ভারতে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে। শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উচ্চপর্যায়ের দল করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে টিকাদান কর্মসূচির বিস্তারিত কার্যক্রম চূড়ান্ত করে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে। শুরুতে প্রায় তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধারা টিকা পাবেন বলে খবর দিয়েছে এনডিটিভি। তারপর পঞ্চশোর্ধ্ব মানুষ এবং কো-মর্বিডিটি থাকা ৫০ বছরের থেকে কম বয়স্ক মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে।
২৭ ডিসেম্বর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ব্যবহারের জন্য দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ দুটি টিকা হচ্ছে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া উৎপাদিত টিকা ‘কোভিশিল্ড’। আগামী শনিবার থেকে করোনা টিকা প্রদান শুরু হলেও ইতিমধ্যে দু’দফায় দেশব্যাপী মহড়া চালানো হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার ৩৩টি রাজ্যের ৪ হাজার ৮৯৫ জায়গায় এ মহড়া দেওয়া হয়।
১৬তম প্রবাসী ভারত দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে দাবি করেন, “ভারতে তৈরি দুটি করোনার টিকা গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারে। এবং গোটা বিশ্ব সেটার জন্য শুধু অপেক্ষাই করছে না, তারা দেখবেন কীভাবে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণ টিকাকরণ কর্মসূচি পালন করবে।”
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বে সর্বাধিক সংক্রমণ হয়েছে ভারতে। শনিবার দেশটিতে মোট ১৮২২২ জন নতুন করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো এক কোটি ৪৩ লাখে।
আপনার মতামত জানানঃ