একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। করোনা মহামারীর কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারা দেশে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবে। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের গণতন্ত্র। গণতন্ত্র একদিনে মহীরুহে রূপান্তরিত হয় না, পার করতে হয় অনেক পথ। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে যাত্রা চলমান, তাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তরের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ করা হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে ঢাকায় পৃথক কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনকে ‘কালো দিবস’ উল্লেখ করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কলঙ্কময় ৩০ ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করে বলে জানান তিনি। ঐদিন বেলা এগারোটায় ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ হবে। ওইদিন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলটির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর শাখা যৌথভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
শীত আসার সাথে সাথে দেশ মহামারি করোনার বিষাক্ত ছোবলে ব্যথিত। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন রুপ দেশে নতুন এক আতঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছে। আর তখনি জনপ্রিয় দুই রাজনৈতিক দলের এই রেষারেষিমূলক সিদ্ধান্তে দেশে নতুন এক সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন বিষেষজ্ঞরা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর বর্ষপূর্তি দুই দলের মাঠে থাকার বিষয়টাকে ভালো দৃষ্টিতে নিচ্ছেন না। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মাঠে নামা দুই দলের সহিংস হয়ে উঠার সম্ভাবনাকেও তারা আমলে নিচ্ছেন। করোনাকালীন এই বিপর্যস্ত মুহূর্তে দুই দল কর্তৃত এহেন রেষারেষিমূলক মুখোমুখী হওয়াকে গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া মনে করছেন অনেকে।
এসডব্লিউ/কেএইচ/১৭১৫
আপনার মতামত জানানঃ