দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর সৌদি সমাজ নারীদের চাকরি করার ক্ষেত্রে খুবই সীমিত সুযোগ দিয়ে আসছিল। সৌভাগ্যক্রমে যারা চাকরি পেতেন, তাদের অধিকাংশের পরিধিই সীমাবদ্ধ ছিল স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে। এক্ষেত্রেও তাদেরকে ‘অভিভাবকদের’ কড়া নজরদারির মধ্যে থাকতে হতো। কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার উদ্যোগের পর এ পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যুবরাজের পরিকল্পনায় শুধু তেলনির্ভরতার বদলে নজর দেয়া হচ্ছে পর্যটন ও বিনোদন খাতেও। এর মধ্য দিয়ে বহুবিস্তৃত খাতে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে, তেমনি চাকরিতে অংশগ্রহণ করছেন লাখো সৌদি নারী।
এই ধারাবাহিকতায় মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের নারী দর্শনার্থীদের সেবা দিতে ১ হাজার ৫০০ নারী কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। নারীরা কাবা শরিফে প্রার্থনারত মুসল্লিদের সেবা দিতে বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মক্কার দুই পবিত্র মসজিদের বিভিন্ন বিভাগে ওই নারী কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে ৬০০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কারিগরি বিভাগে। এ ছাড়া জমজমের পানি বিতরণ শাখা, বৈদ্যুতিক গাড়ি চালনা, গাইড করা এবং গোয়েন্দা শাখায় এসব নারীকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
যুবরাজ সালমান কট্টরপন্থা থেকে তার দেশকে বের করে আনতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েই চলছেন।এর মধ্যে নারীদের ওপর থেকে কঠোর অনেক বিধি-নিষেধ তুলে দেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগের পাশাপাশি নারীদের গাড়ি চালনোর অনুমতিও দেয়া হয়েছে। এমনকি যেতে পারছে সিনেমা হলেও।
এ ছাড়া নারীদের কাজের আওতাও বাড়ানো হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিদেশ ভ্রমণেও স্বামী বা পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়েছে।
নারীদের বিষয়ে সবচেয়ে বড় যে সিদ্ধান্তটি এসেছে, সেটি হচ্ছে বোরকা পরা এখন আর বাধ্যতামূলক নেই।
এসডব্লিউ/কেএইচ/১৭২০
আপনার মতামত জানানঃ