সুমিত রায়
মাহসা আমানির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরান বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। হিজাব যথাযথভাবে না পরার অপরাধে ১৩ই সেপ্টেম্বর মাহ্সা আমিনিকে ইরানের নীতি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি থানায় গুরুতর নির্যাতনের শিকার হন, যার ফলে শেষ পর্যন্ত মাত্র তিন দিন পরে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ইরানীয় কর্তৃপক্ষ হার্ট অ্যাটাককে দায়ী করেছিল, ফলে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভ বেশ কয়েক দিন ধরে চলছে, এবং ইরানী নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীগুলোর জন্য এই অস্থিরতাকে নিয়ন্ত্রণ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। আসলে ইরানে গত এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে নিয়মিতভাবেই বিক্ষোভ হয়ে আসছে। কিন্তু শহুরে এলাকায় বসবাসকারী তরুণ ইরানি নারীদের নেতৃত্বে চলা বর্তমান বিক্ষোভ স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি সময় ধরে চলছে, এবং সরকার অতীতে যেরকম খুব দ্রুত ও সহজে বিক্ষোভকে ধুলিসাৎ করে দিত, এখন আর সেটা করতে পারছে না। কিন্তু এটাই এই বিক্ষভের একমাত্র দিক নয়। বিক্ষোভটি আসলে জনগণের আরও সাধারণ হতাশার সাথে সম্পর্কিত।
কিভাবে সম্পর্কিত, বিক্ষোভের অবস্থা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে, কেন সরকার বিক্ষোভকারীদের দমন করা কঠিন বলে মনে করেছে এবং এই বিক্ষোভটি যদি আয়াতুল্লাহ্র সরকার পতনের কারণ নাও হয়, তবুও কেন মনে হচ্ছে সরকারের হাতে বেশি দিন সময় নেই, বা সরকার পতনের সময় ঘনিয়ে আসছে – এসব নিয়েও আলোচনা হবে।
বর্তমান প্রতিবাদটি বোঝার জন্য আপনার কিছুটা ব্যাকগ্রাউন্ড জানা দরকার। বর্তমানে ইরান একটি অতি রক্ষণশীল ইসলামী শাসনব্যবস্থা হলেও একটা সময়ে ইরানের সিভিল সোসাইটি বেশ মডারেট বা মধ্যপন্থী ছিল। তর্কসাপেক্ষে, ইরানের শেষ যথাযথ ইলেকশন ঘটেছিল ১৯৫১ সালে, যার ফলে একজন সেক্যুলারিস্ট নির্বাচিত হন। তিনি সম্পদ পুনর্বণ্টন, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদিতে ফোকাস করেছিলেন এবং অতি-ইসলামী আয়াতুল্লাহ্ এর বিরোধিতা করেছিলেন। তবে একটি সিআইএ-সমর্থিত অভ্যুত্থানের ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং একটি অজনপ্রিয় রাজতন্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত হন। সেই রাজতন্ত্রের শাহ তখন ব্যাপকভাবে ইসলাম-বিরোধী সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা হাতে নেন, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে মহিলাদের ভোটাধিকার এবং সাক্ষরতা নিয়ে প্রচারাভিযান যাকে আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামী অভিজাতরা গুরুতরভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। এই অভিজাতরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল কারণ তারা হিজবুল্লাহ নামে পরিচিত একটি আধা-সরকারী মিলিশিয়ার সমর্থন লাভ করেছিল, যা পরে ১৯৯০-এর দশকে আনসার-ই-হিজবুল্লাহর সাথে একীভূত হয়ে যায়। যাই হোক, আয়াতুল্লাহরা ১৯৭৯ সালে ইরানী বিপ্লবের পর ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তারা জনসমর্থনের দ্বারা ক্ষমতায় আসেনি। বরং আয়াতুল্লাহ খোমেনি বিপ্লবের ফিগারহেড হয়ে উঠেছিলেন, সেই বিপ্লবের যার উত্থান ঘটেছিল ক্ষমতাসীন রেজা শাহ্ এবং ইরানিয়ান রাজতন্ত্রের প্রতি জনসাধারণের বিতৃষ্ণা ও বিক্ষোভের কারণে। এই