অ্যানোমালোকেরিস
এই সামুদ্রিক প্রাণীটি ছিলো ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা। এদের বড় একজোড়া চোখ ছিলো এবং মাথার সম্মুখে একজোড়া সাঁড়াশীর ন্যায় বাহু ছিলো। এর নামের আক্ষরিক অর্থ “অড শ্রিম্প”। যা এর বড় শরীর দেখলে অস্বাভাবিকতা টের পাওয়া যায়।
স্টেগোসরাস
স্টেগোসরাস হল এক গোষ্ঠীর বর্মধারী ডাইনোসর। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমভাগ ও ইউরোপের পর্তুগাল থেকে এদের অস্থির যে জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছে সেগুলি আজ থেকে মোটামুটি ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ১৫ কোটি বছর পুরনো। অর্থাৎ জুরাসিক যুগের শেষের দিকে এদের অস্তিত্ব ছিল। এরা অর্নিথিস্কিয়া বর্গের এক অত্যন্ত সুপরিচিত ডাইনোসর গোষ্ঠী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মরিসন ফর্মেশনের নিচের দিকের স্তর থেকে এর কয়েকটি প্রজাতির জীবাশ্ম মিললেও, এখনও পর্যন্ত এই গণের তিনটি প্রজাতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল স্টেগোসরাস স্টেনপ্স্, স্টেগোসরাস আনগুলেটাস ও স্টেগোসরাস সালকেটাস। এখনও পর্যন্ত এইধরনের ৮০টি প্রাণীর জীবাশ্ম বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে পাওয়া গেছে। ২০০৬ সালে পর্তুগালে এই গণের একটি প্রাণীর জীবাশ্ম আবিস্কৃত হওয়ায় এখন বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত যে ইউরোপ ভূখণ্ডেও এই গণের ডাইনোসরদের অস্তিত্ব ছিল।
ডাঙ্কলিওস্টিয়াস
ডাঙ্কলিওস্টিয়াস প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী যা দেখলে ভয় পেতে পারেন। এটি লম্বায় ৩৩ ফুট এবং এর ওজন ছিলো ৪ টন।
আর্কিওপ্টেরিক্স
১৮৬১ সালে জার্মানির এক পাথরের খনিতে এই পাখির ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া যায়। সেখানে মূলত একটি পাখির দুটি বৃহৎ ডানার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ধারণা করা হয়, এটিই পৃথিবীর প্রাচীনতম পাখি। তবে এ নিয়ে বিতর্কও আছে। তবুও প্রত্নতাত্ত্বিক ও পাখি বিজ্ঞানীরা অনেকটা একমত যে, আবিষ্কৃত আর্কিওপটেরিক্সই পৃথিবীর প্রাচীনতম পাখি।
বাভারিয়ার লাইমস্টোন খনিটি ছিলো রাভেগনালথেইম এলাকায়। এরিক হারম্যান ভন মেয়ের নামের এক জার্মান জীববিজ্ঞানী প্রথমে এর সন্ধান পান। তিনি এটি উদ্ধার করে একজন স্থানীয় পদার্থবিদ কার্ল হবারলেইনের কাছে গবেষণার জন্য দিয়ে দেন। তিনি এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে লন্ডনের ইতিহাস যাদুঘরে খবর দেন। লন্ডনের ‘ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়াম’ কর্তৃপক্ষ ৭০০ ইউরোর বিনিময়ে তার থেকে ঐতিহাসিক এই জীবাশ্মটি কিনে নেন।
আবিষ্কারের পর পাখির এই জীবাশ্ম জীববিজ্ঞানীদের মাঝে প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর ফলে পাখিদের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে জানার এক নতুন দিগন্ত খুলে যায়। সেই জীবাশ্মের পাখির মাথা দেখতে গিরগিটির মতো। চোয়ালে রয়েছে সারি সারি দাঁত। মেরুদন্ড অনেকটা গিরগিটির লেজের মতো লম্বা। লেজটা কতগুলো জোড়া দেয়া হাড়ের মতো দেখতে, যার দু’পাশ জুড়ে থাকতো ঘন পালক। এ কারণেই একদল পাখি বিজ্ঞানীর অনুমান, গিরগিটি থেকে বিবর্তিত হয়ে পাখির উৎপত্তি হয়েছে। অনেকে আবার এর সাথে মিল পেয়েছেন ডাইনোসরের। এই আদি পাখির পালক ও হাড়গুলো লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। বিজ্ঞানীরা এই পাখির নামই দিয়েছেন আর্কিওপটেরিক্স। তাদের ধারণা, এর বয়স ১৩ থেকে ১৪ কোটি বছর। তাদের দাবি, এটিই পৃথিবীর প্রাচীনতম পাখি।
ব্রাকিওসরাস
এটি সবচেয়ে বড় ডাইনোসরাস এবং এরা ৪ তলা বিন্ডিং এর সমান লম্বা ছিলো। এদের লম্বা গলা দিয়ে গাছের পাতা খেতে পারতো।
প্লাটিওসরাস
উভচর প্রাণী থেকেই অবতীর্ণ হয়েছিলো প্লাটিওসরাস যা দুই ধরণের ছিলো যেমন- মাংসাশী বা থেরোপোডস এবং উদ্ভিদভোজী বা সরোপোডস। এর প্রকান্ড দেহের স্বতন্ত্র সুবিধা ছিলো এরা ৪ পায়ে ও পেছনের পা দিয়ে চলাচল করতো। যথেষ্ট পেশিবহুল শরীরের জন্য। এদের সামনের পায়ের আঙ্গুলে নখ ছিলো যা দিয়ে এরা গাছের ডাল ভাংতো। এরা খাদ্য চিবাতে পারতো না তাই গিলে খেত।
আপনার মতামত জানানঃ