েরবাজার মহাসড়কে মাঝে মধ্যে শুধু সরকারি অফিসগামী যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে সকাল বেলায়। গত শনিবার রাত থেকে বন্ধ হওয়া গুলিস্তান ফ্লাইওভার বেলা সাড়ে দশটা পর্যন্ত খোলেনি।
দুই পাশের সড়কে যানবাহন, গণ পরিবহন চলাচল ছিল সামান্য। কোনো বাস চলেনি সকাল থেকে। গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, চলাচল না করায় সড়ক ফাঁকাই দেখা গেছে।
গণপরিবহন না পেয়ে অফিসগামীরা রিকশায় চলাচল করেছেন যৌথভাবে ভাড়া দিয়ে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার সকালে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন চলছে একেবারেই কম। এদিন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হলেও রাজধানীর সড়কে কোনো যানজট দেখা যায়নি।
সায়েন্স ল্যাব, এলিফেন্ট রোড, ধানমন্ডি মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, বিজয়স্মরণি, মহাখালী, বনানী, খিলক্ষেত, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুরের সড়কজুড়ে গণ পরিবহন নেই বললেই চলে। এসব জায়গার সড়কে অল্প কিছু প্রাইভেট কার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সেই সংখ্যা হাতে গোনা। এতে পথে বের হওয়া অফিসগামীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যাও সেভাবে দেখা যায়নি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এসব স্থানে।
প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে সমন্বয় ও সম্পাদনা করছেন জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক রোকনুজ্জামান
আপনার মতামত জানানঃ