রাজতন্ত্র আবার ক্ষমতায় এসেছিল পঞ্চাশের দশকে একটি মিলিটারি গ্রুপের সহায়তায় যা আসলে সিআইএ এর দ্বারা গঠিত ছিল। এর ফলে একটা সময়ে রেজা শাহ্ একজন আমেরিকান পাপেট হিসেবে চিহ্নিত হন, এবং সাধারণ ইরানীয়দের কাছে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন না। আর এজন্যই ১৯৭৯ সালের বিপ্লব ঘটে। কিন্তু আয়াতোল্লাহ্ খোমেনি এই বিপ্লবের ফিগারহেড হলেও, অর্থাৎ তিনি মূল ভূমিকায় থাকলেও এই শাহ-বিরোধী আন্দোলনে কমিউনিস্ট, সেক্যুলারিস্ট, ইসলামিক মডারেট সবাই ছিল। আয়াতোল্লাহ্ ক্ষমতা দখল করার পর তিনি দ্রুত মডারেট সহ তার রাজনৈতিক সকল বিরোধীদেরকে হত্যা করেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আয়াতোল্লাহ্ অজনপ্রিয় ছিলেন। ইরানী সমাজের কিছু অংশ, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকের লোকেরা তার আল্ট্রা-কনজারভেটিভ ইসলামিজমকে গ্রহন করে। কিন্তু আয়াতোল্লাহ্ এর সরকার অবশ্যই সকলের সাপোর্ট পায়নি, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ও শহুরে ইরানীদের মধ্যে।
এই ইতিহাস নিয়ে যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছি তা হলো, ইরান একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে চরমপন্থা বেশ চরম আকার ধারণ করলেও ইরানের রাজনীতি সবসময় ততটা চরম ছিলনা, এবং আয়াতুল্লাহরা এই ইসলামী শাসনতন্ত্রকে অর্জন করতে সক্ষম একারণেই হয়েছিল যে, বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের শাহ্-বিরোধী মনোভাবকে সমর্থন জোগায় এবং তারা তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার মাধ্যমে সেই ক্ষমতাটি অর্জন করে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে আয়াতোল্লাহ্রা সহিংসতা ও ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে বিরোধীদের দমন করতে থাকে। ক্ষমতায় চলে আসার পর তারা দেশটিতে শরিয়া আইনের একটি রেডিকাল ভারশন প্রয়োগ করে। দেশটিতে মদ্যপান, নন-ইসলামিক ড্রেস ও সকল ওয়েস্টার্ন মিডিয়া ব্যান করে দেয়া হয়, সেই সাথে সমকামিতা, ড্রাগ ব্যবহার ও বিবাহ-পূর্ব যৌনতার জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বর্তমানে ইসলামী পোষাক, বিশেষ করে হিজাব পরিধানকে ঘিরে আইনগুলোর প্রয়োগের জন্য ও সেই সাথে বিভিন্ন ইসলামিক সোশ্যাল নর্ম চাপানোর কাজ করবে এমন নীতি পুলিশদের কাজে লাগানো হয়, যারা স্ট্যান্ডার্ড পুলিশ বাহিনীর সাথে সমান্তরালভাবে কাজ করে। আর এর ফলেই ঘটে ১৩ই সেপ্টেম্বরের ঘটনাটি।
নীতি পুলিশ ২২ বছর বয়সী ইরানী কুর্দিশ নারী মাহসা আমিনিকে যথাযথভাবে চুল না ঢাকার জন্য গ্রেপ্তার করে; আর মাত্র তিন দিন পরে পুলিশি হেফাজতে তিনি মারা যান। যদিও নীতি পুলিশ তার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার কথা দাবি করে, তার পরিবার জোর দিয়ে বলে যে মাহসা সুস্থ ছিলেন, এবং ইরানি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃতদেহের যে ছবিগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয় সেগুলোতে তার মুখ এবং পায়ের বিবর্ণতা দেখা যায় যা তার ওপর হওয়া নির্যাতনকে ইঙ্গিত করে। তাকে যে শহরে সমাহিত করা হয়, সেই শহর সাক্কেজে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দ্রুত বিক্ষোভটি ইরানের সকল অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নারীদের হিজাব পোড়ানো এবং ‘স্বৈরশাসকের মৃত্যু’ স্লোগান দেওয়ার ভিডিওতে ভরে যায়।
