State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি
    • ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী
    • রুশ কারাগারের যে বর্বরতা হার মানায় দোজখকেও
    • মহাকাশে সবচেয়ে বড় নক্ষত্র
    • আট দশক ধরে স্প্যানিশ ক্যাথলিক চার্চে প্রায় হাজার শিশুকে নির্যাতন
    • সমুদ্রের তলায় ১৮ হাজার বছর আগের আগ্নেয়গিরি: জানুন বিস্তারিত
    • জ্বালানির কথা না ভেবেই বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হয়েছে
    • ৯ হাজার বছর আগেও চাবানো হতো চুয়িং গাম
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      মার্চ ১২, ২০২৩

      সরকারি অর্থায়নের হাসপাতালে বেসরকারি ফি, বিপাকে রোগীরা

      Recent
      জুন ১, ২০২৩

      উধাও হাসপাতাল: কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত পাউবি

      মে ২৮, ২০২৩

      নিখোঁজ বাবাকে ১০ বছর ধরে খুঁজছে শিশু হৃদি

      মে ১৪, ২০২৩

      বাংলাদেশের এতিমখানায় করা অনুদান তদন্ত করবে চ্যারিটি কমিশন

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩

      বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন মনিটর করবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯ রাষ্ট্র

      Recent
      মে ২, ২০২৩

      প্রধানমন্ত্রীর কারণে বাংলাদেশে আতঙ্কে সাংবাদিকরা: দ্য গার্ডিয়ান

      এপ্রিল ২৯, ২০২৩

      ভারতে রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়ায় ২০০০ মুসল্লির বিরুদ্ধে মামলা

      এপ্রিল ১২, ২০২৩

      কেন বান্দরবানে নিজের গ্রাম থেকে পালাচ্ছে বম জনগোষ্ঠির মানুষ?

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      মার্চ ২৬, ২০২৩

      রাহুল গান্ধীর জেল যাওয়া কি মোদিকে সিংহাসন থেকে নামাতে পারবে?

      Recent
      জুন ৪, ২০২৩

      আট দশক ধরে স্প্যানিশ ক্যাথলিক চার্চে প্রায় হাজার শিশুকে নির্যাতন

      জুন ৩, ২০২৩

      ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ২০৭, আহত ৯০০

      জুন ২, ২০২৩

      সব ডলার শেষ, গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে আমেরিকা! কী প্রভাব পড়তে পারে ভারতে?

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      মার্চ ২৫, ২০২৩

      রমজানেও ব্যবসায়ীদের লোভ-লালসায় দ্রব্যমূল্যের চাপে নিম্নমধ্যবিত্তরা

      Recent
      জুন ৫, ২০২৩

      গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি

      জুন ৩, ২০২৩

      করযোগ্য আয় না থাকলেও দিতে হবে কর, আরো যত অসঙ্গতি

      জুন ২, ২০২৩

      অর্থনীতির পুনরুদ্ধার নাকি বেহাল পরিস্থিতির সূচনা?

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      আবারো অবনমন: সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২

      Recent
      মে ৩০, ২০২৩

      চিন্তা করার ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ: গবেষণা

      মে ২০, ২০২৩

      মহামারিতে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে দেড় কোটি মানুষ: বিআইডিএস

      মে ১৬, ২০২৩

      গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

    • আর্কাইভ
    State Watch
    ইতিহাস

    আমেরিকার হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার সন্ধানে

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টনভেম্বর ১৫, ২০২২No Comments6 Mins Read

    আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে এক সভ্যতা গড়ে ওঠে যা মিসিসিপিয়ান সভ্যতা নামে পরিচিত। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদী উপত্যকায় এটি গড়ে উঠেছিল বলে একে ‘মিসিসিপিয়ান সভ্যতা’ বলা হয়। আর প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই সভ্যতার সদস্যদের ‘মিসিসিপিয়ান’ নামে ডাকে, কারণ তাদের জীবনযাত্রার উদ্ভব ও বিকাশ মিসিসিপি নদী উপত্যকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল বলে মনে করা হয়।

