মানুষ যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী তা নিয়ে তো আর কোন তর্ক নেই। কিন্তু বুদ্ধিমান হতে পারে অন্য প্রানীরাও। মানুষের খুব কাছাকাছি গোত্র থেকে শুরু করে ঘরের পোষা প্রাণীটি পর্যন্ত আপনাকে চমকে দিতে পারে তার বুদ্ধিদীপ্ত কাজের দ্বারা।
বুদ্ধির দিক থেকে ওরাংওটান মানুষের পর অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে প্রথম দিকেই থাকবে। বাদাম ছিলে খাওয়া ও পোকামাকড় খুঁজে বের করার মতো কাজে এরা বেশ দক্ষ। তবে, নতুন এক গবেষণা বলছে, ওরাংওটান আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, নিজেই নিজের ভেষজ চিকিৎসা করতে দেখা গেছে সুমাত্রান ওরাংওটানকে। এমনটাই বলছেন জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের একদল গবেষক।
ওরাংওটাং ও মানুষের কার্যকলাপের হুবহু নকল করতে পারে। মানুষের সাথে মানিয়েও নিতে পারে সহজে। প্রশিক্ষণ দিলে তারা শিখতে পারে নানান রকম খেলা। গবেষণা বলে ওরাংওটাং এর বুদ্ধি ৩ বছরের মানব শিশুর বুদ্ধির সমান। কাজে দক্ষতা তৈরির অনন্য ক্ষমতা আছে তাদের। তারা হাতুড়ি আর পেরেক একত্র করতে পারে এবং তা দিয়ে কাজও করতে পারে। নতুন পরিবেশের সাথে সহজে মানিয়েও নিতে পারে তারা।
গবেষকেরা বলছেন, মুখে ক্ষত হওয়ার পর এক সুমাত্রান ওরাংওটানকে একটি বিশেষ গাছের পাতা চিবিয়ে ও রস নিয়ে সেখানে ব্যবহার করতে দেখা যায়। এই পাতা ও রস প্রদাহবিরোধী এবং ব্যথা উপশমকারী হিসেবে পরিচিত।
তবে, এভাবে ভেষজ উপাদান দিয়ে চিকিৎসা করা প্রাণী এটিই প্রথম নয়। এর আগেও এক ধরনের পাতায় মাংসপেশী ঘষতে দেখা যায় এক ধরনের ওরাংওটানকে। সেই পাতা মাংসপেশীর ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর শিম্পাঞ্জিকে দেখা যায় একটি গাছের পাতা চিবাতে।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের গবেষক ক্যারোলিন সুপলি বলেন, এর আগে শিম্পাঞ্জিকে এমন করতে দেখা গেছে। এবার দেখা গেল সুমাত্রান ওরাংওটানকে। এতে মনে হচ্ছে মানুষের পূর্বপুরুষেরা এসব কৌশল ব্যবহার করতো।
আপনার মতামত জানানঃ