এলিয়েন নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তাদের অস্তিত্ব থাকা না থাকার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত বেশ জোড়াল। এর মধ্যে এবার এলিয়েনের মমি প্রদর্শন করলো মেক্সিকো। যারা বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীতে এলিয়েনরা এসেছিল তাদের জন্য বিষয়টি বেশ মজার এবং স্বস্তির। মানুষের মতো কিন্তু ভিন্ন অবয়বের দুইটি মমি সবার সামনে উন্মোচন করেছে মেক্সিকো।
মেক্সিকো কংগ্রেসের একটি পাবলিক শুনানির সময় ওই মমি দুইটিকে সবার সামনে উন্মোচন করা হয়। ওই দৃশ্যটি অনলাইনে সরাসরি দেখানোও হয়। মেক্সিকান গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
‘ইউএফও (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্টস) এবং অজানা অস্বাভাবিক ঘটনা’ দেখানোর পর দুটি ‘এলিয়েনের মমি’ উন্মোচন করা হয়। দুইটি বক্সের মধ্যে রেখে সবার জন্য উন্মোচন করা হয়।
সেখানে সবার সামনে যে দু’টি মমি তুলে ধরা হয়েছে তা অনেকটা আমাদের মনে এলিয়েনের যে কাল্পনিক চেহারার রয়েছে তার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে হুবহু। তবে আকারে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার। বিষয়টি সামনে আসতেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এলিয়েন নিয়ে গবেষণা চালানো মেক্সিকোর প্রখ্যাত সাংবাদিক জেমি মসান ওই অদ্ভূতাকার দু’টি মমি সকলের সামনে এনেছেন। ‘নন হিউম্যান ফসিলস’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলিকে। স্বচ্ছ বাক্সে ভরে মেক্সিকোতে প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে ওই দুই মমি। সেগুলির বয়স প্রায় ১০০০ বছর বলে জানা গিয়েছে।
পেরু থেকে উদ্ধার করে আনা হয় মমি দুটিকে। ওই প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত ছিলেন দেশটির বিজ্ঞানী, আমেরিকান্স ফর সেফ এয়ারস্পেসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রায়ান গ্রেভস, আমেরিকার নৌবাহিনীর প্রাক্তন এক পাইলটও।
বক্স খোলার সময় উপস্থিতরা এবং মেক্সিকানরা হতবাক হয়ে তাকিয়েছিল। উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা একমত যে মমি দুইটি আমাদের বিবর্তনের অংশ নয়।
এগুলি এমন প্রাণী নয় যেগুলি ইউএফও ধ্বংসাবশেষের পরে পাওয়া গিয়েছিল। এগুলি একটি খনিতে পাওয়া গিয়েছিল এবং পরে জীবাশ্মে পরিণত হয়েছিল।
ওই এলিয়েন দুইটির দেহে তিনটি করে আঙ্গুল এবং হাত ও পা রয়েছে বলে জানায় ইউএফও বিশেষজ্ঞরা।
মেক্সিকোর সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকো সরকার এবং আমেরিকার কর্মকর্তাদের কাছে ওই দু’টি মমি তুলে ধরেন জেমি। দু’টি মমিকেই এলিয়েন যান থেকে প্রাপ্ত নমুনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোতে ওই দু’টি মমি নিয়ে গবেষণাও করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোর বিজ্ঞানীরা রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে ওই দু’টি মমি থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছেন। জেমি জানিয়েছেন, পৃথিবীর বিবর্তনের যে ইতিহাস, তার সঙ্গে ওই দুই মমি মোটেই খাপ খায় না। ভেঙে পড়া এলিয়েন যান থেকেও সরাসরি সেগুলি সংগ্রহ করা হয়নি। বরং শৈবালের জীবাশ্মের মধ্যে থেকে সেগুলির খোঁজ মেলে বলে জানা গিয়েছে।
এলিয়েন নিয়ে আমেরিকার কংগ্রেসে শুনানিও হয় গত জুলাই মাসে। আকাশে এলিয়ে যানের আবির্ভাব এবং তাতে চড়া এলিয়েনদের সঙ্গে সংযোগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আমেরিকার সরকারকে। এলিয়েনদের সংস্পর্শে আসার পরও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে উঠে অভিযোগ।
আপনার মতামত জানানঃ