    প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা অনুযায়ী, এই সভ্যতার সময় প্রায় ৮০০ থেকে ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ধারণা করা হয়, প্রায় ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের সময় একদল আগন্তুক মধ্য জর্জিয়ায় এসে পৌঁছায়। তারা সেখানে বিদ্যমান বন্য পরিবেশকে বসবাসের উপযোগী করে তোলে ও বিভিন্ন জনবসতি গড়ে তোলে। শুরুর দিকে এই জনবসতি মিসিসিপি নদী উপত্যকার আশেপাশে বাস করলেও ধীরে ধীরে অন্যান্য রাজ্যেও তারা ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মিসৌরি, ওহাইও এবং ওকলাহোমাতেও বড় বড় মিসিসিপিয়ান নগরকেন্দ্র স্থাপিত হয়।

    মিসিসিপিয়ানরা জর্জিয়ার বর্তমান ম্যাকনে ওকমুলজি নদীর কাছে ম্যাকন মালভূমিতে এক বৃহৎ আনুষ্ঠানিক চত্ত্বর এবং শহর নির্মাণ করেন। তাদের কোনো লিখিত ইতিহাস ছিল না, তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই শহরের বিভিন্ন জায়গায় খনন করে এত নিদর্শন সংগ্রহ করেছেন যে তা দ্বারা এই সমাজব্যবস্থার জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বেশ স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।

    আনুষ্ঠানিক ভবন ও চত্ত্বরগুলো আজও দৃশ্যমান, যা ম্যাকন মালভূমিতে গড়ে ওঠা সভ্যতার একটি অংশ। শুরুর দিকে মিসিসিপিয়ানরা ছয় মাইল দূরে ওকমুলজি নদীর কাছে একটি বড় গ্রাম ও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট বাসস্থান তৈরি করে, যেখানে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল।

    অন্যান্য সভ্যতার শহর বা নগরগুলোর মতোই মিসিসিপিয়ান শহরগুলো নদীর কাছাকাছিই গড়ে উঠতো। প্রায় দশ একর জমি নিয়ে একেকটি শহর গঠিত হতো। বাড়িগুলো ছিল আয়তকার। প্রায় ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রায় ১০ ফুট প্রস্থের বাড়িগুলোর দেয়াল ছিল কাঠের তৈরি। মাটিতে পরিখা কেটে খাড়া করে খুঁটি গেথে দেয়া হতো। এরপর খুঁটিগুলো হাতে বোনা বেতের মাদুর দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। তারপর বেতের মাদুরটি কাদার তৈরি প্লাস্টার দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। ঘরের ছাদটি তৈরি করা হতো ইংরেজি বর্ণ ‘A’ আকৃতির মতো করে। কাঠের তৈরি সেই কাঠামোটি এরপর খড় বা ঘাসের ছাউনি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেয়া হতো।

    মিসিসিপিয়ান সভ্যতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রমাণ হিসেবে কাজ করে মাটির ঢিবি। এই সভ্যতার বিভিন্ন শহরে এগুলো সর্বাধিক দৃশ্যমান, এবং সেগুলোর প্লাটফর্ম অভিনয়সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতো। ঢিবিগুলোর শীর্ষে সহজে ওঠার জন্য বেশ কিছু ধাপ থাকত। এসব পিরামিডের কাঠামোর শীর্ষ সমতল করে তৈরি করা হতো। ঢিবিগুলোর সমতল শীর্ষ কাঠের বিল্ডিংগুলো বসতবাড়ি, মন্দির, গুদামঘর ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহার হতো। ওকমুলজি কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ ঢিবিই ধাপে ধাপে তৈরি করা হয়েছিল, যা কয়েক বছরের নির্মাণকাজের পর ঢিবির আকার বাড়িয়ে তুলত।

    তবে সব ঢিবিই প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হতো না। শেষকৃত্যানুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার হতো এমন ১০০টিরও বেশি সমাধি পাওয়া গেছে বিভিন্ন শহরে। বেশ কিছু কাঠের সমাধি, তামা আর খোল দিয়ে অলংকৃত সমাধি মৃতব্যক্তির উচ্চতর পদমর্যাদার প্রমাণ দেয়। তবে সেখানে বেশিরভাগ কবর ছিল সাধারণ, যেগুলোতে কোনো শিল্পকর্ম বা কারুকার্য নেই।

