পৃথিবীর সব মহাদেশেই ডাইনোসরদের ছিল অবাধ বিচরণ। রাজত্ব বললেও দোষ নেই। ডাইনোসরদের উৎপত্তি ঠিক কত আগে, সেটা নিয়ে চলছে বহু গবেষণা। ধারণা করা হয়, ট্রায়াসিক যুগের শেষ দিকে এসে, অর্থাৎ ২৩১ থেকে ২৪৩ মিলিয়ন বছর আগের কোনো একসময়ে এর গ্রুপগুলোর জন্ম। জুরাসিক যুগে এর আধিপত্য ছিল পৃথিবীজুড়ে।
আর প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রিটেশাস-প্যালিওজিনের বিলুপ্তির ঘটনায় পৃথিবীতে এদের বিদায়ঘণ্টা বাজে। সবচেয়ে বড় যে প্রাণী, গণ কিংবা প্রজাতিভেদে ৭০-৮০ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারত যেগুলো, যাদের ওজন হতে পারত ১০০ টন পর্যন্ত, তাদের একদম বিলুপ্তির কারণ নিয়ে এখনকার পৃথিবীতে রাজত্ব করা মানুষের আগ্রহের কমতি নেই।
চলচ্চিত্র বা ডকুমেন্টরিতে কত শত ডাইনোসর আমরা দেখি। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর বুকে। শিকার করছে অথবা পরিণত হচ্ছে শিকারে। ডাইনোসরদের সম্পর্কে আমরা এখন যা জানি তার সবই তাদের জীবাশ্মের সাক্ষ্য।
বিজ্ঞানীরা মাটি খুড়ে, পাথর কেটে ডাইনোসরের আকার, আকৃতি, আচরণ, বয়স সহ নানা বিষয় বের করেছেন। বিস্তর গবেষণা করে জীবন্ত করেছেন প্রাচীন এসব প্রাণীদের গল্প।
এসব কাজের শতভাগ বিজ্ঞান মেনে করা হয়, ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। সমস্যা হলো, চলচ্চিত্র বা ডকুমেন্টরিতে ডাইনোসরের চলাচল, হাকডাক বা শিকারের কাহিনি দেখা গেলেও, তারা কীভাবে ঘুমাত তা সচরাচর দেখা যায় না। প্রাণী যেহেতু, ঘুমাতে তো হতোই।
প্রশ্ন হলো, ডাইনোসর ঘুমানোর ভঙ্গিটা কেমন ছিল? শুয়ে ঘুমাত নাকি ঘোড়ার মতো দাঁড়িয়ে একটু ঝিমিয়ে নিত?
এসব প্রশ্নের স্বদুত্তোর এতদিন বাদে এসে সঠিকভাবে দেওয়া কঠিন। তবে ট্রুডনটিড গ্রুপের মেই লঙ প্রজাতির একটি জীবাশ্ম থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। চাইনিজ শব্দ ‘মেই লঙ’ এর অর্থ ঘুমন্ত ড্রাগন। ২০০৪ সালে চীনের একদল জীবাশ্মবিদ দেশটির লিয়াওনিং প্রদেশে জীবাশ্মটি খুঁজে পান। আকার-আকৃতিতে বর্তমান যুগের হাঁসের সঙ্গে এর মিল লক্ষ্য করা যায়।
আপনার মতামত জানানঃ