কিন্তু বিক্ষোভে এটা একমাত্র দিক ছিলনা। মনে রাখতে হবে, ইরানে গত ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নিয়মিতভাবেই বিক্ষোভ হয়ে আসছে। গত এক দশকের মত সময় ধরে ইরানের জীবনযাত্রার মান কলাপ্স করে এবং ইরানের রাজনীতি আন্দোলন একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে। প্রতিটি প্রতিবাদের একটি নির্দিষ্ট ট্রিগার ছিল, তবে বিক্ষোভগুলোর চালিত হবার মূল কারণ এই ছিল যে, ইরানীরা ক্ষমতাসীন আয়াতুল্লাহদের শাসন ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে বিরক্ত, আর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানী অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে, তাদের মাথাপিছু জিডিপি ২০১২ সালের শিখর থেকে প্রায় ৭০% হ্রাস পেয়েছে এবং ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহরা ক্ষমতায় আসার সময় ইরানে জিডিপি যা ছিল বর্তমান মাথাপিচু আয় তার চেয়েও কম! এর ফলে দেশটিতে বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতিও বিপজ্জনকভাবে বেশি। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ৫০% হারে চলছে। তরুণদের বেকারত্বের হার এখন ২০-৩০%। সেই সাথে ইরান এখন নিয়মিতভাবেই জলের ঘাটতিতে ভুগছে, যার আংশিক কারণ হচ্ছে এই যে, আংশিকভাবে যার কারণ হচ্ছে ইরানের দরিদ্র পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে দেশটির ধনী কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে জল নিয়ে আসার রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। এসব কারণে সাধারণ মানুষ খোমেনির সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ।
এদিকে অতীতে যতবারই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, সাধারণত সহিংসভাবে দমন করে এবং বিক্ষোভকারীদের হত্যা করে সরকার শেষ পর্যন্ত তাদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালের নভেম্বরে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের কথা বলা যায়, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী একটি নিষ্ঠুর অভিযান চালিয়ে প্রায় ১,৫০০ ইরানীয় নাগরিককে হত্যা করেছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছিল।
এবারের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় সরকার প্রথম দিকে একই রকম প্লেবুক অনুসরণ করে ও আগের মতই বিদেশী এজেন্টদের দোষারোপ করা, প্রভাবিত এলাকায় ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়ার কাজ করে। সেই সাথে বিভিন্ন মিলিশিয়াকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নামিয়ে দেয়া হয়। FARAJA (Law Enforcement Command of Islamic Republic of Iran), Artesh (Islamic Republic of Iran Army), IRGC (Islamic Revolutionary Guard Corps), Basij (The Organization for Mobilization of the Oppressed, IRGC এর পাঁচটি ফোর্সের একটি), Plainclothes, রায়ট পুলিশ, মোরালিটি পুলিশ, সরকার সমর্থিত ইরানের কাউন্টার-প্রোটেস্টার – সবাই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছে। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইরান হিউম্যান রাইটস অনুযায়ী অন্তত ১৫৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে, ৮৯৮ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে, ১৫০০ এরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিক্ষোভ দমন করা যায়নি।