    ভিক্ষু বা সন্ন্যাসী ঢিবি হিসেবে ব্যবহৃত হতো এমন একটি বড় আকারের ঢিবিও এখানে পাওয়া গেছে। এই ঢিবির ভিত্তির দৈর্ঘ্য ১০০০ ফুট, প্রস্থ ৮০০ ফুট এবং উচ্চতা ১০০ ফুটেরও বেশি। বাস্তবে ভিক্ষু ঢিবিটির ভিত্তি মিশরের বৃহত্তম পিরামিডের ভিত্তির চেয়েও বড়! তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো- এই বিশাল ঢিবিগুলো বালতি ও হাঁড়ি ব্যবহার করে তৈরি করা হতো।

    এতসব ঢিবির নির্মাণকার্য থেকে অনুমেয় যে মিসিসিপিয়ানদের একটি জটিল সামাজিক কাঠামো ছিল। এসব ঢিবির নির্মাণ প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা ও সেসব সম্পূর্ণ করার জন্য একজন শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন ছিল। মন্দিরের ঢিবির বৈশিষ্ট্য সমাজের একটি শক্তিশালী ধর্মীয় ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়। কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক অনুমান করেছেন যে মিসিসিপিয়ান সোসাইটি ‘চিফডোমস’ হিসেবে সংগঠিত হয়েছিল, যা বেশ কয়েকটি শহর নিয়ে গঠিত হতো। প্রতিটি শহরে একজন নেতা বা সর্দার ছিল, যিনি একজন শক্তিশালী পুরোহিত-প্রধানের অধীনস্থ হিসেবে কাজ করত।

    মিসিসিপিয়ান সংস্কৃতির বৃহত্তম শহরের নাম ছিল কাহোকিয়া, যা বর্তমান দক্ষিণ ইলিনয় বা সেন্ট লুই কাহোকিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত। এখানে দশ হাজার থেকে বিশ হাজারের কাছাকাছি মানুষের বসবাস ছিল যা সেই সময়ের অনেক ইউরোপীয় শহরের চেয়েও বড় ছিল। এছাড়া ন্যাশভিল নামের আরেকটি অঞ্চলও এখানকার প্রধান কেন্দ্র ছিল যেখানে অসংখ্য জনসংখ্যা ছিল। এ শহরে হাজার হাজার মিসিসিপিয়ান যুগের কবর পাওয়া গেছে এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে আরও হাজার হাজার কবরের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। একসময় ন্যাশভিলে, বিশেষত কম্বারল্যান্ড নদীর তীরে, অনেকগুলো মন্দির এবং কবরের ঢিবি ছিল।

    মিসিসিপিয়ানরা তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে র‍্যাকুন, টার্কি, খরগোশ, বিভার, কাঠবিড়ালি, কচ্ছপ এবং হরিণের মতো ছোট প্রাণী শিকার করতো। তারা এসব প্রাণীর কোনো অংশই নষ্ট করত না- পোশাক তৈরি করতে চামড়া আর হাড়গুলো গহনা এবং বড়শির জন্য ব্যবহার হতো। শিকারিরা তাদের শিকার খুঁজতে বেশ কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করতো, তবে সফল শিকারের জন্য তীর-ধনুকের ব্যবহার প্রয়োজন ছিল।

    যদিও খাবারের জন্য শিকার সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে মিসিসিপিয়ানরা মূলত কৃষক ছিল। তারা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় চাষাবাদ করত, আর বাকি দিনগুলোতে অলস সময় পার করত। তারা কাঠ, হাড় এবং পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করে চাষাবাদ করত। তাদের কৃষিব্যবস্থা ছিল ভুট্টা চাষের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া মটরশুটি, কুমড়ো, সূর্যমুখী, তামাক এবং স্কোয়াশও চাষ করতো তারা। এই ফসলগুলো স্থিতিশীল এবং সুষম খাদ্যের উৎস, যা বৃহত্তর জনসংখ্যার আহারের জোগান দিত। তারা ঝুড়ি এবং মাটির পাত্রে অতিরিক্ত খাবার সংরক্ষণ করত। সেই উদ্বৃত্ত খাবার দিয়ে বছরের অন্যান্য সময় কাটিয়ে দিত। কিছুটা বড় শহরে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বাস করত।

