পৃথিবীতে বহু রকমের প্রাণী রয়েছে। সবার জীবনকাল আলাদা। তবে সেই জীবনকাল শতাধিক হয় খুব কম সংখ্যক প্রাণীর। এমনকি মানুষও শতাধিক বছর কমই বাঁচে। বাঁচলেও অতিবৃদ্ধ অবস্থায় পৌঁছে যায় তারা। কর্মক্ষমতা বলে কিছুই প্রায় থাকে না।
সেখানে পৃথিবীতে এমনও প্রাণী রয়েছে যাদের আবার ১৫০ বছর বয়স না হলে যৌবনই আসে না। ফলে কমপক্ষে ১৫০ বছর বয়স না হলে সন্তানের জন্মক্ষমতাও তৈরি হয় না।
মনে হতে পারে, তবে কি এই প্রাণী তিমি মাছ, না কি কচ্ছপ, না কি হাতি? তিমি মাছ বা কচ্ছপ বা হাতি কিন্তু নয়। তাহলে কোন প্রাণী?
ভারতের ওয়েবপোর্টাল নীলকণ্ঠের প্রতিবেদন বলছে, একধরনের হাঙর রয়েছে, যাদের বলা হয় গ্রিনল্যান্ড শার্ক। এই গ্রিনল্যান্ড শার্ক হলো সেই প্রাণী, যারা বহু বছর বাঁচে। ৩০০ থেকে ৫০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এই হাঙরেরা।
বিজ্ঞানীরা এই হাঙরের চোখে থাকা প্রোটিন পরীক্ষা করে এদের বয়স সম্বন্ধে জানতে পারেন। এই গ্রিনল্যান্ড শার্ক এমন প্রাণী, যারা খুব ধীরে বড় হয়। তাদের দেহ একবছরে অতি সামান্য বৃদ্ধি পায়।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, এদের দেহে যৌবন আসতে, অর্থাৎ এরা যুবা বয়সে পৌঁছাতেই ১৫০ বছর লেগে যায়। তারপরই তারা সন্তানধারণে সক্ষম হয়। ঠাণ্ডা পানিতে থাকতে অভ্যস্ত এই হাঙর মূলত পাওয়া যায় উত্তর আটলান্টিক ও সুমেরু মহাসাগরে। কী অদ্ভুত, তাই না?
আপনার মতামত জানানঃ