এখন বিক্ষোভের প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, আর বিক্ষোভ এখনও চলছে। এই আন্দোলন মূলত ঘনীভূত শহুরে অঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সরকার এফেক্টেড অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করলেও বিক্ষোভের কন্টেন্ট এখনও ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে, এবং কিছু কিছু কন্টেন্ট খুবই অবাক করা। স্কুলের টিনেজ মেয়েরা ক্রোধিত সরকারী আমলাদের সামনে তাদের হেড স্কার্ফ ওড়াচ্ছে, আর স্লোগান দিচ্ছে, ডেথ টু দ্য ডিটেক্টর, যে স্লোগানটি গত কয়েক বছর ধরে আয়াতোল্লাহ্-বিরোধী প্রোটেস্টের একটি র্যালিং ক্রাই হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে ইরানের সিকিউরিটি সারভিস শরিফ ইউনিভার্সিটিতে জঘন্য রকমের ক্র্যাকডাউন চালানোর পরও ইরান জুড়ে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির বিক্ষোভকারীরা “গিভ আস ভোট” বলে নিজেদের সরকার নিজেরা বেছে নেবার আন্দোলন করে যায়। এই গিভ আস ভোটের প্রোটেস্টটা একেবারে ১৯৭৯ সালের, যে আন্দোলনে নারীরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ক্ষমতা দখল করার আগে আয়াতোল্লাহ্ খোমেনি বিপ্লবে নারীদের অংশগ্রহণের জন্য কৃতিত্ব দেন, আর বলেন, তিনি নাকি নারী ও পুরুষকে সমান হিসেবে দেখেন। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর তিনি পুরোপুরি পালটে যান। তিনি অফিস থেকে নারীদেরকে ব্যান করে দেন, এবং দেশ জুড়ে শরিয়া আইনের আল্ট্রা কনজারভেটিভ এবং সাংঘাতিক সেক্সিস্ট ভারশনের প্রবর্তন করেন।
তো আগামীতে কী হতে যাচ্ছে? অনেক মানুষ মারা গেলেও সরকার এখনও পর্যন্ত মেসিভ ভায়োলেন্স থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে যা তারা বিগত বছরগুলোতে সাধারণত নিয়োগ করে এসেছে। এর বদলে তারা এবারে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে আর বিদেশী শক্তিগুলোকে দোষারোপ করেছে, বিশেষ করে ইউএস ও ইসরায়েলকে। এটা সম্ভবত একারণেই যে, এমনকি ইরানের মত একটা টোটালারিয়ান রেজিমের পক্ষেও টিনেজ মেয়েদেরকে হত্যা করে পাড় পেয়ে যাওয়া সহজ নয়। তবে এখনও সরকার পতনের সম্ভাবনা কম, কেননা আন্দোলন মূলত স্টুডেন্ট-ভিত্তিক। কিন্তু যদি আরও অনেক মানুষ ধীরে ধীরে আন্দোলনে যোগ দিতে থাকে, ব্যবসায়ী, রিফর্মিস্ট পলিটিশিয়ান ও মডারেট ক্লেরিকরাও এগিয়ে আসে তাদের নিজেদের অসন্তোষের কারণে, তাহলে সরকার বিশাল চাপে পড়ে যাবে। আর যদি সরকার তাতেও টিকে যায়, আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে, যার ইঙ্গিত ইরানের সাম্প্রতিক ইতিহাস থেকেই পাওয়া যায়। সময় যত এগোচ্ছে, তত মনে হচ্ছে আয়াতোল্লাহ্ সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। আয়াতোল্লাহ্ খোমেনির বয়স এখন ৮৩, এবং এখন তার শরীরের অবস্থাও ভাল না। তার মৃত্যুর পর খোমেনি সরকার টিকে থাকবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। ইরানের সুপ্রিম লিডার খোমেনি এই মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ, আর এখন সরকারের টিকে থাকা অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন, এই দিকগুলোও বিক্ষোভকারীদেরকে এখন সাহসী করে তুলেছে। সর্বোপরি আয়াতুল্লাহর সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে মরিয়া হয়ে উঠছে, এবং এটিও সম্ভব যে, প্রচুর মানুষ এই এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে একে সরকার পতনের একটি গণআন্দোনলে রূপান্তরিত করে দিতে পারে। সব মিলে এই আন্দোলনে যদি সরকার পতন নাও হয়, তবুও বলা যাবে না যে সরকার পতন হবেনা। হয়তো খুব শীঘ্রই আরেকটি ইরানী বিপ্লব দেখা যাবে।
আপনার মতামত জানানঃ