    মিসিসিপিয়ান শিল্পীরা শিল্পকর্মে বেশ দক্ষ ছিলেন। তারা খোলের তৈরি হারগুলোতে বিভিন্ন প্রাণী বা মানুষের নকশা আঁকতো এবং পাথরের গায়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বস্তু খোদাই করতো। এছাড়া কুমোররা কাদামাটি দিয়ে বিভিন্ন আকার ও গড়নের জিনিস তৈরি করতো, এবং কখনও কখনও সেগুলোর গায়ে নকশা এঁকে সাজিয়ে দিত।

    মিসিসিপিয়ানদের শিল্প তাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার করা জিনিসগুলোতে দেখা যায়। নারীরা স্থানীয় মাটি দিয়ে বিভিন্ন নকশার হাঁড়ি-পাতিল তৈরি করতো। দৈনন্দিন কাজ এবং আচার-আনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য যেসব মৃৎশিল্প উপযুক্ত, সেগুলো বিভিন্ন আকারে তৈরি করা হতো। তারা সাদামাটা জিনিসই পছন্দ করত, তবে কিছু মৃৎশিল্পে মার্জিত ও কখনও কখনও জটিল কারুকার্যের দক্ষতা এবং সৌন্দর্য দেখা পাওয়া যায়। তাদের মৃৎশিল্পের পাত্রগুলোকে অধিকতর শক্ত করার জন্য তারা প্রায়শই নদী থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাণীর খোলস (কিছু ক্ষেত্রে সামুদ্রিক) ব্যবহার করত।

    নারীরা বিভিন্ন ডিজাইনের ঝুড়ি এবং কাপড়ও বুনত। মিসিসিপিয়ানরা নিজেদের শোভাবর্ধনের জন্য বিভিন্ন বস্তু, যেমন- পাথর, কাঠ, হাড়, খোলস এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করতো। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে এবং স্থানীয় আমেরিকানদের ঐতিহাসিক বিবরণগুলোর উপর ভিত্তি করে এটা জানা যায় যে, লোকেরা নিজেদের সজ্জিত করার জন্য খোলের গলার হার, মালা, ট্যাটু, রঙ, পাখির পালক এবং বিভিন্ন ধরনের কানের অলঙ্কার ব্যবহার করতো।

    ১২০০ সালের পর পর ম্যাকন মালভূমির শহরটি ধীরে ধীরে তার সংস্কৃতির কেন্দ্র হারাতে থাকে। লোকেরা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হয়ে যায় বা যারা এই অঞ্চলে আদি নিবাসী ছিল তাদের সাথে মিশে হয়ে যায়। মিসিসিপিয়ান সভ্যতা উত্তর জর্জিয়ার ইটোয়া, আলাবামার মাউন্টভিল এবং ওকলাহোমা স্পিরোর মতো জায়গাগুলোতে প্রতিষ্ঠিত থাকে।

    ১৩৫০ সালের মধ্যে ম্যাকন মালভূমি থেকে ওকমুলজি নদীর প্রায় আড়াই মাইল দূরে এক নতুন মিসিসিপিয়ান শহর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজ লামার নামে পরিচিত। সেখানকার বাসিন্দারা দুটি মাটির ঢিবি তৈরি করে, যার মধ্যে একটির চারপাশে প্যাঁচানো ধাপ ছিল। এখানে কেবলমাত্র এগুলোর অস্তিত্বই টিকে আছে। বিভিন্ন জায়গার মিসিসিপিয়ানের এসব সংস্কৃতি ‘ওকমুলজি মাউন্ডস ন্যাশনাল হিস্টোরিকেল পার্ক’-এর পৃথক ইউনিট হিসেবে সুরক্ষিত আছে।

    হার্নান্দো ডি সোটো নামের এক স্প্যানিশ অনুসন্ধানকারী ১৫৩৯ থেকে ১৫৪৩ সাল পর্যন্ত অনেক মিসিসিপিয়ানের সাথে বাস করেন এবং তাদের সাথে কথাও বলেন। তিনি তাদের সংস্কৃতির বহু বিষয় সম্পর্কে লিখে গিয়েছেন। তার এই যোগাযোগের পর তারা সরাসরি ইউরোপীয়দের দ্বারা প্রভাবিত হয়।

    ধারণা করা হয়, ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে মিসিসিপিয়ান সভ্যতা পুরোপুরি ভেঙে পড়তে শুরু করে, এবং মানুষজন তাদের শহরগুলো ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে থাকে। এমন হতে পারে যে, ইউরোপীয়দের আগমনের ফলে স্থানীয়দের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আরও একটি সম্ভাবনা হতে পারে যে- জমিতে অত্যধিক চাষাবাদের ফলে মাটির পুষ্টিগুণ হ্রাস পেয়েছিল, যার ফলে ফসল উৎপাদন কমে যায়। লোকজন শহর ছেড়ে চলে গেলেও রেখে গিয়েছে তাদের বসবাসের প্রমাণ। এসব স্থানে ইউরোপীয় উপনিবেশের আগে মিসিসিপিয়ান সভ্যতাই ছিল উত্তর আমেরিকার বিদ্যমান জটিল ও পরিশীলিত সভ্যতার এক অন্যতম উদাহরণ।

    এসডব্লিউ/এসএস/১৩৩৫

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    ইতিহাস মায়া সভ্যতা সভ্যতা

    Related Posts

    ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী

    ৯ হাজার বছর আগেও চাবানো হতো চুয়িং গাম

    ওয়ার অব দ্য বাকেট: বালতির জন্য নিহত কয়েক হাজার মানুষ

    বিজ্ঞাপন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    জুন ৫, ২০২৩

    গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি

    জুন ৫, ২০২৩

    ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী

    জুন ৫, ২০২৩

    রুশ কারাগারের যে বর্বরতা হার মানায় দোজখকেও

    জুন ৫, ২০২৩

    মহাকাশে সবচেয়ে বড় নক্ষত্র

    জুন ৪, ২০২৩

    আট দশক ধরে স্প্যানিশ ক্যাথলিক চার্চে প্রায় হাজার শিশুকে নির্যাতন

    বিজ্ঞাপন

    সর্বাধিক পঠিত
    • যেভাবে পৃথিবী থেকে উধাও হয়েছিল রহস্যময় জনপদ আনজিকুনি
      জুন ৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ১৯৩০ সালের আগের কথা, কানাডার কিভালিক অঞ্চলে ছিল এক তুষার-স্নিগ্ধ হ্রদ। নাম তার আনজিকুনি। একদিন এক অনুসন্ধিৎসু বৃদ্ধ জেলের আগমন...
    • হাত পাখায় দিলে ভোট, ভোট পাবে আল্লাহ পাক: চরমোনাই পীর
      জুন ১, ২০২৩
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      মোহাম্মদ রুবেল বাংলাদেশের গদিনশীল পীরদের মধ্যে চরমোনাই শায়েখ অন্যতম। বিশাল আশেকান গোষ্ঠীর প্রশ্নবিহীন আনুগত্য ও হাদিয়ায় টুইটুম্বুর চরমোনাইয়ের অর্থভান্ডার। এবার...
    • বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: কেন নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র?
      মে ৩০, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে লঙ্ঘন করে বা উপেক্ষা করে বলে যেসব দেশকে মনে করে তাদের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা বা স্যাংশন আরোপ করে তারা।...
    • জঙ্গলের গভীরে ৪১৭ টি প্রাচীন মায়া শহর আবিষ্কার
      মে ৩০, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      আমাজনের ২ মিলিয়ন বর্গমাইল আয়তনের বিশাল জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় প্রাচীন সভ্যতা, পৃথিবীর ইতিহাসে যা মায়া সভ্যতা নামে...
    • নির্দেশদাতাকেও হত্যা করতে পিছপা হয় না এআই রোবট!
      জুন ৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে ইলন মাস্ক- বিশ্বের শীর্ষ কয়েকজন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এটি একসময়...
    আজকের ভিডিও
    https://youtu.be/1ht6kl7Mly4
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২৩ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.